ওয়াসিম জাফরের কাঠগড়ায়ও মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ
Published: 25th, February 2025 GMT
বিশ্লেষকদেরও বিরক্ত লাগার কথা। একই কথা ঘুরিয়ে–ফিরেয়ে কতবার বলা যায়! প্রতিটি আইসিসি টুর্নামেন্টে তো বাংলাদেশ একই গল্প লেখে। কারণও তো একই রকম...ভুল শট খেলা, সিঙ্গেল খেলতে না পারা, চাপ নিয়ে ফেলা, একের পর এক সুযোগ নষ্ট করা..এসবই তো।
বাংলাদেশ কাল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাদ পড়ার পর এই কথাগুলোই আবার বলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক ওয়াসিম জাফর ও সাবেক কিউই পেসার শেন বন্ড।
ওয়াসিম জাফর অবশ্য আলাদা করে কাল মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর নাম উল্লেখ করেছেন। সেটা তাঁদের ব্যর্থতার কারণেই। ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ওয়াসিম জাফর বলেছেন, ‘আমরা শুধু ২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিবকে অসাধারণ পারফরম করতে দেখেছি। আমি জানি না এটা কি চাপের কারণে হয়, নাকি তারা নিজেরাই বেশি চাপ নিয়ে ফেলে—তারা ঠিকভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারে না। আজ আমরা যে শট নির্বাচন দেখেছি, তা খুবই হতাশাজনক। মুশফিক যে শটটি খেলেছে, মাহমুদউল্লাহ যে বেপরোয়া শটটি খেলেছে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা।
শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।
এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।
সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।
টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।
একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।