সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে ফেলে সামনে তাকানোর পরামর্শ
Published: 25th, February 2025 GMT
সাকিব আল হাসান দলের সঙ্গে নেই। ফেরার সম্ভাবনাও নেই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম দিব্যি খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা বোঝা বইছে বাংলাদেশ। তাদের থেকে যে পারফরম্যান্স পাওয়ার কথা ছিল তা পাচ্ছে কই। বরং জায়গা ধরে রাখায় তরুণদের সুযোগ নষ্ট হচ্ছে। আরেকটি আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরম্যান্স।
মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ অংশগ্রহণের পরও মেলেনি প্রত্যাশিত সাফল্য। তাদের কি এখানেই থেমে যাওয়া উচিত কিনা সেই প্রশ্নও উঠল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ-এর শো’তে হাজির হয়েছিলেন ভারতের দুই সাবেক ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিক ও পার্থিব পাটেল। এক মেরুতে দুজনের অবস্থান, সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে যেতে হবে। তাদের পেছনে ফেলে তরুণদের যথেষ্ট সময় দিয়ে নতুন করে দল সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
স্বপ্ন আকাশছোঁয়া অথচ পারফরম্যান্স গড়পড়তা
অস্ট্রেলিয়া-দ.
কার্তিক বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, তাদের সামনে তাকানো উচিত, তরুণদের সুযোগ দেওয়া উচিত এবং আমার ভালো লাগবে, ক্রিকেটার হিসেবে তরুণদের বেড়ে উঠতে দেখলে। বারবার অদলবদল যেন না করা হয়। খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে ওঠার সময় দিতে হবে তাদেরকে।”
“বেশ কিছু ভালো প্রতিভা তাদের আছে। তানজিদকে মাঠে আরও জ্বলে ওঠার পথ বের করে দিতে হবে তাদের। তাওহিদকে (হৃদয়) মনে হচ্ছে ভালো ক্রিকেটার, জাকের আলি ভালো প্রতিভা। এই দলে প্রতিভা কিছু আছে। এখন ব্যাপারটি হলো, তাদেরকে নিরাপদ অনুভব করানো, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যোগ্য মনে করানো এবং বোর্ড যেন তাদের পাশে থাকে, যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” –যোগ করেন তিনি।
পার্থিব পাটেলও বললেন একই কথা, ‘‘তাওহীদ হৃদয় অবশ্যই সবাইকে মুগ্ধ করেছে এখানে। নাজমুল হোসেন শান্ত আছে, তাদের অধিনায়ক। জাকের আলী আছে, তানজিদ হাসানে প্রতিভা আছে দারুণ, তার বড় ইনিংস খেলা প্রয়োজন। তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানা, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাদের স্কোয়াডে থাকা উচিত।”
“ওই ক্রিকেটারদের আর ফিরিয়ে আনবেন না। সামনে তাকাতে হবে। সমস্যা এখানেই। বলা হচ্ছে, কেউ বাদ পড়লে সৌম্য সরকার দলে আসছে। আলোচনা হচ্ছে কাউকে বাদ দেওয়ার, লিটন দাস তখন চলে আসছে। এভাবে স্কোয়াড গড়ে তোলার যাবে না।” – যোগ করেন তিনি।
২০২৩ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের নতুন করে ভাবনার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন দুজনই। চলতি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর বৈশ্বিক ওয়ানডে আসর ২০২৭ সালে। আইসিসি ইভেন্টে ভালো করতে হলে রি-স্টার্ট দেওয়ার সুযোগ এখনই।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি নাটমণ্ডলে রবিঠাকুরের কালজয়ী নটক ‘রক্তকরবী’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘রক্তকরবী’ মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রযোজনায় মঞ্চে আসছে কালজয়ী এ নাটকটি।
থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ জানিয়েছে, আজ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টায় এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নাটকটির প্রদর্শনী হবে। রক্তকরবী মঞ্চে নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানভীর নাহিদ খান। এতে ৩য় বর্ষের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অভিনয় করছেন।
তানভীর নাহিদ বলেন, “বাংলাদেশে সম্প্রতি এক রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের যে আকাঙ্ক্ষা গড়ে উঠেছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে, রক্তকরবী নাটকটির রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিতা এ প্রযোজনা সৃজনের নেপথ্যে বিশেষ অনুপ্রেরণা সঞ্চার করেছে। জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাট্যভাষ্যরূপে এ প্রযোজনায় নানা চিহ্ন সৃজিত হয়েছে।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রক্তকরবী’ নাটকটি লিখেছেন শতবর্ষ আগে। ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল নাটকটি রচনার ১০০ বছর পূর্তি হয়। ‘রক্তকরবী’ রচনার শতবর্ষ পূর্তিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নাটকটি মঞ্চস্থ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছের তানভীর নাহিদ।
তিনি বলেন, “রক্তকরবীতে আমরা দর্শক-অভিনেতার নৈকট্য, নিরাভরণ মঞ্চ ও যৎসামান্য দ্রব্যাদি ব্যবহার দ্বারা দেশজ আঙ্গিকে উপস্থাপনের প্রতি মনোযোগ দিয়েছি। ঐতিহ্যবাহী দেশজ নাট্যের আবহে চারপাশে দর্শক পরিবেষ্টিত হয়ে মঞ্চস্থ হবে এই পালা।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রূপক সাংকেতিক নাটক রক্তকরবী। মানুষের প্রবল লোভ কীভাবে জীবনের সৌন্দর্য ও স্বাভাবিকতাকে অস্বীকার করে মানুষকে নিছক যন্ত্রে ও উৎপাদনের উপকরণে পরিণত করে এবং শোষকের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ কী রূপ ধারণ করে তারই রূপায়ণ ঘটে এ নাটকে।
থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন কাজী তামান্না হক সিগমা বলেছেন, রক্তকরবী এক দ্রোহ, যা শিল্প এবং সৃষ্টি দিয়ে রাজা নয়, রাজনীতির পরিবর্তন আনে; যা অর্থনৈতিক মুক্তির চেয়ে সৃজনের আলোয় মুক্তির পথ দেখায়।