২৪ বছর আগে এই দিনে মহাপ্রয়াণ ঘটেছিল সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের। অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৫ বিশ্বকাপ কাভার করতে গিয়ে ব্র্যাডম্যানের স্মৃতিবিজড়িত বাউরালে ঘুরে প্রথম আলোয় এ লেখাটি লিখেছিলেন উৎপল শুভ্র। প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ।

এই সেই মাঠ! যেখানে ডন ব্র্যাডম্যান নামের বিস্ময়ের ক্রিকেট অমরত্বের দিকে যাত্রা শুরু।
ব্র্যাডম্যান ওভালের সবুজ ঘাসে পা রাখতেই অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে। এই সেই মাঠ! এই সেই মাঠ!


সামনেই প্যাভিলিয়ন, সেটিও ব্র্যাডম্যানের নামাঙ্কিত। ওই যে সিঁড়ি, ৯৫ বছর আগেও কি এটি এমনই ছিল! ওই ধাপগুলো পেরিয়েই ব্যাটিং করতে নেমেছিল ১২ বছরের ওই কিশোর! সেদিন মহাগুরুত্বপূর্ণ এক খেলা। অথচ বাউরাল ক্রিকেট ক্লাবের এক খেলোয়াড়ের দেখা নেই। বাধ্য হয়ে কিশোর ব্র্যাডম্যানকে নামিয়ে দেওয়া হলো। প্যাড হাঁটু পেরিয়ে ঊরুর অর্ধেক পর্যন্ত উঠে গেছে, পায়ে ঢলঢল করতে থাকা ওই প্যাড পরেই অপরাজিত ৩৭। ম্যাচ শেষে যেটির পুরস্কার হিসেবে ব্র্যাডম্যানকে একটি ব্যাট উপহার দেওয়া হবে ক্লাব থেকে।

পুরোনো ব্যাট, কোথাও কোথাও একটু ভেঙেও গেছে। কাঠমিস্ত্রি বাবা সেটিকেই জোড়াতালি দিয়ে ঠিকঠাক করবেন, নিচের দিকটা একটু কেটে ফেলে ছোট্ট ছেলেটির মাপমতো বানিয়ে দেবেন সেটিকে। ডন ব্র্যাডম্যানের প্রথম ক্রিকেট ব্যাট!


মাঠ আর ব্র্যাডম্যান জাদুঘরের মাঝখানে কালো ব্রোঞ্জের একটা মূর্তি। এক হাতে ব্যাটটা ধরা, আরেক হাতে ক্যাপ তুলে ধরেছেন—ব্র্যাডম্যানের সবচেয়ে পরিচিত ছবি। এই মাত্র আরেকটি সেঞ্চুরি করলেন আরকি! জাদুঘরে ব্র্যাডম্যানের জীবনের প্রথম ব্যাটটাও আছে। উল্টো দিকে কিছু স্কোর লেখা। খুব খেয়াল করে দেখলে এখনো পড়া যায়।


কী দীনহীন সাধারণ এক ব্যাট! কানাটা আধা ইঞ্চিও হবে কি না সন্দেহ! যে ব্যাট দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শততম সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেটিও তো এর চেয়ে খুব ভালো কিছু বলে মনে হচ্ছে না। অ্যাডিলেড ওভালে ‘ব্র্যাডম্যান কালেকশনে’ অমর সব কীর্তি গড়ার হাতিয়ার ব্যাটগুলো দেখে যা মনে হয়েছিল, এখানেও সেই বিস্ময় ছড়িয়ে পড়ে মনে। এমন ব্যাট দিয়েই টেস্টে এক দিনে ৩০৯ রান, ৫২ টেস্টের ৮০ ইনিংসে ২৯টি সেঞ্চুরি, টেস্টে ৯৯.

৯৪ আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯৫.১৪ গড়! আধুনিক ব্যাটের কানাগুলোই তো এসব ব্যাটের মাঝখানটার প্রায় সমান! ওয়ার্নার-ম্যাক্সওয়েলদের ব্যাট পেলে কী করতেন ব্র্যাডম্যান!

ব্র্যাডম্যান জাদুঘরে ওই ব্যাটটাও আছে। যেটি মাত্র ২২ বলে সেঞ্চুরির সাক্ষী। সিডনি থেকে ৬০ মাইল দূরত্বের ব্ল্যাকহিথে কংক্রিট পিচের উদ্বোধন উপলক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ব্র্যাডম্যানকে। প্রতিপক্ষ দলে বিল ব্ল্যাক নামে এক বোলার ছিলেন। ব্র্যাডম্যানের এক সতীর্থ তাঁকে মনে করিয়ে দেন, কিছুদিন আগে একটা প্রদর্শনী ম্যাচে ব্র্যাডম্যানকে বোল্ড করেছিলেন এই বিল ব্ল্যাক, এর পর থেকে সেটিই জাহির করে বেড়াচ্ছেন। ব্র্যাডম্যান শুধু বলেন, ‘আই থিংক আই উইল হ্যাভ আ গো।’ তখন ৮ বলের ওভার। ৩ ওভারেই ব্র্যাডম্যানের সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্যারিয়ারে মাত্র ৬টি ছক্কা। কিন্তু সেদিন তো ব্র্যাডম্যানের চোখে খুনের নেশা। সেঞ্চুরিতে তাই চারের চেয়ে ছয় বেশি—৯টি চারের পাশে ১০টি ছক্কা! শেষ পর্যন্ত থেমেছিলেন ২৫৬ রান করে। এই ব্যাট দিয়েই? কীভাবে সম্ভব!


কাল দুপুরে সিডনি শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে ১১৭ কিলোমিটার দূরের বাউরাল ব্র্যাডম্যানকে নিয়ে পুরোনো বিস্ময়গুলোকে আবারও নতুন করে মনে জাগিয়ে তুলল। রানের বন্যা বইয়ে দেওয়াটাও সে সময় জীবিকার নিশ্চয়তা নয়, এক স্টকব্রোকার কোম্পানিতে চাকরি পাবেন বলে ব্র্যাডম্যান তাই অ্যাডিলেডে পাড়ি জমিয়েছিলেন। জীবনের বেশির ভাগ সময় সেখানেই কেটেছে। অ্যাডিলেড ওভালে ‘ব্র্যাডম্যান কালেকশনে’ও তাই তাঁর কীর্তিধন্য ক্রিকেট-সরঞ্জামের অভাব নেই। কিন্তু বাউরাল তো বাউরাল। এখানে যে পথে পথে ব্র্যাডম্যানের শৈশব আর কৈশোরের স্মৃতিচিহ্ন ছড়িয়ে। বিশ্বকে তা দেখাতেই ‘ব্র্যাডম্যান জাদুঘর’-এর জন্ম। তবে অনেক দিনই আর এই নাম নেই। নতুন নাম—ব্র্যাডম্যান মিউজিয়াম অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট হল অব ফেম। ব্র্যাডম্যান নিজেই বদলে দিয়ে গেছেন। ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের উদ্দেশে একবার বলেছিলেন, যখন খেলাটা ছাড়বে, তখন নিজেকে একটা প্রশ্নই করবে, তুমি যে অবস্থায় শুরু করেছিলে, ক্রিকেটকে তার চেয়ে ভালো অবস্থায় রেখে যেতে পেরেছ কি না! এই যাঁর দর্শন, তাঁর তো এটা মনে হবেই, ‘ব্র্যাডম্যান মিউজিয়াম’ হলে তো শুধু নিজেরই নামকীর্তন হয়। এ কারণেই ব্র্যাডম্যানের যা কিছু আছে, তার সঙ্গে ক্রিকেটের ইতিহাসও এখানে একাকার।

প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের জন্য আলাদা অংশ বরাদ্দ আছে। যেখানে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের অটোগ্রাফ-সংবলিত জার্সিও। ক্রিকেটকে বদলে দেওয়া কেরি প্যাকারের যে ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেটকে সে সময় চরম অপছন্দ করেছিলেন ব্র্যাডম্যান, সেটিকেও দেওয়া হয়েছে প্রাপ্য স্বীকৃতি। ওই টুর্নামেন্টের তিন দল অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বিশ্ব একাদশের জার্সি থেকে শুরু করে ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেটের কুশীলবদের ছবি তো আছেই; এমনকি টিভি প্রযোজক, ক্যামেরাম্যান ও আলোকচিত্রীর ছবি পর্যন্ত।

পাশেই বডিলাইন সিরিজ নিয়ে একটা ফিল্ম চলছে। শুধু ব্র্যাডম্যানের ব্যাট থেকে রান-বন্যা ঠেকাতেই ইংল্যান্ড অধিনায়ক ডগলাস জার্ডিনের মাথা থেকে বেরিয়েছিল যে কৌশল। যেটি ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিং গড় নামিয়ে এনেছিল মানবীয় পর্যায়ে। মজাটা হলো, সেই সিরিজে ‘ব্যর্থ’ ব্র্যাডম্যানের ৫৬.৫৭ গড়ও আসলে গ্রেটনেসের স্বীকৃতি পেতে যথেষ্ট।

ওপরে বড় পর্দায় ক্রিকেটের বিভিন্ন সময়কালের খেলা চলছে। এর একটু নিচে কিঞ্চিৎ গর্বিত এবং তার চেয়েও বেশি বিব্রত শচীন টেন্ডুলকার বলছেন, ব্র্যাডম্যানের কথা অনুযায়ী ব্যাটিংয়ের ধরনেই শুধু তাঁর সঙ্গে স্যার ডনের তুলনা চলতে পারে, আর কিছুতে নয়। ১৯৩২ সালে বাউরালে ফিরে ব্র্যাডম্যানের বানানো ক্রিকেট কোচিংয়ের প্রথম ভিডিও ‘হাউ আই প্লে ক্রিকেট’ চলছে একটু দূরেই। ইন্টারঅ্যাকটিভ মনিটরে আঙুলের ছোঁয়ার অপেক্ষায় সেই ডব্লু জি গ্রেস থেকে আধুনিক কালের ক্রিকেট ইতিহাস—এই জাদুঘর আসলে দু-তিন ঘণ্টায় দেখে শেষ হওয়ার নয়।


তার পরও একসময় বেরিয়ে আসতে হয়। আরও অনেক কিছু যে দেখার আছে। ওই বাড়িটা কোথায়, যেটির পেছনে পানির ট্যাংকের নিচে পাটাতনটাতে গলফ বল ছুড়ে একটা স্টাম্প দিয়ে সেটিকে মারার চেষ্টায় দিন কাটত কিশোর ব্র্যাডম্যানের? একটু হাঁটতেই পাওয়া গেল সেই ৫২ শেফার্ড স্ট্রিটের বাড়িটা। সামনে একটা ফলক আছে, যেটি জানিয়ে দিচ্ছে কেটেছে ব্র্যাডম্যানের শৈশব ও কৈশোর। বাড়ির পেছনে উঁকিঝুঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করছি, যদিও জানি পানির ট্যাংকটা আর নেই। এই বাড়িতে এখন অন্য কেউ থাকেন।
এই বাড়ি ছেড়ে ১৯২৪ সালে ১৬ বছর বয়সী ব্র্যাডম্যানকে নিয়ে বাবা-মা যে বাড়িতে গিয়েছিলেন, চার বছর আগে সিডনিতে পাড়ি জমানোর আগে যেখানেই ছিলেন ব্র্যাডম্যান, ২০ গ্লিব স্ট্রিটের সেই বাড়িটা অবশ্য কিনে নিয়ে সেই আগের রূপই দিয়েছে ব্র্যাডম্যান ফাউন্ডেশন। ব্র্যাডম্যান ওভালের পাশে রাস্তাটার ওপারেই সেই বাড়ি।


পানির ট্যাংক অবশ্য জাদুঘরে আছে। একটা ক্রিকেট স্টাম্প আর গলফ বল দিয়ে চাইলে আপনি ব্র্যাডম্যানের মতো খেলতেও পারেন। আর আছে ‘ব্র্যাডম্যান ওয়াক’, যেটি ধরে হেঁটে গেলে আপনি ফিরে যাবেন অতীতে। ব্র্যাডম্যান কোথায় কাজ করতেন, ১৯৩০ ইংল্যান্ড সফরের পর কোথায় তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল...হাঁটতে থাকবেন আর এসব এসে আপনার সামনে দাঁড়াবে। আবারও আপনি বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে ভাববেন, ...আমি মানব বিস্ময়ে ভ্রমি বিস্ময়ে!

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প রথম জ দ ঘর কর ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়ালটন এসি সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রাহকদের সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে মাসব্যাপী কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু করেছে। সারা দেশের প্রায় ৪ হাজার সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান ও ভেন্ডর এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত এই কর্মশালা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাসব্যাপী চলবে। ওয়ালটন লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এবং এসি সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করেছে।

সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ উদ্যোগ এই কর্মশালায় এসি সার্ভিসিং, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, গ্রাহকসেবার উন্নয়ন, নিরাপত্তা বিধি ও পেশাদার আচরণ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ওয়ালটনের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকরা অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, দ্রুত ও মানসম্মত গ্রাহকসেবা দেওয়ার কৌশল শেখাবেন।

ওয়ালটনের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তানভীর রহমান বলেন, ‘‘ওয়ালটন শুধু পণ্য উৎপাদনই করছে না, বরং গ্রাহকদের সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিতে প্রশিক্ষিত সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা উন্নত করতে কাজ করছে।’’

ওয়ালটনের চিফ সার্ভিস অফিসার নিয়ামুল হক বলেন, ‘‘গ্রাহক সন্তুষ্টিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানসম্মত সার্ভিস নিশ্চিত করতে আমরা সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি।’’

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘‘ওয়ালটন শুধু পণ্য বিক্রিই করে না, বরং গ্রাহকদের উন্নততর বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে।’’

ওয়ালটনের এসি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগের প্রধান আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ওয়ালটন বাংলাদেশে প্রথম সম্পূর্ণ সিএফসি ও এইচএফসি গ্যাসমুক্ত পরিবেশবান্ধব এসি উৎপাদন করছে। সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের সচেতনতা ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্যই এই কর্মশালার আয়োজন।’’

ওয়ালটনের এসি সার্ভিস সেকশনের প্রধান আরিফুজ্জামান পিনন বলেন, ‘‘প্রতি বছরের মতো এবারো সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, সার্ভিস পার্টনারদের আরো পারদর্শী করা, যেন তারা গ্রাহকদের দ্রুত ও কার্যকর সেবা দিতে পারেন।’’

ওয়ালটনের ট্রেইনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের রওশন আলী বুলবুল বলেন, ‘‘টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশব্যাপী উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’’

ওয়ালটন আশা করছে, এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা বাড়বে এবং তারা গ্রাহকদের আরো উন্নত, দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সেবা দিতে পারবেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সার্ভিস সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ওয়ালটনের এসি সার্ভিস সেকশন। 

ওয়ালটনের এই উদ্যোগ দেশের এসি সার্ভিসিং খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ঢাকা/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ