ঘোড়া দিয়ে হালচাষ-কথাটি এতদিন ব্যাঙ্গার্থে ব্যবহার হলেও এখন আর এটি ব্যাঙ্গাত্মক নয়। দিনাজপুরের হিলিতে দেখা মিললো ঘোড়া দিয়ে হালচাষ-এর। 

গরুর পরিবর্তে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করছেন জাহের উদ্দিন নামের একজন চাষি। সংসারে অভাব-অনটন দূর করতেই এই কাজ করছেন তিনি।

হিলি সীমান্তের মংলা গ্রামের ৬০ বছর বয়সী বাসিন্দা জাহের উদ্দিন। এক সময় অভাবের কারণে বাড়ির একমাত্র উপার্জনের গরুর হালটি বিক্রি করে ফেলেন তিনি। বসে খেলে রাজার ভান্ডারও শেষ হয়ে যায়। কিন্তু যে হালটি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন আজ তার দাম প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এতো টাকা জোগাড় করার মতো ক্ষমতা নেই এই জাহের উদ্দিনের। পরে নিজস্ব বুদ্ধি খাটিয়ে ১২ হাজার করে ২টি ঘোড়া ২৪ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন তিনি। ঘোড়াকে হালচাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন।

ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করছেন জাহের উদ্দিন

ঘোড়া দিয়ে হালচাষ শুরু করার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জাহের উদ্দিনকে। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই বিঘা ধানা জমিসহ বিভিন্ন ফসলের জমি চাষ করেন তিনি। ৬০০ টাকা বিঘা হিসেবে দিনে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা বর্তমানে ঘোড়া দিয়ে তার আয়। তবে প্রতিদিন ঘোড়া দুটির খাবার বাবদ খরচ হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। বাকি ১২০০ টাকা তার দিন কামাই। সংসার আজ সচ্ছল তার।

মকবুল হোসেন নামের একজন কৃষক বলেন, “আমার মোট ৬ বিঘা আবাদি জমি আছে। ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে থাকি। এগুলো আমাদের পলি মাটি তাই সহজে চাষ করা যায়। আমাদের এলাকায় জাহের ভাইয়ের ঘোড়ার হালচাষ আছে। গরুর হালচাষের চেয়ে ২০০ টাকা কম দামে পাওয়া যায় এবং গরুর হালচাষের চেয়ে ঘোড়ার হালচাষ খারাপ না। আমি আমার সব জমি ঘোড়ার হাল দিয়ে চাষ করে থাকি।” 

জাহের উদ্দিন বলেন, “আমরা দুইটি গরুর হাল ছিলো, অভাবের কারণে বিক্রি করে ফেলেছিলাম। কম দামে দুটি ঘোড়া কিনে মানুষের জমি চাষ দিয়ে যাচ্ছি। একটা ঘোড়া দিয়ে হাল দিতে শুরু করি, একটা হাঁপিয়ে উঠলে আবার আর একটা দিয়ে শুরু করি। তবে বর্তমান দেশের যে পরিস্থিতি তাতে চোর-ডাকাতের ভয়ে গরু বাড়িতে রাখা মুশকিল। কিন্তু ঘোড়াকে নিয়ে চুরি-ডাকাতির কোন ভয় নেই। সারাদিন সারারাত ছেড়ে দেওয়া থাকলেও কোন চিন্তা থাকে না। দুইটা ঘোড়া কিনে আজ আমার ভাগ্য খুলে গেছে।”

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ষ কর করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার পর নিজ ফেসবুকে পেইজে বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।  

ফেসবুকে আসিফের দেওয়া পোস্টটি তুলে দেওয়া হলো- প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। গতকাল রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। 

তিনি পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম। আমার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোন কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
  • রিয়ালের আগ্রহ নিয়ে মুখ খুললেন অ্যালিস্টার 
  • ‘কিছু লোকজনের অনুরোধে’ ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে ‘বিব্রত’ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবা
  • সরকার বাংলাদেশকে উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রে রূপান্তর করতে চায়: বিনিয়োগকারীদের প্রধান উপদেষ্টা
  • দুর্লভ হীরা চুরি, প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার খেলা
  • ‘জুয়েল থিফ’
  • বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ
  • বাবার ঠিকাদারির লাইসেন্স ছিল, জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
  • রহস্যময় ‘জুয়েল থিফ: দ্য হাইয়েস্ট বিগিন্স’
  • বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ