রাঙামাটির পর্যটন এলাকা সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটকদের আপাতত সেখানে ভ্রমণে যেতে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিরিন আক্তার বলেন, গতকাল সোমবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২০টির বেশি রিসোর্ট, কটেজ ও ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। ঘটনার পর পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাময়িক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর সেখান থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় লোকজন ও সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, গতকাল দুপুরে রুইলুইপাড়ার হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) লাল থাংয়া লুসাইয়ের বাসভবনের পাশে সাজেক ইকো ভ্যালি নামের একটি রিসোর্টে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশের বসতঘর ও রিসোর্ট-কটেজে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। এ সময় আতঙ্কিত কয়েক শ পর্যটক রিসোর্ট-কটেজ থেকে বেরিয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াকাটায় ৬ লাখ পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা 

ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের ছুটিকে কেন্দ্র করে সমুদ্রকন্যা খ্যাত কুয়াকাটাকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে স্থানীয় প্রশাসন, ব্যবসায়ী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

বিগত বছরগুলোতে ঈদ পরবর্তী টানা ১৫ দিন লাখ লাখ পর্যটকে মুখরিত ছিল কুয়াকাটা। এবারো তেমনটাই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের ধারণা, ঈদের দিন থেকে পরবর্তী ছয়দিন ৬ লাখ পর্যটক সমাগম হতে পারে। 

ইতোমধ্যে আগাম বুকিং হয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল-মোটেল। আগত পর্যটকদের বরণে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে সবকিছু বলে জানিয়েছেন ট্যুর অপারেটরস এ্যাসোশিয়েশন অফ কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার।

আরো পড়ুন:

পর্যটক বরণে নতুন সাজে কক্সবাজার

ব্যস্ততা বেড়েছে রাঙামাটির তাঁত কারখানাগুলোতে

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতে বেঞ্চি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান সাজানোয় ব্যস্ত। অনেকে আবার নিজেদের দোকানের চেয়ার-টেবিল মেরামত করছিলেন। কসমেটিক্স এবং গার্মেন্টেসের দোকানগুলোতে নতুন পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স প্রদর্শন করতে দেখা গেছে দোকানিদের। হোটেল-মোটেল রং তুলির আচড়ে আকর্ষণীয় করে তুলছেন মালিকরা। মোট কথা ঈদ উপলক্ষে পর্যটক বরণে কোনো কমতি রাখছেন না পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১৬টি পেশার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা।

হোটেল ফ্রেন্ডস পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ সুমন বলেন, “আমাদের হোটেলের সব কক্ষ ঈদের দিন থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এখনো বুকিং হচ্ছে। আশা করছি, ১৫ তারিখ পর্যন্ত বুকিং হবে, তেমনই সরা পাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের হোটেল রং করা এবং ধোয়া মুছার কাজ শেষ করেছি।” 

হোটেল রাজমহলের জেনারেল ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী বলেন, “আমাদের হোটেলের ঈদের দিন থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত ৮০ ভাগ রুম বুকিং হয়েছে। ঈদের আরো দুইদিন বাকি, আশা করছি সব রুম বুকিং হবে। রোজায় পর্যটক শূন্য থাকার কারণে যে লোকসানে পড়েছি, আশা করছি তা কাটিয়ে উঠতে পারব।”

ট্যুর অপারেটর এ্যাশোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, “ঈদের ছয়দিনে আশা করছি, ৬ থেকে ৭ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে। পর্যটকদের বরণে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ব্যবসায়ীরা।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক আহাদুজ্জামান বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। থানা পুলিশ এবং নৌ-পুলিশও মাঠে কাজ করবে। আশা করছি, ঈদের পরে আগত পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত মৌলভীবাজার
  • কুয়াকাটায় ৬ লাখ পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা 
  • পর্যটক বরণে প্রস্তুত শ্রীমঙ্গল, ৭০-৮০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং সম্পন্ন
  • পর্যটক বরণে নতুন সাজে কক্সবাজার