স্কুল থেকে ফেরার পথে থ্রি হুইলার মাহিন্দ্র গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসমা বেগম (৪০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে সালথা-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়কের ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের চৌরঙ্গীর মোড় কুজুরদিয়া মাদ্রাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আসমা বেগম নগরকান্দার আজলপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল্লাহ আল আজাদের স্ত্রী। তাদের বাড়ি নগরকান্দা উপজেলার মধ্য জগদিয়া গ্রামে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাঈনুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার বিকেলে স্কুল থেকে মাহিন্দ্র গাড়িযোগে ফরিদপুর শহরের বাসায় ফিরছিলেন শিক্ষক আসমা বেগম। পথে চৌরঙ্গীর মোড় এলাকার তাকে বহনকারী মাহিন্দ্র গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে গুরুতর হন আসমা।

পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মাহিন্দ্রের আরো চার যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কমলাপুর স্টেশন থেকে সময়মতো ছাড়ছে ট্রেন 

ঈদযাত্রা মানেই ট্রেনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় এবং শিডিউল বিপর্যয়। প্রতিবছর এমন দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত সবাই। তবে, এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে নেই অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ। নির্দিষ্ট সময়েই ট্রেনগুলো ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যের উদ্দেশে। 

কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার শাহাদত হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেছেন, শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২১টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনে রয়েছে। কোনো ট্রেন স্টেশন ছাড়তে বিলম্ব করেনি। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। আশা করছি, পরবর্তী দিনগুলোতেও ট্রেনযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।

রেল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের বছরগুলোতে ঈদের সময় ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হতো। এবার তেমন সমস্যা হচ্ছে না। যাত্রীরা যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারেন, সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে কখনো ট্রেনে এত স্বস্তির যাত্রা দেখা যায়নি। সব ট্রেন সময়মতো চলাচল করায় স্টেশনে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় বা চাপ নেই।

চট্টলা এক্সপ্রেসের যাত্রী রাইসুল ইসলাম বলেন, আগের খারাপ অভিজ্ঞতার কারণে এবার নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে এসেছি। এসে দেখছি, এবার ব্যতিক্রম। খুব ভাল লাগছে।

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসেরর যাত্রী মমতাজ বেগম বলেন, এবার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করব। এ কারণে আগেই ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম। স্বস্তির বিষয় হলো— কমলাপুর স্টেশনে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে না। সিট পেয়েছি। স্বস্তিকর ট্রেনযাত্রা হবে বলে আশা করছি।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ