Risingbd:
2025-02-25@11:25:06 GMT

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ

Published: 25th, February 2025 GMT

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল যে, নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন পদত্যাগ করেই তিনি নতুন দলে যোগ দেবেন। আজ তার পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে সে পথ অনেকটা সুগম হলো। আগামী শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদের পক্ষ থেকে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হবে।

 

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম পদত য গ উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধীর যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন জয় বাংলা ক্লাবের সভাপতি

পটুয়াখালীর মহিপুর থানার জয় বাংলা ক্লাবের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের কলাপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মুসুল্লি সাভার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পেয়েছেন। গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সভার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষিত হয়। সেই কমিটিতে তাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

জানা যায়, পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান এবং তার স্ত্রী কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফাতেমা আক্তার রেখার ঘনিষ্ঠ ছিলেন রাকিব মুসুল্লি। তিনি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ‘জয় বাংলা ক্লাব’ -এর মহিপুর থানা শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের কলাপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। রাকিবের বাবা মো. মজিবর মুসুল্লি কুয়াকাটা পৌর কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি। 

স্থানীয়দের অভিযোগ রাকিব মুসুল্লি ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় সমাজসেবা সংগঠনের নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলেন। এই সংগঠনের আড়ালে তিনি চাঁদাবাজি করতেন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে এই সংগঠনে অর্থ দিতে বাধ্য করতেন তিনি। এছাড়া বিএনপি ও জামায়েতপন্থি ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করতেন রাকিব।

গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর মতো রাকিবও এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। তিনি এলাকা ছেড়ে ঢাকার সাভারে আশ্রয় নেন। সেখানে রাকিব মুসুল্লি ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। সবশেষ সাভার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পান।

আলিপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. আল সাঈদ বলেন, ‘আমার বাবা আলীপুরের একজন ব্যবসায়ী। আমরা পারিবারিকভাবে বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনো মানুষের বিরোধ নেই। শুধু বিএনপি করার অপরাধে রাকিব মুসুল্লি আমার নামে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে মালামাল নিয়ে টাকা দিত না রাকিব। শুরু আমার কাছ থেকে নয়, বহু মানুষের কাছ থেকে সে নিয়মিত টাকা নিত।’

এ বিষয়ে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক ও সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৃহত্তর উত্তরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবু সালেহ অমি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে এ দেশকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করেছে। সেখানে ফ্যাসিস্টের একজন দোসর কীভাবে এমন পদ পেল? আমরা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের ৩৬ ঘণ্টার সময় দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে তাকে কমিটি থেকে বাদি দিয়ে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিচ্ছি। যদি প্রমাণিত হয় তিনি ফ্যাসিস্টের দোসর, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে রাকিবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ