বিমান টিকিটে দশ দিনের অনাদায়ি আবগারি শুল্কে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি আকাশপথে ভ্রমণের ওপর দূরত্বভেদে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয় এবং তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু আবগারি শুল্ক আদায় জটিলতার কারণে ৯ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অনাদায়ি বাড়তি আবগারি শুল্কে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

টিকিটের দামের সঙ্গে আবগারি শুল্ক অন্তর্ভুক্ত থাকে। এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রির সময় তা আদায় করে থাকে। পরে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ আদায় করা আবগারি শুল্ক সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।

ভ্রমণের তারিখের ছয় মাস আগে থেকে টিকিট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবগারি শুল্ক তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়। নতুন আবগারি শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে বিক্রি হওয়া টিকিটে আগের আবগারি শুল্ক কেটে রাখা হয়। আবার বিক্রি করা টিকিটের ওপর বাড়তি আবগারি শুল্ক আদায় করা সম্ভব হয় না।

এসব জটিলতার কথা জানিয়ে সম্প্রতি এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর ৯ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্যু করা বিমান টিকিট বা বহির্গমনকৃত যাত্রীদের কাছ থেকে আবগারি শুল্ক আদায়ে ছাড় দিয়েছে।  

গত ৯ জানুয়ারি এনবিআর আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ পথে বিমানযাত্রায় আবগারি শুল্কের পরিমাণ ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা; সার্কভুক্ত দেশ ভ্রমণে আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা এবং সার্কভুক্ত দেশের বাইরে (এশিয়ার মধ্যে) ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়। এ ছাড়া ইউরোপ ও আমেরিকা ভ্রমণে আবগারি শুল্ক ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘সাধুমেলা’

মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।

পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।   
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ