গোল্ডেন হার্ভেস্টের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
Published: 25th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এ-’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-৪’ রেটিং হয়েছে।
কোম্পানিটির ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্য অনুযায়ী এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসকেএস
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি: এমসিসি
অর্থবছরের দ্বিতীয় বা অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, সেখান থেকে অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এই সময় দেশের রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বেড়েছে। যদিও মূল্যস্ফীতিসহ আরও বেশ কিছু চাপ রয়ে গেছে।
দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের যে পতন শুরু হয়েছিল, তা থেমেছে, যদিও অনিশ্চয়তার কিছু জায়গা রয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশি মুদ্রার দরপতন থেমেছে। চলতি হিসাবের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অর্থনীতির পর্যালোচনায় এসব কথা বলেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতির ধারাবাহিক পুনরুদ্ধার হলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ আরও বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ আছে। যেমন রাজস্ব সংগ্রহের গতি কমে যাওয়া, সরকারি ব্যয় কমে যাওয়া, কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া, বিনিয়োগ পরিস্থিতির অবনতি ও ব্যাংকিং খাতের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে।
এমসিসিআই মনে করছে, আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই গৃহীত নীতির কারণে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রবাসী আয় ও রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময় প্রবাসী আয় প্রবাহে ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং রপ্তানিতে ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ কারণে বেশ কয়েক মাস পর চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত দেখা যাচ্ছে। বাস্তবতা হলো, পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ে ৩৪৭ কোটি মার্কিন ডলার ঘাটতি কাটিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত আছে ৩৩ মিলিয়ন বা ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
একই সঙ্গে দেশের আর্থিক হিসাবেরও উন্নতি হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তথ্য উদ্ধৃত করে এমসিসিআই দেখিয়েছে, ২০২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে উদ্বৃত্ত ছিল ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। ২০২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে উদ্বৃত্ত বেড়ে ১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন বা ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলারে উঠেছে। মূলধন হিসাবও ৩৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উদ্বৃত্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৭ মিলিয়ন বা ২১ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। ফলে দেশের সামগ্রিক ভারসাম্যের ঘাটতি কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে যা ছিল ৩৪৫ কোটি ডলার, এবার তা ৩৮ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারে নেমে এসে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি বেড়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। প্রবাসী আয় ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধি এর চেয়ে বেশি হওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। অক্টোবর-ডিসেম্বর সময় দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন বা ৯৭৬ কোটি মার্কিন ডলার।