ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন গবেষকদের জন্য কর্মশালা, ফি ১০০০
Published: 25th, February 2025 GMT
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নবীন অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের জন্য আট দিনব্যাপী ‘রিসার্চ মেথডোলজি: ফাউন্ডেশন অ্যান্ড ফ্রেমওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা করাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএআরএএসএস। স্বনামধন্য ও অভিজ্ঞ গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত এ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (সিএআরএএসএস)। কোর্স শুরুর সম্ভাব্য সময় ৪-১১ মার্চ, ২০২৫। প্রতি কর্মদিবসে বেলা ১টা ৩০ থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সিএআরএএসএস ভবনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হবে। প্রশিক্ষণ কোর্সে Research Concept, Quantitative, Qualitative Mixed Research Approaches, Information Management, Research Report Writing প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রশিক্ষণ শেষে মিলবে সনদপত্র। প্রশিক্ষণ ফি ১,০০০ টাকা। আসনসংখ্যা (৬০) সীমিত।
আরও পড়ুনশিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদন অনলাইনে২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরবরাহ করা পরিচয়পত্র (হল/বিভাগ/লাইব্রেরি কার্ড) এবং সর্বশেষ পরীক্ষা পাসের নম্বরপত্রের ফটোকপিসহ বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণে আগ্রহীদের ৫-২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। এই সময়ের মধ্য ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঅ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স ও অ্যাকচুয়ারিয়াল ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স, সরকারের টাকায় বিদেশে পড়াশোনা২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ফরম জমা ও সংগ্রহের ঠিকানা: কক্ষ নম্বর ৩০২, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (CARASS), টিএসসি কম্পাউন্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ই-মেইল: [email protected]; https://www.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আতর শেখের দাম ৪৭ হাজার টাকা
ঈদের আগে জমে উঠেছে আতরের বেচাকেনা। বড়-ছোট সবাই চান আতরের সৌরভ মেখে ঈদের নামাজে যেতে। ফলে ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে আতরের চাহিদাও বাড়ছে। তবে আতরের বাড়তি বেচাকেনা শুরু হয়েছে রোজার প্রথম থেকেই।
বাজারে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের আতর রয়েছে। বিক্রেতারা জানান, অধিকাংশ দেশি আতরই সাধারণ মানের হয়। দামেও সস্তা। আর বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আতরের সৌরভ বা ফ্রেগনেন্স বেশি ও দীর্ঘ সময় থাকে। এ ধরনের আতরের দামও বেশি। এ প্রতিবেদক বিভিন্ন বাজার ঘুরে যেসব আতরের সন্ধান পেয়েছেন, এর মধ্যে সবচেয়ে দামি আতর হলো আল হারামাইন আতর শেখ। এর ৬০ মিলির বোতলের দাম ৪৭ হাজার টাকা।
বাজারে আল হারমাইন, কস্তুরি, মুস্তাহ আল তাহারা, আল আরাবিয়া, গুপি, সুলতান, কিং হোয়াইট, জান্নাতুল নাঈম, আল-ফারেজ ও হাজরে আসওয়াদের মতো বিভিন্ন দামি আতর রয়েছে। আবার আলিফ, আল ফারহান, আল ইসরাত, আল রিসাব, জান্নাতুল ফেরদাউস, রজনীগন্ধা, বকুল, সুরভি ও বেলি ফুলের মতো কম দামের আতরও পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে আতর বিক্রির বড় কেন্দ্র রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট। এ ছাড়া রাজধানীর কাঁটাবন, মিরপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে মসজিদ-মাদ্রাসাকেন্দ্রিক দোকানে আতর বিক্রি হয়। এসব দোকানের বেশির ভাগই সাধারণ মানের আতর বিক্রি করে থাকে। তবে দামি আতর কিনতে হলে যেতে হবে আতরের ব্র্যান্ডের নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্রে।
দেশে দামি আতরের জন্য বিখ্যাত হচ্ছে আল হারামাইন ব্র্যান্ড। বর্তমানে আল হারামাইনের আতরের দাম সর্বনিম্ন ২ হাজার ৪০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। তবে অর্ডার করলে এর চেয়েও দামি আতর বিদেশ থেকে এনে দেওয়া হয়। সাধারণত ১২ মিলিলিটারের শিশি বা ছোট বোতলে আতর বিক্রি করা হয়। তবে ১৮ মিলি, ২৫ মিলি ও ৬০ মিলির শিশিও রয়েছে। এ ছাড়া খোলা আতরও বিক্রি করা হয়।
যত দামি আতরবাংলাদেশের বাজারে নানা সৌরভের বাহারি আতর পাওয়া যায়। দাম যত বেশি, তত বেশি অভিজাত সৌরভের আতর মেলে।
আতরের জন্য আল হারামাইন ব্র্যান্ড বেশ জনপ্রিয়। আল হারামাইনের জনপ্রিয় আতর সিরিজের মধ্যে রয়েছে মাস্ক, অ্যাম্বার ও উদ প্রভৃতি। এর মধ্যে অ্যাম্বারের রয়েছে কোমল সৌরভ (সুইট ফ্রেগনেন্স), উদের রয়েছে কড়া সৌরভ (ডিপ ফ্রেগনেন্স) এবং মাস্ক সিরিজের আতরের রয়েছে হালকা ও কোমল সৌরভ। মাস্ক সিরিজের আতর সব বয়সীরা পছন্দ করেন। বাংলাদেশে অ্যাম্বারের চাহিদাও বেশ রয়েছে। আর উদের আতর বেশি ব্যবহার করেন আরবের অধিবাসীরা। তবে বাংলাদেশেও ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের মাঝে এ আতরের জনপ্রিয়তা রয়েছে।
এর বাইরে উদ, অ্যাম্বার, মাস্ক, জাফরান প্রভৃতি সৌরভের সংমিশ্রণে একধরনের আতর তৈরি হয়। বিশেষ সৌরভের এই আতরকে বলা হয় মোকাল্লাদ। বিক্রেতারা জানান, একাধিক সুবিধার কারণে মোকাল্লাদ আতরের জনপ্রিয়তা রয়েছে। যেমন সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া রাফিয়া গোল্ডের দাম ৪ হাজার ২০০ টাকা। আবার এপিক ফ্রেগনেন্সের মোকাল্লাদ আতরের দাম ৩০ হাজার টাকা।
এখন পর্যন্ত বাজারে আল হারামাইনের সবচেয়ে দামি আতর পাওয়া গেছে। আল হারামাইনের প্রিমিয়াম উদ জাতীয় সৌরভের আতর শেখের ৬০ মিলির বোতলের দাম ৪৭ হাজার টাকা। আবার ওয়ার্ড তাইফি নামের বিশেষ ফ্রেগনেন্সের আতরের দাম ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে নেই। অর্ডার করলে এনে দেওয়া হয়।
রাজধানীর গুলশান সেন্টার পয়েন্টে অবস্থিত আল হারামাইনের শোরুম ইনচার্জ নাদিম আহমেদ জানান, চলতি বছর রমজান উপলক্ষে ‘রমজান স্পেশাল আতর’ নামে নতুন আতর এনেছে আল হারামাইন। ১২ মিলিলিটারের এ আতরের মূল্য ২ হাজার ৭৩০ টাকা। এ ছাড়া লুজ আতরও বিক্রি করে কোম্পানিটি। এ ধরনের আতরের সর্বনিম্ন বিক্রির পরিমাণ ৬ মিলিলিটার। দাম সর্বনিম্ন ২ হাজার ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬০০ টাকা। রয়েছে মাস্ক, অ্যাম্বার ও উদ প্রভৃতি ফ্রেগনেন্সের আতরই লুজ বা খোলা আকারে বিক্রি করা হয়। তবে কিছু আউটলেটে এর চেয়ে কম দামে পাওয়া যায়। যেমন ১৫ মিলিলিটারের আল হারমাইন আতরের দাম মাত্র ৯০০ টাকা।
সস্তায় আতরও মেলেবায়তুল মোকাররম আতরের জন্য বিখ্যাত। এই বাজারের কয়েকজন দোকানির কাছ থেকে জানা গেছে, ভালো মানের আতর ৩ এমএল ২০০-৫০০ টাকা; ৬ এমএল ৫০০-১০০০ টাকা এবং ১২ এমএল ১০০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। মধ্যম মানেরটা বিক্রি হয় ৩ এমএল ১০০-২০০ টাকা, ৬ এমএল ৩০০-৬০০ টাকা এবং ১২ এমএল ৫০০-১২০০ টাকা। সাধারণ মানের বেলায় ৩ এমএল ৫০-২০০ টাকা, ৬ এমএল ২০০-৫০০ টাকা এবং ১২ এমএল ৪০০-৮০০ টাকা।
রাজধানীর কাঁটাবন এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানে আতর বিক্রি হয়। সেখানে মূলত খোলা আতর (বড় বোতল থেকে ছোট শিশিতে ঢেলে দেওয়া হয়) বিক্রি করা হয়। এখানে ৩ মিলিলিটার আকারের শিশিতে ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের আতর বিক্রি হয়। এর মধ্যে কিছু আতর ভারত ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা।
বিক্রেতারা জানান, ঈদের আগে আতর বিক্রির চাহিদা বেড়েছে। রাজধানীর কাঁটাবনে ফাতেমা হিজাব অ্যান্ড ফ্যাশন নামের দোকানে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে আতরও বিক্রি হয়। এই দোকানের স্বত্বাধিকারী মশিউর রহমান জানান, প্রতিবছরই দুই ঈদের সময় আতরের বেচাকেনা বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
মশিউর রহমান বলেন, সাধারণ সময়ে প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার আতর বিক্রি করতে পারি। তবে ঈদের মৌসুমে এখন দিনে পাঁচ-সাত হাজার টাকার আতর বিক্রি হচ্ছে।