রাজশাহীতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ
Published: 25th, February 2025 GMT
পাঁচদফা দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে তারা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে নিজেদের দাবি আদায়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন। সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে তারা এই বিক্ষোভ করেন। এতে একাত্মতা ঘোষণা করে অংশ নেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরাও।
মানববন্ধন থেকে এমবিবিএস কিংবা বিডিএস ডিগ্রী ব্যতিত কেউ নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার না করা, বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট দ্রুত প্রত্যাহার, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করা, স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন করা, এমটিএস ও নিন্মমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান।
সমাবেশে রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক ফোরামের আহ্বায়ক ডা.
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ‘‘ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে রোগীদের কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবি যৌক্তিক। তাদের দাবির প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। আমরা অন্য চিকিৎসকদের দিয়ে হাসপাতাল চালাচ্ছি।’’
ঢাকা/কেয়া/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ড ক ল কল জ চ ক ৎসকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে জুই হত্যার বিচার দাবি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসা ছাত্রী আকলিমা আরা জুঁইকে (৭) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা ও অ্যাসিডে মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় খুনিদের বিচার দাবিতে সরকারি তিতুমীর কলেজে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১টায় মুল ফটকের সামনে সরকারি তিতুমীর কলেজের নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, জুই হত্যার বিচার প্রক্রিয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর করতে হবে এবং ধর্ষককে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। আছিয়া থেকে শুরু করে জুই পর্যন্ত যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর বিচার অতিদ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
তারা আরো বলেন, শিশুটির মুখমণ্ডল দাহ্য পদার্থ দিয়ে ঝলসে দিয়েছে খুনিরা। দেশে আজ কোন মানুষই নিরাপদ নয়। বড়-ছোট এমন কি শিশু বাচ্চারাও নিরাপদ নয়। কিছুদিন আগে আছিয়ার মৃত্যুর ক্ষত না শুকাতেই নাটোরে বড়াইগ্রামে শিশু কন্যা জুঁইকে বর্বরভাবে হত্যা করা হলো। আছিয়ার হত্যার বিচার যদি হত, তাহলে আজ আর জুঁইকে এভাবে মৃত্যুবরণ করতে হত না।
মানববন্ধনে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, তিতুমীর কলেজের নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণের প্রধান উপদেষ্টা মামুন মজুমদার, সভাপতি মো. রিপন আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন আবিদ প্রমুখ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে দাদার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় জুঁই। এরপর থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রামপুর বিলের ভুট্টা ক্ষেতে জুঁই খাতুনের বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। এ সময় তার মুখে পোড়া ক্ষত চিহ্ন ও পরনের প্যান্ট গলায় পেঁচানো ছিল।
নিহত জুঁই নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। সে গাড়ফা আজেদা নূরানী কিন্ডার গার্ডেন মাদরাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ঢাকা/হাফছা/মেহেদী