সিভিসি ফাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা
Published: 25th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
সিভিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম মাহমুদ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এ শোকসভা ও দোয়া মাহফিল পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাহমুদ হোসেনের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সিভিসি ফাইন্যান্সের পরিচালকবৃন্দ ও শেয়ারহোল্ডারগণ এবং সিভিসি ফাইন্যান্স গ্রুপের (সিভিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, সিভিসি ব্রোকারেজ লিমিটেড, সিএপিএম এডভাইজারি লিমিটেড এবং অন্যান্যদের) কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বক্তব্য রাখেন- প্রতিষ্ঠানের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রখ্যাত কবি ও সাংস্কৃতিক-ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আল ফারুক, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তোয়াফেল কবীর খান, সিভিসি ফাইনান্সের পরিচালক বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নাহিদ নাজিয়া, মরহুমের সহধর্মিনী মিসেস আম্বারিন চৌধুরী, প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুনুর রশিদ মোল্লা এবং সিভিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (চলতি দায়িত্বে) সামি হুদা।
এস এম মাহমুদ হোসেনের নিরলস পরিশ্রম ও সাহসী নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার কারণে সিভিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাঁর রেখে যাওয়া মূল্যবোধ ও আদর্শ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ আজও বয়ে নিয়ে চলছে।
এসময় অতিথিবৃন্দ তাঁর জীবন ও অবদান নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ফ ইন য ন স
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে মাতৃভাষা দিবস অনুষ্ঠানে ৭ দেশের কবি
তারা ভিন দেশের নাগরিক। কবিতা পাঠ করলেন নিজ নিজ ভাষায়। জানালেন তাদের অনুভূতিও। আবার সেই কবিতা আর অনুভূতির মর্মার্থ ইংরেজিতে বুঝিয়েও দিলেন সবাই।
শুক্রবার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ‘সার্ধশততে একুশের দ্রোহ’ শিরোনামে ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠান হয়। এর আয়োজন করে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (কসউবি) প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ।
কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাপান, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, কাজাখিস্তান ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। যারা কক্সবাজারে কর্মরত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।
বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে জাপানি নাগরিক মাছিকো ফুকোমারা বলেন, নিজের ভাষায় কথা বলতে পারাটা অনেক আনন্দের। স্কুল দেখে আমি আমার নিজের দেশ, বাড়ি, শৈশব ও নিজের ভাষাকে মনে পড়ছে। তিনি জানান, এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছেন।
নাইজেরিয়ান নাগরিক হাওয়া হাসান কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এখানে আমরা অনেক ভাষাভাষী মানুষ একসঙ্গে হয়েছি, এটা খুব ভালো লাগছে।
ফিলিপাইনের নাগরিক হেলেন বেশ কয়েক বছর ধরেই আছেন বাংলাদেশে। তিনি বলেন, কথা বলতে পারার স্বাধীনতা অনেক বড় বিষয়। অনেক আনন্দের।
ইসাবেল সুয়োরাজ কলম্বিয়ান নাগরিক। এই আয়োজনে এসে তিনি শিশু বয়সে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, স্কুলের বাচ্চাদের দেখে আমার স্কুলের সময়ের কথা মনে পড়ছে।
কসউবি প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের গৌরবময় ১৫০ বছর পূর্তির ধারাবাহিকতায় এ আয়োজন মাতৃভাষার বৈচিত্র্য ও ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, বিদেশিদের উপস্থিতি মাতৃভাষার গুরুত্বকে বিশ্বজনীন পরিসরে তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই এমন আয়োজন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কবি জয়নাল আবেদীন মুকুল বলেন, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারটি কক্সবাজার জেলার প্রথম শহীদ মিনার হিসেবে স্বীকৃত। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষকদের অবদান গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে খালেদ মোশাররফ, যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তার নেতৃত্বে কক্সবাজার হাইস্কুলের ছাত্ররা ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়।
বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের অংশ হিসেবে ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের কথা জানিয়ে ছাত্র পরিষদের সংগঠক ইয়াসির আরাফাত জানান, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসেই তাদের কর্মসূচি থাকবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত।