রাঙামাটির পর্যটন এলাকা সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটকদের আপাতত সেখানে ভ্রমণে যেতে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিরিন আক্তার বলেন, গতকাল সোমবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২০টির বেশি রিসোর্ট, কটেজ ও ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। ঘটনার পর পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাময়িক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর সেখান থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয় লোকজন ও সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, গতকাল দুপুরে রুইলুইপাড়ার হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) লাল থাংয়া লুসাইয়ের বাসভবনের পাশে সাজেক ইকো ভ্যালি নামের একটি রিসোর্টে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশের বসতঘর ও রিসোর্ট-কটেজে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। এ সময় আতঙ্কিত কয়েক শ পর্যটক রিসোর্ট-কটেজ থেকে বেরিয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাজেকে যেতে পারবেন পর্যটকরা

দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিল রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। তবে, একদিন অতিবাহিত হওয়ার আগেই ভ্রমণে দেওয়া সেই বিধি-নিষেধ তুলে নিয়েছে তারা। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। 

এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান মো. সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়।

আরো পড়ুন:

খুলছে দেবতাখুম ভ্রমণের দুয়ার

মাউন্ট একঙ্কাগুয়া অভিযানে যাচ্ছেন জাফর সাদেক

মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সাজেক রিসোর্ট কটেজ ব্যবসায়ীদের একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। তারা বলেছেন, যেহেতু পর্যটন মৌসুম শেষের দিকে এবং পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে, তাই এই কয়েকদিন তারা ব্যবসা করতে না পারলে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”

তিনি আরো বলেন, “এখনো সাজেকের অনেক রিসোর্ট কটেজ অক্ষত আছে, তাই আমরা সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভ্রমণে নিরুৎসাহিতকরণের বিষয়টি তুলে নেওয়া হয়েছে।” 

এই বিষয়ে কটেজ এন্ড রিসোর্ট এসোসিয়েশন অব সাজেকের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের কারণে আমরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। তার ওপর এখন যদি নিরুৎসাহিতকরণের কারণে পর্যটক আসা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমরা পথে বসে যাব। প্রশাসনের নিরুৎসাহিতকরণ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রশাসনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” 

গতকাল সোমবার দুপুরে সাজেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৯৫টি রিসোর্ট-কটেজ, দোকান ও বাড়ি পুড়ে যায়।

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাজেকে যেতে পারবেন পর্যটকরা
  • সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করল প্রশাসন
  • সাজেক ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত
  • সাজেকে পুড়ে ছাই ৯৪ রিসোর্ট রেস্তোরাঁ দোকান
  • সৈকতে উৎসবে মাতল ২১ জাতিগোষ্ঠীর মানুষ