কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদনের সময় বৃদ্ধি
Published: 25th, February 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতকে (সম্মান) ভর্তি আবেদন এবং আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময় বেড়েছে। পরিবর্তিত সময় অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে ২ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতকে (সম্মান) ভর্তির আবদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ফি জমা দিতে পারবেন ২ মার্চ পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো.
আগামী ১৯ এপ্রিল ‘সি’ ইউনিটের সকাল ১০টায় ও ‘এ’ ইউনিটের বেলা ৩টায় এবং ২৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায় ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স, ফি ৩০০ টাকা১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি: এমসিসি
অর্থবছরের দ্বিতীয় বা অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, সেখান থেকে অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এই সময় দেশের রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বেড়েছে। যদিও মূল্যস্ফীতিসহ আরও বেশ কিছু চাপ রয়ে গেছে।
দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের যে পতন শুরু হয়েছিল, তা থেমেছে, যদিও অনিশ্চয়তার কিছু জায়গা রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশি মুদ্রার দরপতন থেমেছে। চলতি হিসাবের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অর্থনীতির পর্যালোচনায় এসব কথা বলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতির ধারাবাহিক পুনরুদ্ধার হলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ আরও বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন রাজস্ব সংগ্রহের গতি কমে যাওয়া, সরকারি ব্যয় কমে যাওয়া, কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া, বিনিয়োগ পরিস্থিতির অবনতি ও ব্যাংকিং খাতের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে।
এমসিসিআই মনে করছে, আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই গৃহীত নীতির কারণে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রবাসী আয় ও রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময় প্রবাসী আয় প্রবাহে ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং রপ্তানিতে ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ কারণে বেশ কয়েক মাস পর চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত দেখা যাচ্ছে। বাস্তবতা হলো, পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ে ৩৪৭ কোটি মার্কিন ডলার ঘাটতি কাটিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত আছে ৩৩ মিলিয়ন বা ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
একই সঙ্গে দেশের আর্থিক হিসাবেরও উন্নতি হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তথ্য উদ্ধৃত করে এমসিসিআই দেখিয়েছে, ২০২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে উদ্বৃত্ত ছিল ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ২০২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে উদ্বৃত্ত বেড়ে ১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন বা ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলারে উঠেছে। মূলধন হিসাবও ৩৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উদ্বৃত্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৭ মিলিয়ন বা ২১ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। ফলে দেশের সামগ্রিক ভারসাম্যের ঘাটতি কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে যা ছিল ৩৪৫ কোটি ডলার, এবার তা ৩৮ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারে নেমে এসে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি বেড়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। প্রবাসী আয় ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধি এর চেয়ে বেশি হওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। অক্টোবর-ডিসেম্বর সময় দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন বা ৯৭৬ কোটি মার্কিন ডলার।