কাশিমপুর কারাগারের পলাতক ১৪৬ আসামির একজন আবরার হত্যা মামলার মুনতাসির
Published: 25th, February 2025 GMT
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালানো আসামিদের একজন বুয়েটশিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি (২৬)। তাঁর বন্দী নম্বর ৫১৭৭। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়।
এ বিষয়ে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবাই মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। পলাতকদের মধ্যে আবরার হত্যা মামলার একজন আসামি ছাড়া আলোচিত আর কোনো মামলার আসামি নেই।
পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর কাশিমপুর কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৯৯ আসামি পালিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে স্বেচ্ছায় ফিরে আসা ও গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা ৫৩ জন। বাকি ১৪৬ আসামি এখনো পলাতক।
আরও পড়ুনমৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কারাগার থেকে পালানোর খবরে মধ্যরাতে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ১১ ঘণ্টা আগেপুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট বন্দীরা কারাগারের ভেতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে কারাবিধি অনুযায়ী প্রথমে তাদের সতর্ক করা হয়। বন্দীরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে ২৫-৩০ কারারক্ষীকে গুরুতর আহত করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কারাগারের দেয়াল ভেঙে ফেলেন এবং বৈদ্যুতিক পোল উপড়ে মই বানিয়ে দেয়াল টপকে পালিয়ে যান। বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে ছয়জন বন্দী নিহত হন।
কারাগার থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গত ১৫ আগস্ট কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার মো.
আবরার ফাহাদের ছোট ভাই ও বুয়েটশিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর ফেসবুক পোস্টে মুনতাসির আল জেমির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছে ৫ আগস্টের পর। অথচ আমাদের জানানো হচ্ছে আজকে, যখন ওর আইনজীবী কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেনি, তখন। ফাঁসির আসামির তো কনডেমড সেলে থাকার কথা ছিল, সে পালায় কীভাবে! পালানোর পরও এ তথ্য বাইরে না আসা তো এটাই প্রমাণ করে যে তাঁকে ধরতেও কোনো চেষ্টা করা হয়নি। পূর্বে থেকেই আরও তিনজন পলাতক আছে।’
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
কাশিমপুর থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবর র ফ হ দ আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন দিয়া মির্জা
নব্বই দশকের বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। একাধিক হিট ছবি রয়েছে দিয়ার ঝুলিতে। রোম্যান্টিক নায়িকা হিসেবেই পর্দায় দিয়া মির্জাকে দেখতে অভ্যস্ত দর্শক। কিন্তু ২০১৯-এর সত্য ঘটনা অবলম্বনে ‘কাফির’ সিরিজে তার অভিনয় সাড়া ফেলেছিল। এ সিনেমার ধর্ষণের একটি দৃশ্য নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন দিয়া মির্জা।
তার মতে, ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয় মোটেও সহজ নয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি সিএনএন নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিয়া মির্জা বলেন, ‘আমার মনে আছে যখন ধর্ষণের দৃশ্যের শুটিং চলছিল সেটা কতটা কঠিন ছিল। শট দেওয়ার পর আমার সারা শরীর কাঁপছিল। এতটাই অস্বস্তি হচ্ছিল যে বমি করে ফেলেছিলাম। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ওই মুহূর্তটা কতটা কঠিন সেটা কাউকে বলে বোঝানো অসম্ভব।’
৪৩ বছর বয়সী দিয়া মির্জা জানান, একজন পেশাদার অভিনেত্রী হিসেবে চরিত্রটাকে পর্দায় বাস্তবায়িত করে তোলাটাই ছিল তার কাজ। সে জন্য হাজার সমস্যা সত্ত্বেও নিজের সেরাটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
অভিনেত্রী কথায়, ‘আমি মনে করি একজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর কাছে চরিত্রটা প্রধান গুরুত্ব। সিনেমার পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলাই মূল লক্ষ্য। তাই যখন যে দৃশ্যের শট দেওয়ার জন্য তৈরি হই তখন নিজেকে সেটার মধ্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে হয়। বাস্তবে মা হওয়ার আগে এই চরিত্রে অভিনয় করার সময়ই আমি যেন প্রকৃত পক্ষেই মা হয়ে উঠেছিলাম। কারণ, অভিনয় করার সময় মাতৃত্বের বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করছিলাম। মাতৃসুলভ মনোভাব তৈরি হয়ে গিয়েছিল।’
হিমাচল প্রদেশে শুটিং হয়েছিল এই ছবির বেশির ভাগ দৃশ্যের। ৩৬০ পাতার চিত্রনাট্যের শুটিংয়ে ৪৫ দিনে শেষ করেছিলেন তিনি।
দিয়ার কথায়, ‘বেশ কিছু কঠিন মুহূর্ত ছিল এই ছবির শুটিং-এ। খুব সুন্দর পরিবেশে শুটিং করছিলাম আমরা। হিমাচলে ৩৬০ পাতার চিত্রনাট্যের শুটিং আমরা ৪৫ দিনে শেষ করেছিলাম। তাই শুটিং-এর মাঝে মাত্র ১৫-১৮ মিনিট বিরতি পেতাম। খুবই কঠিন ছিল সবটা। তবে এই ধরনের গল্প সচরাচর বলা হয় না। তাই এই সিরিজ বা ছবি আমাদের কাছে একটি জয়।’ সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সেপ্রেস ও হিন্দুস্থান টাইমস।