জগদীশ বসুর নামে করা ভবনের নাম পাল্টানো কল্পনার বাইরে: শিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 25th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ কয়েকটি হলের নাম পরিবর্তনের ঘটনায় তিনি মর্মাহত।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে জগদীশ বসুর গল্প শুনেছি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জগদীশ চন্দ্র বসু, তাঁর মতো বিজ্ঞানীর নামে করা ভবন-স্থাপনা ছিল, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করেছে। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্রের নামে স্থাপনা ছিল। তাঁর পাশাপাশি আরও কয়েকজনের নামে করা স্থাপনার নামও বদলানো হয়েছে। এটি আমাকে মর্মাহত করেছে।’
অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, ‘জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে করা ভবনের নাম পাল্টানো হবে, এটা কল্পনার বাইরে। আমি আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা মিলে এর প্রতিকার করবে।’
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে অস্থির পরিবেশ তৈরি হোক, তা আমরা চাই না।’
সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় কয়েকটি ভবন ও হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য গোলাম রহমানের নামে করা হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বিজয় ২৪ হল, সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ১, জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ২, কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ৩, জয় বাংলা ভবনের নাম একাডেমিক ভবন ৪ করা হয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের নাম প্রশাসনিক, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা.
এর পাশাপাশি শিক্ষকদের তিনটি কোয়ার্টারের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
সে সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় নতুন এসব নাম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভবন র ন ম প ক ভবন র ন ম হল র ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া মানেই যেন বৃষ্টি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ মানেই যেন বৃষ্টি। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি আসরসহ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির তিন আসরে ৮ ম্যাচ খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ৪ ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে।
বৃষ্টির এই বিঘ্নের কারণে অস্ট্রেলিয়া ২০১৩ ও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি। এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫১ রান তাড়া করে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে গেলেও রাওয়ালপিন্ডির বৃষ্টি টেনে ধরেছে অজিদের।
২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। অস্ট্রেলিয়া ওই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ২৪৩ রান করেছিল। নিউজিল্যান্ড ৫১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ম্যাচ আর মাঠে গড়ায়নি। ওই আসরের বাকি দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের স্বাদ পায় অজিরা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গত আসর অর্থাৎ ২০১৭ সালের আসরে বৃষ্টি আরও নির্মম আচরণ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। সেবার বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচই পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
গ্রুপের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ২৯২ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারায় অজিরা। এরপর বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পরের ম্যাচে বাংলাদেশ অজিদের বিপক্ষে মাত্র ১৮২ রান করে। অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেটে ৮৩ রান করার পর বৃষ্টি নামলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ এক জয় ও পরিত্যক্ত ম্যাচের এক পয়েন্ট থেকে চলে যায় সেমিফাইনালে।