সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ইলন মাস্কের স্টারলিংককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো ও তা চালু করার মূল কারণ হচ্ছে অনলাইন শাটডাউন চিরতরে বন্ধ করার জন্য।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে একথা জানান।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার পোস্টে লেখেন, ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক বাংলাদেশে ইনভাইট করে চালু হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে অনলাইন শাটডাউন ব্যবসা চিরতরে বন্ধ করা।

তিনি লেখেন, শেখ হাসিনা একনায়কতন্ত্র ১৬ বছরের শাসনকালে অনেকবার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। ইন্টারনেট শাটডাউন হচ্ছে স্বৈরশাসক ও স্বৈরাচারীদের একটি প্রিয় হাতিয়ার বিক্ষোভ দমন করতে বা কোন প্রধান বিরোধী আন্দোলন দমন করতে।

তিনি আরও লেখেন, কিন্তু এই প্রক্রিয়ায়, হাজার হাজার ফ্রি ল্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিল। কেউ কেউ তাদের চুক্তি এবং চাকরি চিরতরে হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশের বাজারে স্টারলিংকের আগমন মানে ভবিষ্যৎ কোন সরকারই ইন্টারনেট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে পারবে না। অন্তত বিপিও প্রতিষ্ঠান, কল সেন্টার এবং ফ্রি ল্যান্সাররা নেট বন্ধ করার নতুন চেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

স্টারলিংক স্যাটেলাইটভিত্তিক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা। এই সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মালিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: চ রতর

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী-সন্তানসহ নাঈমুল ইসলাম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তাদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আফরোজা হক খান এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো উৎস অর্থাৎ ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জন করে তা আড়াল করার অভিযোগ আছে। তার, স্ত্রীর ও তাদের তিন মেয়ের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা ও ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আছে এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। অবৈধ অর্থ পাচারসহ নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুই সদস্যের দল গঠন করা হয়। 

দুদকের আবেদনে আরো বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ