শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের বাসভবনে তালা না দিয়ে ফিরে গেছেন শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ১৮ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিতে গেলে শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানান।

কুয়েটের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ১৮ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান। এ সময় তারা হ্যান্ডমাইকে উপাচার্যের বাসভবনে যারা রয়েছে তাদের ৫ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে বাসা খালি করার আহ্বান জানান। ভেতরে তখন উপাচার্য শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন।

একপর্যায়ে শিক্ষকরা গেটের কাছে এসে শিক্ষার্থীদের তালা লাগানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। তালা লাগানো হলে শিক্ষকরা গণপদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেন। তখন শিক্ষার্থীরা তালা না দিয়ে ফিরে যান।

পরে শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিজেরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষকর

এছাড়াও পড়ুন:

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশ কাথলিক মণ্ডলীর শোক প্রকাশ

কাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু এবং ভ্যাটিকান সিটির প্রধান পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশ খ্রিষ্টমণ্ডলী গভীর শোক প্রকাশ করছে। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়। আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ এ শোকবার্তা পাঠান।

পোপ ফ্রান্সিস গত সোমবার (২১ এপ্রিল) ভাটিকানের নিজ বাসভবন কাজা সান্তা মার্তায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স ছিল ৮৮ বছর।

বাংলাদেশ খ্রিষ্টমণ্ডলীর শোকবার্তায় বলা হয়, পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন এক অসাধারণ মানবতাবাদী নেতা। তিনি শান্তি, সহানুভূতি এবং সাম্যের বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে কাথলিক চার্চ বিশ্বব্যাপী দরিদ্র, শরণার্থী, অভিবাসী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি ধর্মীয় সহাবস্থান এবং আন্তধর্মীয় সংলাপের এক গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর ছিলেন। বিশ্ব ধর্মীয় নেতৃত্বে তাঁর অবদান ও মানবিক মূল্যবোধ সবার অনুপ্রেরণা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণকারী পোপ ফ্রান্সিসই প্রথম লাতিন আমেরিকান ও অ-ইউরোপীয় পোপ। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মার্চ পোপীয় দায়িত্ব গ্রহণকারী পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন শান্তি-সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এসেছিলেন সবুজ শ্যামল বাংলার বুকে। গভীর মমতা ও ভালোবাসায় শুনেছেন মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কষ্টের কথা, প্রকাশ্যে নীরবে কেঁদেছেন আর নাড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বকে। এমনিভাবে অন্যায়-অন্যায্যতা, নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং প্রকৃতি ও দরিদ্রদের পক্ষে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ববিবেক।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোমের জেমেল্লি হাসপাতালে ভর্তি হন পোপ ফ্রান্সিস। দীর্ঘ ৩৮ দিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজ বাসভবন ভ্যাটিকানের কাজা সান্তা মার্তায় থাকতে থাকেন। গত রোববার ইস্টার সানডেতে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স বাসিলিকার বারান্দা থেকে হাত নেড়ে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে সমবেত উচ্ছ্বসিত শত-সহস্র তীর্থযাত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। পরদিন ২১ এপ্রিল রোমের সময় সকাল সোয়া সাতটায় পোপ ফ্রান্সিস মৃত্যুবরণ করেন। ভ্যাটিকান মৃত্যুর খবর প্রকাশ করলে বিশ্বের সব প্রান্তের সব স্তরের মানুষ শোক প্রকাশে একাত্ম হন। বাংলাদেশ কাথলিক মণ্ডলীও তাদের প্রিয় পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ব্যথিত ও শোকাহত। তাঁর আত্মার কল্যাণে ভক্তকুল প্রার্থনারত।

শোকবার্তায় আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ‘পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু শুধুমাত্র কাথলিকদের জন্যই বড় একটি ক্ষতি নয়; ধর্মীয় অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি। দরিদ্র, প্রান্তিক ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার যে কৃষ্টি পোপ ফ্রান্সিস সৃষ্টি করেছেন, তা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। প্রয়াত পোপ আমাদের আলোকবর্তিকা হয়ে থাকুন। আমরা তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশ কাথলিক মণ্ডলীর শোক প্রকাশ
  • শুল্ক ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনকে সন্তুষ্ট করতে চাইছে ভারত