সাজেকের পর্যটনকেন্দ্রে আগুন, কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের কমিটি
Published: 25th, February 2025 GMT
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে (রুইলুই ভ্যালি) আগুনের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে আগুনের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে পাঁচজন সদস্য থাকবেন। তাঁরা কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন। এ ছাড়া সাজেক এলাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়েও সুপারিশ করবে তদন্ত কমিটি।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো.
গতকাল সোমবার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ ও বসতঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৯৪টির অধিক রিসোর্ট-কটেজ ও বসতঘর। সাজেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় খাগড়াছড়ি থেকে অন্তত ১১টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার প্রায় তিন ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাজেকে আগুনে পুড়ল ১৫০ রিসোর্ট-দোকান
রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে আগুনে কমপক্ষে ১৫০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌনে ১টায় ইকো ভ্যালি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মুহূর্তে আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস, সেনা সদস্যদের চেষ্টায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুনে নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুপুর পৌনে ১টায় একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সাজেকের অধিকাংশ রিসোর্ট কাঠ ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া সাজেক ভ্যালিতে ফায়ার সার্ভিসের কোনো স্টেশন না থাকায় এবং পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে নিকটবর্তী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা থেকে দুটি ইউনিট রওনা দেয়। পাহাড়ি পথে তাদের পৌঁছতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এরপর আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও সাজেকে পানি না থাকায় দূর গ্রাম থেকে বার বার পানি এনে বেগ পেতে হচ্ছিল। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর থেকে আরো দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। কিন্তু বাতাসের তীব্রতা, পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। মোট চারটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিল।
আারো পড়ুন: সাজেকে আগুনে পুড়ছে রিসোর্ট
আরো পড়ুন:
সাজেকে আগুনে পুড়ছে রিসোর্ট
সাভারে কারখানার গুদামে আগুন, এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, আগুনের তীব্রতা এবং পানি সঙ্কটের কারণে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানান, সব মিলে ১৫০টি রিসোর্ট, দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি ছিটানোর আলোচনা হলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় সেটা করা হয়নি।
ঢাকা/শংকর/বকুল