রোজার পর মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
Published: 25th, February 2025 GMT
আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট জুন মাসেই পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। রোজার পর মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশের ঘরে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
রোজা সামনে রেখে অর্থ উপদেষ্টার কাছে মানুষকে আশ্বস্ত করার মতো কোনো খবর আছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের কাছে আশ্বস্ত করার খবর হলো, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোজার সময় যে নিত্যপ্রয়োজনীয়.
ঢাকা/হাসনাত/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের আর কত অপেক্ষা করতে হবে
শিক্ষাবছরের প্রায় দুই মাস পার হতে চললেও সরকার বিনা মূল্যের সব পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। অন্যদিকে ‘মূল্য’ দিয়ে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই কেনা যাচ্ছে বাংলাবাজার, নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন বাজারে। কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে পাঠ্যবইয়ের কালোবাজারি রহিত করা যায়নি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য বলছে, প্রায় সাত কোটি বই ছাপা হওয়া বাকি, যার অধিকাংশই মাধ্যমিক পর্যায়ের। শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জনসহ কিছু সমস্যার কারণে এবার শিক্ষা বিভাগ থেকে বলা হয়েছিল, বই পেতে কিছুটা দেরি হবে। কিন্তু বাস্তবে সেই দেরি দুই মাস পেরিয়ে তৃতীয় মাসে গিয়ে পড়তে যাচ্ছে।
এনসিটিবির সূত্রমতে, নতুন শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৪০ কোটি ১৫ লাখ বই ছাপানোর আয়োজন করা হয়েছিল। পরে দেখা যায়, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চাহিদা জানানো হয়েছে। নতুন করে হিসাব করে দেখা যায়, মোট বই ছাপতে হবে আসলে ৩৯ কোটি ৬০ লাখের মতো। এর মধ্যে ৭ কোটি ছাপা হওয়া বাকি। মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) বই প্রয়োজন প্রায় ৩০ কোটি ৫০ লাখ। ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাধ্যমিকে ১১ কোটি ৭৫ লাখের মতো পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি। প্রাথমিকের প্রায় ৫৪ লাখ বই সরবরাহ বাকি আছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বই সরবরাহ করা হবে। সেই সময় অনেক আগেই চলে গেছে। এখন এনসিটিবি মনে করে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ যেসব পাঠ্যবইয়ের পরীক্ষা হয়, সেগুলো পাওয়া যাবে। যদিও পাঠ্যবই মুদ্রণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, ফেব্রুয়ারি শেষ হতে মাত্র ৪ দিন বাকি। এর মধ্যে বাকি বই সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এরপর রোজা ও ঈদের ছুটি। পাঠ্যবই পেতে শিক্ষার্থীদের আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে?
প্রায় প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের সময়মতো বই পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। কিন্তু এবারের সমস্যাটি অনেক বেশি। শিক্ষার্থীদের বই পেতে যদি মার্চ মাস লেগে যায়, তাদের হাতে সময় থাকবে মাত্র ৯ মাস। চলতি বছর কিছু বই পরিমার্জন করতে হবে, সেটা নিশ্চয়ই এনসিটিবির অজানা ছিল না। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে গত বছরের ৫ আগস্ট। এরপরও প্রায় পাঁচ মাস এনসিটিবি সময় পেয়েছে। কিন্তু তারা কাজটি ঠিকমতো করেনি। এর পেছনে কাদের কারসাজি ও গাফিলতি ছিল, খুঁজে বের করা হোক।
শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে বই পাচ্ছে না, কিন্তু তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিলে পুরো সেট কিনতে পাওয়া যায় বাংলাবাজার, নীলক্ষেতে। এর ব্যাখ্যা কী? অভিযোগ আছে, বই ছাপার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারও কারও সঙ্গে যোগসাজশ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কালোবাজারে বিনা মূল্যের বই বিক্রি করেন। বিনা মূল্যের বই বিতরণ দেরি হওয়ার কারণেই মূলত এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। আশা করি, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং পাঠ্যবই কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনবে।