কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাস সড়কের পাশে উল্টে গেছে। এতে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের ইবির নিজস্ব চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ওসি আল মামুন বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশের ইমার্জেন্সি টিম পাঠানো হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

চকরিয়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫

অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, প্রাণ গেল ২ যুবকের

আহত শিক্ষার্থীরা জানান, বাসটি কুষ্টিয়া শহর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বিত্তিপাড়ার আগে ফাঁকা মাঠে বাসটি উল্টে যায়।

ইবির চিফ মেডিক্যাল অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, “একজনের আঘাত কিছুটা সিরিয়াস। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজনের এখানে চিকিৎসা চলছে।” 

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত

এছাড়াও পড়ুন:

দাদা জাপটে ধরে রাখেন, বিষ প্রয়োগ করেন চাচা

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে। শুক্রবার নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। জমি নিয়ে কলহের জেরে সিরিঞ্জের মাধ্যমে কিশোরীর শরীরে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বজনরা দাবি করেছেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এতে বলা হয়, ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরে। সাংসারিক কাজে মা বাইরে ছিলেন। এ সুযোগে দাদা ও চাচা তার ঘরে যান। দাদা মোসলেম মণ্ডল তার পাশে বসে জাপটে ধরেন। চাচা সাজিম মণ্ডল পকেট থেকে ইনজেকশন বের করে তার বাঁ হাতের শিরায় প্রয়োগ করেন। এ কথা কাউকে বললে বাবা ও ভাইকেও হত্যার হুমকি দেন।

মা খুশি বেগম বাড়িতে ফিরে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে প্রতিবেশীর সহযোগিতায় নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদাকে হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা।

স্বজনদের ভাষ্য, মৃত্যর আগে তার শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে দাদা ও চাচা বিষ প্রয়োগ করেছেন বলে জানিয়ে গেছে সানজিদা। তার বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সানজিদার মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম ও মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন। নিহত কিশোরী উপজেলার আন্দারকোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী শামসুল মণ্ডলের মেয়ে। সে ঘোষগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে পর্যায়ক্রমে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করছেন। 

শামসুলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, বাড়ির উত্তরে বাবা মোসলেম মণ্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে চার বছর আগে তৈরি মাটির বাড়িতে তারা থাকতেন। সেখানে পাকা বাড়ি করার উদ্যোগ নিলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মণ্ডল বাধা দেন। তারা দক্ষিণে নিচু জায়গায় বাড়ি করতে বলেন। এ নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। 

বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে দাদা ও চাচার কলহ লেগে থাকত বলে অভিযোগ করেন ফজলুর রহমান। এর জেরে মোসলেম ও সাজিম গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ঘটনার পর থেকে মোসলেম ও সাজিম মণ্ডল পলাতক রয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজিম মণ্ডলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। বাড়িতে গিয়েও দু’জনকে পাওয়া যায়নি।

আত্রাই থানার ওসি মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। কিশোরীর ময়নাতদন্তও সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ