সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কুষ্টিয়া শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে উল্টে গেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীবাহী ভাড়ায় চালিত একটি বাস।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী বৃত্তিপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কুষ্টিয়া থেকে সকাল ১০ টায় বাসটি ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটি দ্রুত গতিতে চলছিলো। এসময় সামনে থাকা পরিবহনকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.

শাহীনুজ্জামান বলেন, শোনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থীর মতো আহত হয়েছে। আহতদের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। কারোর উচ্চতর চিকিৎসার প্রয়োজন পড়লে বাইরে পাঠানো হবে।

এম জি

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসিবুল ইসলামের মরদেহ গভীর রাতে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় বাংলাদেশের বিজিবি ও পুলিশের কাছে মরদেহ তুলে দেয় বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৮টায় ভারতের কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাসিবুল।

ওইদিন দুপুরের দিকে তাকে গুলি করে বিএসএফ। পরদিন বৃহস্পতিবার ভারতের কোচবিহারের হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১২টার দিকে হাসিবুলের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৮১ নম্বর কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থানার সীমান্ত ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটপ্রামের খারিজা জোংড়া সীমান্তবর্তী স্থান দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মহেশমারী ক্যাম্পের কমান্ডার রাজ কুমার, শীতলকুচি থানার ওসি ও বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারিজা জোংড়া ক্যাম্পের প্রতিনিধি সুবেদার রেজাউল ইসলাম, পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজরুল ইসলাম এবং নিহত যুবকের বাবা জাহিদুল ইসলাম ও নিহতের চাচা রশিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের নিকট মরদেহটি বুঝে নেয় বিজিবি ও বাংলাদেশের পুলিশ। রাতই নিহতের বাবা ও চাচার নিকট হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

প্রসঙ্গত. গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার ৮৯৪ নম্বর প্রধান ও ৬ নম্বর উপ-পিলারের নিকটবর্তী হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী সীমান্ত এলাকায় ঘাস কাটতে যান কৃষক হাসিবুল ইসলাম। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে গুলি লেগে হাসিবুল মাটিতে পড়ে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে রাইফেলের বাট ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মেরে টেনেহিঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে হাসিবুলকে শীতলকুচি থানার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিলে সেখানে মারা যায় হাসিবুল।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুননবী জানান, ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশের পুলিশ এবং বিজিবির নিকট মরদেহ হস্তান্তর করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতই মরদেহ নিহতের বাবা এবং চাচাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। রাতেই হাসিবুলের পরিবার তার দাফন সম্পন্ন করেন।

এ ব্যাপারে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ ব্যাটালিয়ন (তিস্তা-২) এর সংশ্লিষ্ট বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ