গাজীপুরে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গাজীপুর’–এর উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় প্রায় ২০ মিনিট যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ, টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ, টঙ্গী সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী। এতে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুরের সদস্যসচিব মুহাম্মদ মহসিন উদ্দিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আকাশ ঘোষ।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, সারা দেশে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ ব্যাপক হারে বেড়েছে। ছিনতাইকারীর ভয়ে সন্ধ্যার পর মানুষ রাস্তাঘাটে বের হতে পারছেন না। চলতি পথে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন কারও মা, কারও বোন। রাস্তাঘাটে চলছে দেদার চাঁদাবাজি। কিন্তু সরকার এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় বা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। এরপরও দাবি আদায় না হলে আবারও কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

মহসিন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শহীদ ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। কোনো রকম ধর্ষক, ছিনতাইকারী বা চাঁদাবাজের জায়গা এই বাংলাদেশে হবে না; এই গাজীপুরে হবে না। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা আরও দুই হাজার জীবন দেব। তবু বাংলাদেশকে ধর্ষক, ছিনতাইকারী বা চাঁদাবাজের হাত থেকে মুক্ত করে ছাড়ব। আমরা চাই, মানুষের নিরাপত্তা। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে প্রয়োজনে আমরা আবার রাস্তায় নামব।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কমলাপুর স্টেশন থেকে সময়মতো ছাড়ছে ট্রেন 

ঈদযাত্রা মানেই ট্রেনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় এবং শিডিউল বিপর্যয়। প্রতিবছর এমন দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত সবাই। তবে, এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে নেই অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ। নির্দিষ্ট সময়েই ট্রেনগুলো ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যের উদ্দেশে। 

কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার শাহাদত হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেছেন, শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২১টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনে রয়েছে। কোনো ট্রেন স্টেশন ছাড়তে বিলম্ব করেনি। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। আশা করছি, পরবর্তী দিনগুলোতেও ট্রেনযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।

রেল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের বছরগুলোতে ঈদের সময় ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হতো। এবার তেমন সমস্যা হচ্ছে না। যাত্রীরা যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারেন, সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে কখনো ট্রেনে এত স্বস্তির যাত্রা দেখা যায়নি। সব ট্রেন সময়মতো চলাচল করায় স্টেশনে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় বা চাপ নেই।

চট্টলা এক্সপ্রেসের যাত্রী রাইসুল ইসলাম বলেন, আগের খারাপ অভিজ্ঞতার কারণে এবার নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে এসেছি। এসে দেখছি, এবার ব্যতিক্রম। খুব ভাল লাগছে।

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসেরর যাত্রী মমতাজ বেগম বলেন, এবার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করব। এ কারণে আগেই ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম। স্বস্তির বিষয় হলো— কমলাপুর স্টেশনে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে না। সিট পেয়েছি। স্বস্তিকর ট্রেনযাত্রা হবে বলে আশা করছি।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ