বাফুফে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পোশাক রপ্তানি আয় বেড়ে ১ হাজার ৩৭ কোটি ডলার

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮৫ কোটি ডলার নিট রপ্তানি হয়েছে ৬৩২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রপ্তানির ৮০.৫৩ শতাংশ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিসহ ৯টি দেশ থেকে

দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি আয়ের উৎস তৈরি পোশাক খাত। বিগত আওয়ামী সরকারের আমল থেকেই এই খাতের রপ্তানিতে নিম্মমূখী প্রবণতা ছিল। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে এ খাতের রপ্তানি আয় বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত বছরের শেষ প্রান্তিক বা অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) থেকে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার। যা আগের প্রান্তিক বা জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আসা রপ্তানি আয়ের চেয়ে ৮৫ কোটি ডলার বেশি। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় ছিল ৯৫১ কোটি ২১ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে বাংলাদেশের আরএমজি রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, কানাডা এবং বেলজিয়াম। এই নয়টি দেশ থেকে বাংলাদেশ (আরএমজি থেকে) ১ হাজার ৩৬ কোটি কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা মোট আরএমজি রপ্তানির ৮০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বাংলাদেশে ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তৈরি পোশাকের নিট রপ্তানি (আরএমজি রপ্তানি মূল্য থেকে কাঁচামাল আমদানি মূল্য বিয়োগ করে নির্ধারিত) ছিল ৬৩২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার বা মোট আরএমজি রপ্তানির ৬১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে যে আয় দেশে এসেছে, এর মধ্যে নিটওয়্যার এগিয়ে আছে।

আলোচ্য সময়ে নিটওয়্যার থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৫৪৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার। অপরদিকে, ওভেন থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৪৮৮ কোটি ২০ লাখ ডলার।

প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাতের জন্য কাঁচামাল আমদানি করা হয়েছে ৪০৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের। এ সময় রপ্তানি করা হয়েছে ১ হাজার ৩৬ কোটি ৯১ লাখ ডলারের পোশাক। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে তৈরি পোশাক খাতের কাঁচামাল আমদানি বাদ দিয়ে নিট রপ্তানি আয় হয়েছে ৬৩২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। আর জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে নিট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৬১ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে নিট রপ্তানির পরিমাণও বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানির আয় বাড়াতে সরকার নানা সুবিধা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট সুবিধা। করোনা-পরবর্তী সময়ে রপ্তানি ঋণ সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য ঋণ সুবিধাসহ সুদহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা হয়েছে, যা ২০২৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া, তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়াতে রপ্তানির ওপর ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তার সুবিধা দেয় সরকার। একইসঙ্গে রয়েছে ২ শতাংশ হারে বিশেষ নগদ সহায়তা।

রপ্তানিকারকদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড রয়েছে, যা থেকে রপ্তানিমুখি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানির জন্য অর্থায়ন করে। এছাড়াও আছে ১০ হাজার কোটি টাকার এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন ফান্ড এবং এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড। এসব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দেশের তৈরি পোশাক খাত দিন দিন রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে শক্তিশালী খাত হিসেবে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যেই চলতি অর্থবছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে আগের প্রান্তিকের চেয়ে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় কমেছে।

এএ

সম্পর্কিত নিবন্ধ