দীর্ঘ সময়ের জন্য যেকোনো কিছু করার আগে আমরা সুচিন্তিতভাবে পরিকল্পনা নিয়ে থাকি। রমজানের আগেই সেভাবে রোজার প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার আছে। সাহাবিদের জীবনী পড়লে দেখা যায় রমজান উপলক্ষে তাঁরা ইবাদতের পরিকল্পনা করতেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি হাদিসে তিন ধরনের লোকের ভাগ্যকে দুর্ভাগ্য বলেছেন। তাদের মধ্যে আছে তারা, যারা রমজান মাস পেয়েও নিজেদের গুনাহ্ মাফ করাতে পারল না।
আল কোরআনে আছে, ‘রমজান মাস, এতে মানুষের পথপ্রদর্শক ও সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন। এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মীমাংসারূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। অতএব তোমাদের মধ্যে যে-কেউ এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে অবশ্যই রোজা রাখে। আর যে রোগী বা মুসাফির তাকে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না, যাতে তোমরা নির্ধারিত দিন পূর্ণ করতে পার ও তোমাদেরকে সৎ পথ পরিচালিত করার জন্য আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে পার, আর তোমরা কৃতজ্ঞ হলেও হতে পার।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
আরও পড়ুনপাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেভাবে এল০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩রোজা রাখার নিয়ত
রোজা রাখার জন্য আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। রোজার আগে থেকেই দোয়া করা যায় যেন সুস্থ থেকে রোজা রাখা যায় ।
রাসুলুল্লাহ (সা.
কোরআন নিয়ে চর্চা
রমজান মাস কোরআন নাজিলের মাস। এই মাসে কোরআন তিলাওয়াত করা, অর্থ বুঝে কোরআন পড়া, কোরআনের তফসির পড়া এবং সেই অনুযায়ী জীবনে তা প্রয়োগ করার গুরুত্ব রয়েছে। সাহাবিরা অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে দ্বিগুণ কোরআন খতম দিতেন।
কোরআন তিলাওয়াত করা সুন্নত, এমনকি তিলাওয়াত শোনাও। ইফতারের আগে বা পরে যখনই সময় পাওয়া যায় নিজে কোরআন তিলাওয়াত করা, অন্যের তিলাওয়াত শোনা, বাংলা বা ইংরেজিতে তফসির পড়া উত্তম চর্চার অংশ।
এ ছাড়া সুরা ইয়াসিন, আর রহমান, মূলক, হাশর বা কাহাফ মুখস্থ করা যায়। সুরা ইয়াসিনে ৮৩ আয়াত আছে। কিন্তু প্রতিদিন ৩ আয়াত করে মুখস্থ করলেই রোজার এক মাসে সুরা ইয়াসিন মুখস্থ হয়ে যাবে। প্রতিদিন যে কয় আয়াত মুখস্থ করবেন, সেই আয়াত দিয়ে আগের দিনের শেখা অংশগুলোসহ নামাজ পড়বেন। ধরুন তিন দিনে নয় আয়াত মুখস্থ হলো। নামাজে সুরা ফাতিহার সঙ্গে ওই ৯ আয়াত পড়া যায়।
নিজে পড়া ছাড়াও বাসার অন্য সদস্যরাও যাতে কোরআন পড়তে পারে সে ব্যাপারে সহায়তা করা দরকার।
তারাবির নামাজ বাসায় বা মসজিদে যেকোনো জায়গায় পড়া যায়। তবে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়লে আলস্য অতিক্রম করা সহজ।
আরও পড়ুনজান্নাতে যাওয়ার জন্য কোরআনের কিছু ইঙ্গিত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩অন্যান্য কার্যক্রম
রমজান মাসে নিজের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা ছাড়াও দিনমজুর ও গরিবরা যাতে রোজা রাখতে পারে, সে জন্য ইফতার ও সাহরির ব্যবস্থা করা ভালো।
দ্বিতীয় হিজরিতে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বদরের যুদ্ধ এই মাসে সংঘটিত হয়। মুসলমানেরা সে যুদ্ধে জয়ী হয়। অষ্টম হিজরিতে তাঁরা মক্কা বিজয় করে। এসব ব্যাপারে জানতে হলে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে বইপুস্তক পড়া যায়।
রমজানের শেষ দশদিন পুরুষেরা মসজিদে গিয়ে ইতিকাফ করতে পারেন। কারণ রমজান গুনাহ্ মাফের জন্য সুবর্ণ সুযোগ।
আরও পড়ুনসুরা নিসায় নারীর অধিকারের কথা২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রমজ ন ম স য় রমজ ন র জন য ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিবির প্রস্তাবে পিসিবির সাড়া, জুলাইয়ে বাংলাদেশে যাবে পাকিস্তান দল
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্বে ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে পরদিনই দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। এরপর বাংলাদেশ তাদের পরবর্তী আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলতে মে মাসের শেষের দিকে আবার এই পাকিস্তানেই আসবে। এফটিপিতে থাকা সেই সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশের পরবর্তী সাক্ষাৎটি হয়ে যাবে এর পরপরই। বিসিবির প্রস্তাবে রাজি হয়ে জুন-জুলাইয়ে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের পর জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে গিয়ে আরেকটি তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছে পাকিস্তান। জানতে চাইলে এফটিপির বাইরের এই সিরিজের ব্যাপারে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
আজ দুবাই থেকে মুঠোফোনে বিসিবির সভাপতি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘বড় আসরে অন্যান্য বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যখন দেখা হয়, তখন অনেক কিছু নিয়েই কথা হয়। পিসিবির সঙ্গে আমাদেরও সে রকম কিছু আলোচনা হয়েছে। তারা ওই সময়ে বাংলাদেশে দল পাঠাতে সম্মতি দিয়েছে।’
বিসিবি সভাপতির সঙ্গে পিসিবির সভাপতি মহসিন নাকভির আলোচনা অনুযায়ী এফটিপির বাইরের এই সিরিজের জন্য সময় বের করতে প্রয়োজনে এফটিপিতে থাকা কোনো সিরিজের সময় পুনর্নির্ধারণ করবে পিসিবি। বর্তমান এফটিপি অনুযায়ী জুলাইয়ের শেষ দিকে পাকিস্তান দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের কথা রয়েছে।
দুবাইয়ে গত রোববার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ উত্তেজনাও ছড়াতে না পারলেও সেই সন্ধ্যায় কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ আবহই নাকি ছিল দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের রয়্যাল লাউঞ্জে। অবশ্য এ উত্তেজনাও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেই।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বর্তমান প্রধান শ্রীলঙ্কার শাম্মী সিলভা দায়িত্ব নিয়েছেন গত বছরের ৬ ডিসেম্বর। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে এসিসির আগামী বার্ষিক সভায় নতুন প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার কথা পিসিবিপ্রধান মহসিন নাকভির।
আরও পড়ুনওয়াসিম জাফরের কাঠগড়ায়ও মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ১ ঘণ্টা আগেতবে চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী এখানেও একটা চাপা বিরোধিতা ছিল ভারতের। বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের শীর্ষ ক্রিকেট কর্তাদের মধ্যে সেটি প্রকাশ পেয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের রয়্যাল লাউঞ্জেও। তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের এসিসির দায়িত্ব নেওয়ার পথে ভারতের বাধা হয়তো টিকছে না। রীতি মেনে মহসিন নাকভিই আসছেন এসিসিপ্রধানের পদে। এসিসির আগামী বার্ষিক সভায় সেটি আনুষ্ঠানিকতা পাওয়ার কথা।
মহসিন নাকভিই আসছেন এসিসিপ্রধানের পদে