বিমান টিকিটে দশ দিনের আবগারি শুল্ক নেবে না এনবিআর
Published: 25th, February 2025 GMT
বিমান টিকিটে দশ দিনের অনাদায়ি আবগারি শুল্কে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি আকাশপথে ভ্রমণের ওপর দূরত্বভেদে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয় এবং তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু আবগারি শুল্ক আদায় জটিলতার কারণে ৯ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অনাদায়ি বাড়তি আবগারি শুল্কে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
টিকিটের দামের সঙ্গে আবগারি শুল্ক অন্তর্ভুক্ত থাকে। এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রির সময় তা আদায় করে থাকে। পরে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ আদায় করা আবগারি শুল্ক সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।
ভ্রমণের তারিখের ছয় মাস আগে থেকে টিকিট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবগারি শুল্ক তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়। নতুন আবগারি শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে বিক্রি হওয়া টিকিটে আগের আবগারি শুল্ক কেটে রাখা হয়। আবার বিক্রি করা টিকিটের ওপর বাড়তি আবগারি শুল্ক আদায় করা সম্ভব হয় না।
এসব জটিলতার কথা জানিয়ে সম্প্রতি এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর ৯ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্যু করা বিমান টিকিট বা বহির্গমনকৃত যাত্রীদের কাছ থেকে আবগারি শুল্ক আদায়ে ছাড় দিয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি এনবিআর আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ পথে বিমানযাত্রায় আবগারি শুল্কের পরিমাণ ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা; সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণে আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা এবং সার্কভুক্ত দেশের বাইরে (এশিয়ার মধ্যে) ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়। এ ছাড়া ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণে আবগারি শুল্ক ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ রমণ
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-সন্তানসহ নাঈমুল ইসলাম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তাদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আফরোজা হক খান এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো উৎস অর্থাৎ ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জন করে তা আড়াল করার অভিযোগ আছে। তার, স্ত্রীর ও তাদের তিন মেয়ের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা ও ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আছে এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। অবৈধ অর্থ পাচারসহ নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুই সদস্যের দল গঠন করা হয়।
দুদকের আবেদনে আরো বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/রফিক