বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নবীন অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের জন্য আট দিনব্যাপী ‘রিসার্চ মেথডোলজি: ফাউন্ডেশন অ্যান্ড ফ্রেমওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা করাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএআরএএসএস। স্বনামধন্য ও অভিজ্ঞ গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত এ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (সিএআরএএসএস)। কোর্স শুরুর সম্ভাব্য সময় ৪-১১ মার্চ, ২০২৫। প্রতি কর্মদিবসে বেলা ১টা ৩০ থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সিএআরএএসএস ভবনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রশিক্ষণ কোর্সে Research Concept, Quantitative, Qualitative Mixed Research Approaches, Information Management, Research Report Writing প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রশিক্ষণ শেষে মিলবে সনদপত্র। প্রশিক্ষণ ফি ১,০০০ টাকা। আসনসংখ্যা (৬০) সীমিত।

আরও পড়ুনশিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদন অনলাইনে২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরবরাহ করা পরিচয়পত্র (হল/বিভাগ/লাইব্রেরি কার্ড) এবং সর্বশেষ পরীক্ষা পাসের নম্বরপত্রের ফটোকপিসহ বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণে আগ্রহীদের ৫-২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। এই সময়ের মধ্য ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঅ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স ও অ্যাকচুয়ারিয়াল ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স, সরকারের টাকায় বিদেশে পড়াশোনা২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফরম জমা ও সংগ্রহের ঠিকানা: কক্ষ নম্বর ৩০২, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (CARASS), টিএসসি কম্পাউন্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ই-মেইল: [email protected]; https://www.

du.ac.bd/profile/303

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে ৯দফা দাবিতে ভূমি মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল 

রূপগঞ্জে "ভূমিদস্যু নিপাত যাক কায়েতপাড়াবাসী মুক্তি পাক, অবৈধভাবে বালুভরাট বন্ধ কর, করতে হবে" বিভিন্ন স্লোগানে ৯দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ভূমি মালিকরা।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ইছাখালী বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন একটি মহল কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে আবাসিক প্রকল্পের নামে অধিকাংশ জমি ক্রয় না করেই দুই ফসলি বা তিন ফসলি জমি ড্রেজার এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে।

আবার কোন কোন ক্ষেত্রে জমি ক্রয় না করে এবং জমির মালিককে না জানিয়েই তাকে কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়েই লাল নিশানা উড়িয়ে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান বহির্ভূত।

তাছাড়া এই এলাকার বসতবাড়ি উঠিয়ে দিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসীন্দাদের পুনর্বাসনের কোন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না করে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে তারা তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ফেলবে যার কিছু নজির এখন স্পষ্টতই দৃশ্যমান।

ফলে আমরা কায়েতপাড়ার আপামর জনসাধারণ এবং ইউনিয়নের স্থায়ীবাসীন্দারা এই অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করি এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করি। 

দাবি গুলোর মধ্যে ছিল, "জমি ক্রয় না করে অবৈধভাবে বালি ভরাট বা রাস্তাঘাট নির্মাণ করা যাবেনা। "জমি না কিনে ইতিমধ্যেই অবৈধভাবে বালি ভরাটকৃত জমির ন্যায্যমূল্যসহ ক্ষতিপূরণ জমির মালিককে প্রদান করতে হবে"। "আবাসন প্রকল্প অবশ্যই বসতবাড়ির বাইরে থাকতে হবে"।

"অবিলম্বে আবাসন প্রকল্পের সীমানা নির্ধারণ ঘোষণা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করতে হবে। প্রকল্প এলাকায় আবাসন প্রকল্পের ম্যাপ টানিয়ে রাখতে হবে"। "বসতবাড়ি থেকে কমপক্ষে ১০০০ ফিট দূরে আবাসন প্রকল্পের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে"।"

আবাসন প্রকল্পের কোন রাস্তা করার ক্ষেত্রে বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে করা যাবেনা। একান্ত প্রয়োজনে বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে করতে হলে অবশ্যই বাড়ির মালিককে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ তাকে প্রকল্পের মধ্য থেকে একটি প্লট বরাদ্দ করতে হবে।

আর যদি ফসলি জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা করা হয় তবে অবশ্যই রাস্তা নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় জমির ন্যায্যমূল্য এবং ফসলের ক্ষতিপূরণ জমির মালিককে প্রদান করতে হবে"। "  ক্ষতিপূরণ দেয়ার আগে কোনভাবেই বাড়ির মালিককে উচ্ছেদ করা যাবেনা"।

"জমির প্রকৃত মালিক ও দখলে থাকা ব্যাক্তির নিকট থেকে জমি ক্রয় করতে হবে। ওয়ারিশ এর নিকট থেকে জমি ক্রয়ের নামে কম মূল্যে জমি ক্রয় করে জমির প্রকৃত মালিক ও দখলদারকে উচ্ছেদ করা যাবেনা"।" বসতবাড়ির চেয়ে উঁচু করে বালি ভরাট করা চলবে না।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ