Risingbd:
2025-04-25@01:09:00 GMT

নাইট কোচে উঠতে নারীদের ভয়

Published: 25th, February 2025 GMT

নাইট কোচে উঠতে নারীদের ভয়

ঢাকা-রাজশাহী রুটের একটি বাসে ডাকাতি ও নারীদের শ্লীলতাহানির পর থেকে নাইট কোচে উঠতে নারীদের ভয় করছে। বিশেষ করে রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বাসগুলোর নারী যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রয়োজনের তাগিদে তারা যাতায়াত করছেন ঠিকই, কিন্তু বাসে ওঠার আগে নিরাপত্তার বিষয়টিও ভাবছেন অনেকে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে চলন্ত বাসে ডাকাতি শুরু হয়। প্রায় তিনঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে একই জায়গায় বাসটি ঘুরিয়ে নিয়ে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা নেমে যায়। তার আগে বাসের সব যাত্রীর সর্বস্ব লুটে নেওয়া হয়। বাসটিতে ৬৩ জন যাত্রীর মধ্যে ৮-১০ জন নারী ছিলেন। ডাকাতদলের তল্লাশির সময় তারা শ্লীলতাহানির শিকার হন।

আরো পড়ুন: চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ৩

আরো পড়ুন:

পুনরায় চালু হচ্ছে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’

গাজীপুরে বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ  

এই ঘটনার পর ঢাকা-রাজশাহী রুটের ইউনিক রোড রয়েলসের বাসে যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। লোকাল এই বাসের রাজশাহী কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মো.

জুয়েল বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা না ঘটলেও ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমাদের বাসে যাত্রী একটু কমেছে।”

তিনি দাবি করেন, “যাত্রীর নিরাপত্তা তাদের কাছে আগে। রাত-বিরাতে পাশের সিটে যদি নারী না থাকেন, তাহলে একজন নারীকে বাসের টিকিট দেওয়া হয় না। ঢাকাগামী অন্য কোচের তুলনায় তাদের ভাড়া অর্ধেক।”

আরো পড়ুন: চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি, ২ থানা ঘুরে মামলা

ঢাকা-রাজশাহী রুটে যে কয়েকটি কম্পানির উন্নতমানের বাস চলে তার মধ্যে গ্রামীণ ট্রাভেলস অন্যতম। এই বাসের রাজশাহী কাউন্টারের মাস্টার আশিকুল ইসলাম বলেন, “বাসে ডাকাতির ঘটনার পর নারীরা একটু উদ্বিগ্ন বলে মনে হয়েছে। কেউ কেউ বাসে ওঠার আগে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আমাদের নিরাপত্তা বলতে তো নারীর পাশে নারীর সিট দেওয়া, এইটুকুই আমরা করে যাচ্ছি। এটা আগে থেকেই করি।”

গাজীপুরের একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করেন রাজশাহীর সেলিনা খাতুন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিনি গাজীপুর যাওয়ার জন্য রাজশাহীর শিরোইলে একটি লোকাল বাসে বসেছিলেন। সম্প্রতি বাসে ডাকাতি ও নারীদের শ্লীলতাহানির খবর তিনিও পেয়েছেন। 

আরো পড়ুন: বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি: বড়াইগ্রামের ওসি প্রত্যাহার

কথা হলে সেলিনা খাতুন বলেন, “খবরটা দেখার পর থেকেই ভয় লাগছে। রাতে যাবই না ভেবেছিলাম। কিন্তু সুপারভাইজার কল দিচ্ছে। কালই কাজে যোগ দিতে হবে। বাধ্য হয়ে তাই রাতেই যাওয়া লাগছে।”

বাস স্ট্যান্ডে কথা হয় আরেক যাত্রী তানিশা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, “যে অবস্থা এখন দেখলাম, জরুরি না হলে রাতে বাসে যেতামই না। ট্রেনের টিকিটের চেষ্টা করেছিলাম, হলো না। ফলে বাধ্য হয়ে বাসেই যেতে হবে। রাস্তাঘাটে কপালে কী অপেক্ষা করছে কে জানে?”

ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী বাসগুলোর কাউন্টারে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ডাকাতির ওই ঘটনার পর যাত্রীর সংখ্যা কমেনি। প্রয়োজনের তাগিদে তাদের যেতেই হচ্ছে। তবে, নারীরা দিনে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বেশি। যদিও বিভিন্ন স্থানে ভর্তি পরীক্ষার কারণে পার্থক্যটা তেমন বোঝা যাচ্ছে না।

ঢাকা-রাজশাহী রুটের লোকাল বাস শিশির-এর সুপারভাইজার মো. লিটন। শিরোইল এলাকায় বাসের জন্য যাত্রী ডাকতে দেখা যায় তাকে। ডাকাতির ঘটনার পর কী প্রভাব পড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পার্থক্য তেমন নেই। মানুষকে প্রয়োজনের তাগিদে যেতেই হচ্ছে। করোনার সময় তো গোটা বাংলাদেশ বন্ধ ছিল, তাও মানুষ গন্তব্যে গেছে। এই যে এত এত দুর্ঘটনা রাস্তায় হচ্ছে, তাও কি মানুষ যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে? করেনি। কিন্তু ভয় তো একটা থাকছেই।”

তিনি আরো বলেন, “আগেও এমন ডাকাতির ঘটনা অহরহ ঘটেছে। তারপর কমে গিয়েছিল। এখন প্রশাসনে একটু ঘাটতি রয়েছে, তাই এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটে গেছে। ফেসবুকের যুগে এই একটা ঘটনা ভাইরালও হয়ে গেছে। ফলে যাত্রীদের মধ্যে একটু বেশি আতঙ্ক আছে। তারা (যাত্রী) লোকাল বাসে না গিয়ে, অন্তত ভালো বাসে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কয়েকদিন ধরে এটাই মনে হচ্ছে।”

রাজকীয় পরিবহনের কাউন্টারে বসেছিলেন যাত্রী কুরবান আলী। তিনি বলেন, “আমরা তো ভালো বাসে ১০০০-১২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে পারি না। ২৫-৩০০ টাকায় লোকাল বাসে যাতায়াত করি। এই বাসেই ডাকাতি হয়েছে। এ রকম ঘটনা যাতে আর না হয়, সেজন্য রাস্তায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা উচিত।”

জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “লোকাল বাসে এইগুলো (চুরি-ডাকাতি) বেশি হচ্ছে। টাঙ্গাইলের ঘটনার পর যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আগে বাস ছাড়ার আগে যাত্রীদের ভিডিও করে নেওয়া হতো। সেটা মাঝে বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেটা আবার চালু করা হচ্ছে। আমরা নিজেরাই বাস ছাড়ার আগে এবং পথের বিভিন্ন স্থানে এটা শুরু করেছি।” 

তিনি আরো বলেন, “পাশাপাশি বাসে সিসি ক্যামেরা চালু রাখা যায় কি না, যেটা কাউন্টার থেকেই সরাসরি দেখা যাবে- এই বিষয়টি নিয়েও আমরা কাজ করছি। এক্ষেত্রে বাস মালিকদেরও সহযোগিতা দরকার।”

ডিআইজি বলেন, “মহাসড়কে আমাদের পেট্রোলিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের সঙ্গেও সমন্বয় করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি. দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি করে ফেলতে পারব।”

ঢাকা/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ড ক ত র ঘটন ঘটন র পর আম দ র ন র পর র একট

এছাড়াও পড়ুন:

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলবেন কি এটা কোন ‘জাস্টিস’

২২ এপ্রিল যশোরে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ‘মব জাস্টিস আর অ্যালাউ (অনুমোদন) করা যাবে না’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম, দেরিতে হলেও সরকারের হুঁশ ফিরে এসেছে এবং মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে তারা   কঠোর অবস্থান নেবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যাকে ‘মব জাস্টিস’ বলছেন, সেটা আসলে মব ভায়োলেন্স। রাস্তাঘাটে ঘরে বাইরে কোনো অজুহাত পেলেই একধরনের মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারী, দুর্বলের ওপর সবলের সহিংসতা। কবি যেমন বলেছেন, বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে কিন্তু মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত মানুষগুলো এতটাই অসহায় যে থানা পুলিশ কিংবা আদালতেও যেতে ভয় পান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ওই ঘোষণার পরও মব ভায়োলেন্স বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন স্থানে নারী ও সংখ্যালঘুরা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। সেদিন দেখলাম, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একদল লোক বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে হেনস্তা করছেন এবং তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারতেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই সভায় যে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি বলেছেন, সেটি হলো ১৫ হাজার বোতল ফেনসিডিল ছেড়ে দিয়ে ৫০০ বোতল ‘রিকভার’ (উদ্ধার) দেখানো। কারা দেখাচ্ছেন? কারা মাদকদ্রব্য উদ্ধার করছেন? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কেউ পুলিশের লোক, কেউবা র‍্যাবের।

আওয়ামী লীগ সরকার মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা দেখিয়েছিল, মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বহু মানুষ হত্যা করেছিল। কিন্তু তারপরও দেশ মাদক ও সন্ত্রাসের নিরাপদ ভূমি হওয়ার কারণ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ওই বক্তব্য। তাঁরা ১৫ হাজার বোতল ফেনসিডিল ছেড়ে দিয়ে ৫০০ বোতল ধরেছেন। অর্থাৎ ৩০ ভাগের একভাগ ধরেছেন, ২৯ ভাগই বাজারজাত হয়েছে।

গত সোমবার বরিশালের আগৈলঝাড়ায় র‍্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানের সময় সিয়াম মোল্লা নামে কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। তার আহত রাকিব মোল্লা এখন বরিশালে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। র‍্যাবের দাবি অনুযায়ী তাঁরা নাকি দুর্ধর্ষ মাদকব্যবসায়ী। র‍্যাব সদস্যরা যেই মাদকবিরোধী অভিযানে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন, অমনি তাদের ওপর হামলা করেছেন ওই দুই শিশু কিশোর। তারা শিশু কিশোরই।

জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী নিহত সিয়ামের জন্ম ২০০৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। মৃত্যুর দিন ২১ এপ্রিল তার বয়স হয়েছিল ১৭ বছর ১ মাস ২৮ দিন। আর রাকিবের জন্ম ২০০৭ সালের ১ আগস্ট। সেই হিসাবে তার বয়স ১৭ বছর ৮ মাস ২০ দিন। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দুজনই শিশু-কিশোর।

অবশ্য র‍্যাব অভিযানের ‘ন্যায্যতা’ প্রমাণ করতে নিহত সিয়াম মোল্লার বয়স ২২ ও আহত রাকিব মোল্লার বয়স ২১ বছর বলে উল্লেখ করেছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, ওই দুই শিক্ষার্থী মাদক ব্যবসায়ী কিংবা মাদকাসক্ত ছিল না।

হত্যার প্রতিবাদে উজিরপুরের সাহেবের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। নিহত সিয়াম এই বিদ্যালয় থেকে গতবার এসএসসি পাস করে একই এলাকার আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর রাকিব মোল্লা এ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

সিয়াম মাদক ব্যবসা করত কি করত না, সেটি প্রমাণের পথ র‍্যাবই বন্ধ করে দিয়েছে। মৃত মানুষ তো আর সাক্ষ্য দিতে পারবে না। র‍্যাবের দাবি যদি সত্যও ধরে নেওয়া হয়, তাহলেও কি কলেজ পড়ুয়াকে এক কিশোরকে এভাবে গুলি করে হত্যা করা যায়? সিয়ামের মৃত্যুর পর তার বাবা  রিপন মোল্লা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনারা কী করবেন? আমার পোলারে ফিরাইয়্যা দেতে পারবেন? লেইখ্যা কী অইবে, আমি আল্লার কাছে বিচার দিলাম।’

র‍্যাবের দাবি, মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার জন্য র‍্যাব সদস্যরা অভিযানে গেলে সেখানে মাদক ব্যবসায়ী ১০-১১ জন মিলে তাঁদের ওপর হামলা করেন। এরপর আত্মরক্ষার্থে র‍্যাব সদস্যরা গুলি করতে বাধ্য হন। তাদের এ সাফাই বক্তব্য আওয়ামী লীগ আমলে বন্দুকযুদ্ধে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার কথাই মনে করিয়ে দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে র‍্যাব ও পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করার কথা বলে বন্দুকযুদ্ধে মানুষ মারাকে জায়েজ করতে চায়।

গত বছর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নিলেও কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সেই একই আত্মরক্ষার্থে গুলি কিংবা বন্দুকযুদ্ধের বয়ান দেওয়া হয়।  

পুলিশের ভাষ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়ার রত্নপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়ায় সাদাপোশাকে র‍্যাব-৮-এর মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে সিয়াম মোল্লা নিহত হয়। তাঁর খালাতো ভাই আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই মারা গেছে। এতে যতটা না কষ্ট পাচ্ছি, তার চেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছি, তাদের দুজনকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দেওয়ায়। দয়া করে এটি আপনারা গণমাধ্যমে তুলে ধরুন। তারা শিশু-কিশোর, মাদকাসক্ত ছিল না।’

র‍্যাবের অভিযানে গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে উজিরপুর উপজেলার সাহেবেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে

সম্পর্কিত নিবন্ধ