বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার
Published: 25th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা শাখার তিন নেতার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাইবান্ধ সদর থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৯-১০ জনকে আসামি করে মামলাটি হয়। এতে বাদী হয়েছেন সংগঠনটির গাইবান্ধা জেলা শাখার যুগ্ন সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
ছুরিকাঘাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৩ নেতা আহত, থানা ঘেরাও
বগুড়া যুবদল নেতার বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা, আহত ১
হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ মিছিল করে
এদিকে, হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গাইবান্ধা শহরের পৌর পার্কের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাইবান্ধা সরকারি কলেজে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা পরিকল্পিত হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিদুর ইসলাম তালুকদার বলেন, “বাদীর লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলার পরপরেই অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সুমন, কিরণ ও নাজমুল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের বাড়ি শহরের বিভিন্ন মহল্লায়।”
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাইবান্ধা শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী কুটির শিল্প ও পণ্য মেলায় একদল সন্ত্রাসী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে হামলাকারীদের ছুরিকাঘাতে সংগঠনটির গাইবান্ধা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আকাশ, মেহেদী হাসান ও যুগ্ন সদস্য সচিব শেফাউর রহমান শিপন আহত হন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাত ১২টার দিকে গাইবান্ধা সদর থানা ঘেরাও করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর থ ন শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
৩৭ বছর পর নির্বাচন ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনে, নতুন সভাপতি সাঈদ আহমেদ
বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) ২০২৫-২৬ মেয়াদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ। এ ছাড়া সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্সের পরিচালক আদিবা রহমান আর সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অগ্রণী ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল রোববার ঢাকার নয়াপল্টনে বিআইএর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাঁরা নির্বাচিত হন।
১৯৮৮ সালে সংগঠনটি গঠন হওয়ার পর এবারই প্রথম সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। বিআইএর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিআইএ জানিয়েছে, নির্বাচিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালের ইনস্যুরেন্সের পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ, সিটি ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেইন আখতার, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী এ কে এম সরোয়ার জাহান জামিল, গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ফারজানা চৌধুরী, সন্ধানী লাইফের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম, ফারইস্ট ইসলামি লাইফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বেঙ্গল ইসলামি লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, বেস্ট লাইফের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম, এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক আরিফ সিকদার, পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী বি এম ইউসুফ আলী, প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী জালালুল আজিম, জেনিথ ইসলামি লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান এবং ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. কাজীম উদ্দিন।
বিমা খাতে এমডি তথা মুখ্য নির্বাহীদের বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরাম নামে একটি সংগঠন রয়েছে, যার সদস্য মুখ্য নির্বাহীরাই। কিন্তু চেয়ারম্যানদের সংগঠন হিসেবে পরিচিতি থাকলেও বিআইএর কমিটিতেও মুখ্য নির্বাহী বা সাধারণ পরিচালকেরাও এবার নির্বাচিত হয়েছেন।
জানতে চাইলে বিআইএর নতুন সহসভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীরা বিআইএর কমিটিতে এখন পর্যন্ত থাকতে পারছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে এর একটি সুরাহা করা হবে।’
১৯৮৮ সালে বিআইএ গঠিত হয়। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্যসংখ্যা ৮০, তবে ভোটার ৭৬ জন। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৫৩ জন সদস্য। ২০১১ সাল থেকে টানা সংগঠনটির সভাপতি ছিলেন শেখ কবির হোসেন, যিনি বিমা খাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা হিসেবে পরিচিত। তাঁর এমন পরিচিতির কারণে বিআইএতে স্বাভাবিক নির্বাচন হতো না বলে জানা গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২০ আগস্ট বিআইএ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ কবির হোসেন।
শেখ কবির হোসেনের পদত্যাগের পর গত বছরের অক্টোবরে সভাপতির দায়িত্ব পান মেঘনা লাইফ ও কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ। এর আগে তিনি সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি ছিলেন। আগামী ৮ এপ্রিল ২০২৩-২৪ মেয়াদের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মেয়াদ শেষের আগে কেন নির্বাচন, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সামনে রোজা চলে আসায় আমিই অনুরোধ করেছিলাম নির্বাচনটা যাতে আগে শেষ করা যায়। ১ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্বে আছি। তবে ৩৭ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে।’