সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন রোনালদোর ‘তত্ত্বাবধায়ক’ দাবি
Published: 25th, February 2025 GMT
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও গত ডিসেম্বরে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। এখনো দিন-তারিখ ঘোষণা করা না হলেও নিজেদের মতো করে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন রোনালদোসহ সংশ্লিষ্টরা।
এরই মধ্যে অবশ্য সিবিএফের নির্বাচনী কাঠামো, প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোনালদো। শুধু এটুকুই নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের জন্য ফিফা, কনমেবল, স্টেট ফেডারেশন এবং সিরি ‘আ’ ও সিরি ‘বি’র দলগুলোকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
নিজের লেখা চিঠিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন রোনালদো লিখেছেন, ‘আমি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলাম যে সিবিএফের আগামী নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। কিন্তু আমি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও আইনি নিশ্চয়তার অভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন বোধ করছি, যা কি না নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও বৈধতার সঙ্গে আপস করতে পারে। সৎ নির্বাচনে অবদান না রাখার পাশাপাশি এই মডেল বিকল্প প্রার্থীর উত্থানকেও কঠিন (সম্ভবত অসম্ভবও) করে তুলবে।’
আরও পড়ুনপ্রেসিডেন্ট হয়ে ব্রাজিলের ফুটবলকে চূড়ায় ফেরাতে চান রোনালদো ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪রোনালদো চিঠিতে আরও যোগ করেন, ‘এটা স্পষ্ট যে বর্তমান আইনের অধীনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের হাতে পুরো প্রক্রিয়ার ওপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যা আমাদের সুষ্ঠ ও সমতাভিত্তিক প্রতিযোগিতার শর্ত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।’
চিঠিতে ফিফা এবং কনমেবলকে নির্বাচন তদারকি করার অনুরোধও জানিয়েছেন রোনালদো। ‘দ্য ফেনোমেনন’খ্যাত বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা লিখেছেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অধিকতর স্বচ্ছতা ও আইনি নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে আমি অনুরোধ করছি ফিফা এবং কনমেবল যেন সরাসরি এই নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করে।’
কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোনালদো নাজারিও.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দীর্ঘদিন আত্মগোপনে, চাঁদরাতে বাড়িতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ছিলেন আত্মগোপনে। কিন্তু পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করার জন্য গ্রামের বাড়িতে আসেন। গ্রামের বাড়িতে এসেই স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনির শিকার হলেন এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।
রোববার রাতে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গণপিটুনির শিকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম মো. জসিম উদ্দিন জিসান (৩৬)। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কান্তার পাড়ার আহমদ নবীর ছেলে। এ ছাড়াও তিনি উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. জসিম উদ্দিন জিসান আত্মগোপনে থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিপক্ষে পোস্ট দিতেন। ফলে স্থানীয়রা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। সর্বশেষ রোববার ঈদ উদযাপনের জন্য তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। তার আসার খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।
বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে উপজেলার কেরানিহাট চত্বরে মিছিল করেছিল ছাত্র-জনতা। সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া গ্রামের গুরা মিয়া বাড়ির মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. তসলিম বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় জিসান ৫৮ নম্বর এজহারভুক্ত আসামি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, ৫ আগষ্টের পর থেকে জিসান ঘরে ছিল না। চাঁদ রাতে পরিবারের সদস্যদের জামা-কাপড় দিতে গেলে এলাকার লোকজন তাকে ধরে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে তার স্বজনরা চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জেনেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ বা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।