বইমেলার পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্টি
Published: 25th, February 2025 GMT
অমর একুশের পরের দিনগুলোয় বইমেলায় বিক্রি সাধারণত বেশ ভালো থাকে। এবার ঠিক তেমন হয়নি। শনিবার ছুটির দিনের সন্ধ্যাটা ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে। গতকাল সোমবার প্রকাশকেরা বললেন, বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। তবে বরাবরের মতো নয়। আর মেলার পরিবেশ নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসাইন বললেন, এবার মেলায় দুই দিন বৃষ্টির বিড়ম্বনা ছিল। এর চেয়ে বড় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ও স্টল নিয়ে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান এবার সারা মেলায় এমন করে তাদের স্পনসরদের বিজ্ঞাপনের বোর্ড টাঙিয়েছে যে এগুলো দৃষ্টির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় স্টল করেছে। বইমেলা, না বাণিজ্য মেলা, বোঝাই যাচ্ছে না।
যাঁরা নিয়মিত বইয়ের ক্রেতা, তাঁরাও এবার মেলায় আসেননি বলে ভাষ্য কয়েকজন প্রকাশকের।বৃষ্টির কবলে পড়ে লোকজন ভিজে গেলেন। তাঁদের দাঁড়ানোর জন্য কোনো ছাউনি নেই। এত বড় মেলায় মানুষ হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। নেই বসার কোনো ব্যবস্থা। অথচ আগের মেলাগুলোয় এসব ব্যবস্থা ছিল। এবার খুবই যেনতেনভাবে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এটা প্রত্যাশা ছিল না।
লাতিনের নাটাই মহুয়া রউফ প্রথমা প্রকাশন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজের বাবার ওপর হামলা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এর আগে সন্ধ্যায় উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের বাড়িতে হামলার শিকার হন মাহফুজের বাবা।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। বাচ্চু মোল্লা ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-ছাত্রদলের লোকজন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জুর বাড়িতে হামলা চালায়। এতে মাহফুজের বাবা বাচ্চু মোল্লা বাধা দেয়। বাচ্চু ও মঞ্জু সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। হামলায় বাধা দেওয়ায় একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চুর ওপর হামলা করে। এতে তিনি হাতে আঘাত পান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতে আছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জু বলেন, “রাজনীতি করে কখনো কারো ক্ষতি করিনি। এরপরও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অসুস্থ মাকে দেখতে বিকেলে বাড়িতে যাই। খবর পেয়ে বিএনপির লোকজন বাড়িতে হামলা করে। আমি এর আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। তখন বাচ্চু কাকা হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন।”
ঘটনাটি জানতে আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার মোবাইল ফোনে কল দিলে পরিবারের এক সদস্য কল রিসিভ করেন (মেয়ে)। তবে তিনি পরিচয় দেননি। তার ভাষ্যমতে, বাচ্চু মোল্লা এখন ভালো আছেন। বাড়িতেই রয়েছেন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, “বাচ্চু মোল্লার বাড়ির সামনে দুটি পক্ষ ঝামেলায় জড়ায়। তখন তিনি উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আঘাত করে। হাতে আঘাত পেলে তাকে হাসপাতাল নিয়ে চিকৎসা করানো হয়। আমিও হাসপাতাল গিয়েছি। তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। বিক্ষোভ মিছিলের সময় তিনি হাসপাতালে ছিলেন।”
ঢাকা/লিটন/এস