রামেক হাসপাতালে আজও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শাটডাউন কর্মসূচি চলছে
Published: 25th, February 2025 GMT
তৃতীয় দিনের মতো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমপ্লিট শাটডাউন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন কর্মসূচি চালাচ্ছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তৃতীয় দিনের মতো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়।
অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকরা জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমপ্লিট শাটডাউন ও মেডিকেল কলেজ ক্লাস পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের কর্মসূচি অব্যহত রয়েছে। পাঁচ দফা দাবি মানা না পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি লিখতে পারবে না; দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে; ডাক্তারদের বিসিএসের বয়স সীমা ৩৪ বছর পর্যন্ত করতে হবে; সকল মানহীন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্টিটিউট বন্ধ করতে হবে।
তবে ইন্টার্নিরা সেবা বন্ধ রাখলেও মেডিকেল কলেজের পরিচালক বিশেষ ব্যবস্থায় সেবা সচল রেখেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ ইন ট র ন
এছাড়াও পড়ুন:
তামিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চলছে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। সাভার থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের পর স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন তামিম। অল্পস্বল্প সলিড খাওয়া খেতে পারছেন। প্রাথমিক বিপদ কেটে যাওয়ার পর এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। গতকাল সকাল থেকে অল্পস্বল্প হাঁটা শুরু করেছিলেন।
সাভারের কেপিজে হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ারে স্থানান্তরের পর তার শারীরিক পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা। সেখানে আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন তারা। খুব বেশি জটিলতা তাদের কাছেও ধরা পড়েনি। শুরুর চিকিৎসা প্রক্রিয়া ভালো হওয়ায় তামিম দ্রুত উন্নতি করছেন বলে মত দিয়েছেন। আপাতত দুয়েকদিন তামিম থাকবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে। এরপর বাসায় ফিরতে পারেন।
তবে উন্নত চিকিৎসা, সেবা এবং রিহ্যাব প্রক্রিয়ার জন্য তামিমকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চায় পরিবার। এজন্য ভিসা প্রক্রিয়ার কাজও শুরু হয়ে গেছে। সিঙ্গাপুরের ভিসা রয়েছে তার। থাইল্যান্ডের ভিসা করার প্রক্রিয়া চলছে। দুই দেশে তার যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অ্যাপয়েনমেন্ট পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে তার বিদেশ যাত্রা। তবে ভালো খবর, আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় আছেন তামিম।
আরো পড়ুন:
পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকায় তামিমকে স্থানান্তর
‘আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া আমি তামিম ইকবাল কিছুই না’
গত (২৪ মার্চ) বিকেএসপিতে ঢাকা লিগের ম্যাচ খেলতে নামার আগে প্রথমে মাইনর ও পরে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে’ অজ্ঞান হয়ে পড়েন তামিম। তাকে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছিল যে, ২২ মিনিট সময় ধরে সিপিআর ও তিনটি ডিসি শক দিতে হয়েছে। এরপর দ্রুত এনজিওগ্রাম করে শতভাগ ব্লক থাকা একটা আর্টারিতে রিং লাগিয়েছেন চিকিৎসকরা। অবিশ্বাস্য গতিতে হয়েছে সবকিছু। চিকিৎসকদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সময়মতো হওয়ায় তামিম পেয়েছেন নতুন এক জীবন।
গতকাল রাতে তামিমকে দেখতে হাসপাতাল গিয়েছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একই সময়ে সেখানে হাজির হন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল