স্ত্রী-সন্তানসহ নাঈমুল ইসলাম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 25th, February 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তাদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আফরোজা হক খান এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো উৎস অর্থাৎ ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জন করে তা আড়াল করার অভিযোগ আছে। তার, স্ত্রীর ও তাদের তিন মেয়ের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা ও ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আছে এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। অবৈধ অর্থ পাচারসহ নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুই সদস্যের দল গঠন করা হয়।
দুদকের আবেদনে আরো বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত আইজিসহ পুলিশের ৮২ কর্মকর্তা ওএসডি
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা এক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) পুলিশের ৮২ কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি আবদুল আলীম মাহমুদ এবং ১৩ উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ৪৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১৯ জন পুলিশ সুপার পদের কর্মকর্তা রয়েছেন।
আজ এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক তিনটি আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশে ওএসডির কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানায়, এই ৮২ জন কর্মকর্তা ২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওএসডি মূলত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কার্যত দায়িত্বহীন করে দেওয়া। সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে কোনো কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হলে তা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবেই ধরা হয়। যদিও সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের অংশ।
গত কয়েক বছরে পুলিশের উচ্চপর্যায়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদল লক্ষ্য করা গেছে।
বিশেষত, সরকারের বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্তের আলোকে একাধিকবার পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওএসডি বা বদলি করা হয়েছে। তবে একসঙ্গে ৮২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করার ঘটনা নজিরবিহীন।
এএ