সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটি।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমদ এসব তথ্য জানিয়েছে।

সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ-

১.

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি বাড়াতে হবে। অপরাধ প্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে টার্গেট এলাকায় জোরদার অপারেশন পরিচালনা করা হবে।

২. রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নৌবাহিনীর একটি অতিরিক্ত পেট্রোল এবং কিছু এলাকায় কোস্ট গার্ডের একটি অতিরিক্ত পেট্রোল নিয়োজিত থাকবে।

৩. পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপ-পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন।

৪. ডিএমপির পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয় করা হবে, যেন তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের পাকড়াও করা যায়।

৫. ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা অবস্থান করতে পারে এমন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হবে।

৬. ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে টঙ্গি, বসিলা, কেরানীগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকায়ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হবে।

৭. ৫০০ এপিবিএন সদস্য ডিএমপিতে ন্যস্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে।

৮. থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আইনের আওতায় আনতে তড়িৎ পদক্ষেপ নেবে।

৯. মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিপরীতে সত্য তথ্যগুলো প্রচারে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট এল ক য সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

র‌্যাব-পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করতো সবুজ

র‌্যাব-পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করা সবুজ মিয়া ওরফে শ্যামল‌কে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার ছোট গৌরিচন্না গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সবুজ মিয়া ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভাবখালি গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিধান করে ছদ্মবেশ ধারণ করে ডাকাতি করার অপরাধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘‘সবুজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করতো। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে অবস্থান করতো। এ ছাড়াও নাম পরিবর্তন করে গা-ঢাকা দিয়ে থাকতেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠিয়ে সবুজের রিমান্ড চাওয়া হবে।’’

 

ঢাকা/ইমরান/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ