চলন্ত অবস্থায় দুইটি বগি রেখে রাজশাহী থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। দশ কিলোমিটার দূরে হরিয়ান স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে পেছনের দুইটি বগি মূল ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে ওই বগিগুলোতে কোনো যাত্রী ছিল না।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সাগরদাঁড়ি চলে যাওয়ার পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিতুমীর এক্সপ্রেস রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ে। এরপর হরিয়ান স্টেশনে গিয়ে দাঁড়ায়। পরে তিতুমীর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন নিয়ে গিয়ে আবার সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসের বগি দুইটি আনা হয় হরিয়ান স্টেশনে। ততক্ষণ হরিয়ান স্টেশনে তিতুমীর এক্সপ্রেসের যাত্রীবাহী বগিগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। সকাল ৮টায় তিতুমীর এক্সপ্রেস হরিয়ান স্টেশন থেকে চিলাহাটির উদ্দেশে যাত্রা করে।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার
সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরু

ট্রেন চালকের দক্ষতায় প্রাণে বাঁচলেন ইজিবাইকের ৫ যাত্রী

হরিয়ান স্টেশনের মাস্টার মনিরুল ইসলাম বলেন, “বগিগুলো এমটি (খালি) ছিল। তাতে কোনো যাত্রী ছিল না। বগি দুইটি রেখেই সাগরদাঁড়ি ট্রেন খুলনার উদ্দেশে চলে যায়। এতে তিতুমীরের সময় খানিকটা বিলম্ব হয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গরদ

এছাড়াও পড়ুন:

শান্তি চুক্তি মানে আত্মসমর্পণ করা নয়: ট্রাম্পকে ম্যাক্রো

যে কোনো শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের নিরাপত্তা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। তিনি বলেন, এই শান্তি চুক্তি মানে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ করা নয়, কোনো ধরনের নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়া উচিত নয়।

স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।

ট্রাম্প নিজেও কোনো ধরনের নিরাপত্তা গ্যারান্টির কথা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে শান্তি রক্ষার ব্যয় শুধু যুক্তরাষ্ট্র একা বহন করবে না; ইউরোপীয় দেশগুলোকেও বহন করতে হবে।

জবাবে ম্যাক্রো বলেন, ইউরোপ ‘নিরাপত্তার বোঝা আরও ন্যায্যভাবে ভাগ করার’ প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে। রাশিয়ার আক্রমণের তৃতীয় বার্ষিকীতে আলোচনা আরও এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে বলেও জানান তিনি।

ট্রাম্প বলেন, তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই যুদ্ধ শেষ করতে চান এবং যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে তিনি রাশিয়া সফর করে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন বলেও ইঙ্গিত দেন। 

তবে ম্যাক্রো দ্রুত যুদ্ধবিরতির পক্ষে নন। বরং তিনি আরও সময় নিয়ে যুদ্ধবিরতির দিকে আগাতে চান। কারণ সীমান্তে শান্তি চুক্তির বিষয়ে স্পষ্ট গ্যারান্টির বিষয়ে উল্লেখ থাকতে হবে। যাতে ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় থাকে। ম্যাক্রো বলেন, আমরা দ্রুতই শান্তি চাই, কিন্তু এমন চুক্তি চাই না যা আমাদের জন্য দুর্বল। 

তবে উভয় নেতা একমত হয়েছেন যে যেকোনো শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা উচিত। তবে রাশিয়া এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ