স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের
Published: 25th, February 2025 GMT
সারা দেশে খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। মঙ্গলবার দুপুরে সাভার সরকারি কলেজ মাঠে নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচা সাভার শাখার আয়োজনে সমাবেশে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, অত্যন্ত দক্ষ একজন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হলে দেশে এসব অপরাধমূলক ঘটনা হতো না। দেশের এই অবস্থায় ওনার নিজ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। প্রধান উপদেষ্টার এখন বলা উচিত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে আপনি ব্যর্থ।
তিনি বলেন, সারা দেশে নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে হবে। চালকদের সর্তকভাবে গাড়ি চালাতে হবে, যাতে করে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাভার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জহিরুল ইসলাম, সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির, সাভার উপজেলা নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচার সভাপতি ইমমাইল হোসেন, ধামরাই উপজেলার সভাপতি এম নাহিদ মিয়া প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদত য গ র দ ব
এছাড়াও পড়ুন:
বিরতিহীন রোজা রাখা কি বৈধ
নবীজি (সা.) কখনো কখনো রাত-দিনের পুরোটা সময় অনাহারে কাটাতেন এবং রোজা রাখতেন। আল্লাহর ইবাদতে সারা সময় নিয়োজিত থাকতেন। (ইবনে কায়্যিম, যাদুল মাআদ, ২/৩২)
রাত-দিন একত্রে এভাবে ধারাবাহিক রোজা পালন করাকে ‘সাওমে ওসাল’ বলে। আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সওমে ওসাল পালন করো না।’ সাহাবিগণ বললেন, ‘আপনি তো পালন করছেন?’ তিনি উত্তরে বললেন, ‘আমি তোমাদের কারও মতো নই। আমাকে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) পানাহার করানো হয়।’ অথবা বলেছেন, ‘আমি রাত যাপন করি পানাহার করানো অবস্থায়।’’ (বুখারি, হাদিস: ১,৯৬১)
নবীজি(সা.) র পানাহার যেভাবে হতো
আল্লাহর পক্ষ থেকে পানাহারের পদ্ধতি সম্পর্কে আলেমদের মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলেন, তাঁর খাদ্য ও পানীয় ছিল ইন্দ্রিয়গত—আধ্যাত্মিকভাবে নয়। তাকে সরাসরি খাদ্য প্রদান করা হতো। হাদিসের বাহ্যিক শব্দ-প্রয়োগ এ অর্থই বহন করছে। তবে কারও মতে, তা ইন্দ্রিয়গত ছিল না—আল্লাহ তাকে যে ইবাদতের আস্বাদ দান করতেন, এটা তারই ইঙ্গিত। যদি ইন্দ্রিয়গত হয়, তবে তাতে সওমে ওসাল পালনকারী বলা যায় না।
শেষোক্ত মতই অধিক যুক্তিযুক্ত মনে করা যায়।
আরও পড়ুনরমজানে নবীজির (সা.) ‘সমাধান মজলিস’২২ মার্চ ২০২৫তিনি ‘সওমে ওসাল’ কীভাবে করেছেন
রাসুল (সা.) টানা কয়েকদিন ইফতার-সাহরি বা কিছুই না খেয়ে রোজা রাখতেন। আবু হোরাইরা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) ‘সাওমে ওসাল’ বা ধারাবাহিক রোজা রাখতে করতে বারণ করেছেন। যখন সাহাবিদের অনেকে তার সঙ্গে রোজা রাখবে বলে নাছোড় হলো, তখন রাসুল তাদের সঙ্গে একদিন রোজা রাখলেন, এরপর আরেকদিন রাখলেন। এরপর চাঁদ উঠল। এরপর তিনি বললেন, ‘যদি চাঁদ উঠতে আরও বিলম্ব হতো, তবে আমি আরও বৃদ্ধি করতাম।’ সাহাবিদের তিরস্কার করে তিনি এমন বলেছিলেন।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৯৬৫)
কেন বারণ
‘সওমে ওসাল’ বা বিরতিহীন রোজা একমাত্র রাসুলের বিশেষত্ব; অন্য কারও জন্য তা বৈধ নয়। তবে, কেউ যদি একান্তভাবে তা পালন করতে চায়, তাহলে ইফতার না করে কেবল সাহরি অবধি বিলম্বিত করার বৈধতা রয়েছে। এক হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা ‘সাওমে ওসাল’ করো না, কেউ যদি ‘ওসাল’ করতে আগ্রহী হয়, তবে সে যেন সাহরি পর্যন্ত করে। (বুখারি, হাদিস: ১,৮৬২)
তবে এটা কেবলই বৈধতা—উৎসাহ কিংবা সম্মতি নয়।
রাসুল (সা.) নিজে ওসাল করা সত্ত্বেও সাহাবিদের বিরত থাকার আদেশ প্রদান উম্মতের প্রতি তার দর্য়াদ্রতা প্রমাণ করে। কেননা, নিষেধ না-করলে সাহাবিগণ নিশ্চিত তার আমল অনুসরণে আত্মনিয়োগ করতেন। এবং পরবর্তী সময়ে তা কষ্টের কারণ হতো। (ইবনে হাজার, ফাতহুল বারি, ৬/২২৯)
আরও পড়ুন যেমন ছিল মহানবীর (সা.) সাহরি১১ মার্চ ২০২৫