রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ব্যাচ থেকে সহকারী জজ ২৫ জন
Published: 25th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক ব্যাচ থেকেই সহকারী জজ হয়েছেন ২৫ জন। তিনটি বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পান আইন বিভাগের ৪০তম ব্যাচের এই শিক্ষার্থীরা। এই ৪০তম ব্যাচ থেকে দুটি বিজেএস পরীক্ষায় সারা দেশে প্রথম হয়েছিলেন। ১৬তম বিজেএস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন নুসরাত জেরিন জেনী এবং ১৫তম বিজেএসে প্রথম হয়েছিলেন আশিক-উজ-জামান।
আরও পড়ুনবাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্সদের আয়ারল্যান্ডে ক্যারিয়ারের সুযোগ, পরীক্ষা তিনটি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৪০তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫তম বিজেএস পরীক্ষায় এই ব্যাচ থেকে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনজন। এরপর সংখ্যাটি বাড়তে থাকতে। ১৬তম বিজেএস পরীক্ষায় এই ব্যাচ থেকে সহকারী জজ হন ১০ জন এবং সর্বশেষ গত রোববার প্রকাশিত ১৭তম বিজেএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলে এই ব্যাচের ১২ শিক্ষার্থী সহকারী জজ পদে সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ ও মনোনীত হয়েছেন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ১৬তম বিজেএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে ১০৪ জনের মধ্যে সহকারী জজ হিসেবে সারা দেশে প্রথম স্থান অর্জন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নুসরাত জেরিন জেনী।
আরও পড়ুনডেসকোতে ৬১ পদে চাকরি, আবেদন করেছেন কি ২ ঘণ্টা আগেএর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত ১৫তম বিজেএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে ১০৩ জনের মধ্যে সহকারী জজ হিসেবে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক-উজ-জামান।
আরও পড়ুনডাক বিভাগে আবারও বড় নিয়োগ, পদ ৫০৪২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৪০তম ব য চ র আইন ব ভ গ র ব জ এস প প রথম সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
এবার যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কার কথা জানাল ফেডারেল রিজার্ভ সান ফ্রান্সিসকো
সম্প্রতি কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এই বেকারত্ব বৃদ্ধির হার মন্দার আশঙ্কার লক্ষণ, যদিও বিষয়টি তেমন একটা নজরে আসে না। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের এক গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারের এই গোপন বিষয় উঠে আসছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে দুটি ঝুঁকি জড়িয়ে আছে; একটি হলো মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা, আরেকটি হলো বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা। খবর রয়টার্স।
অতীতে অনেক মন্দার আগে দেখা গেছে, যে মানুষেরা কাজের বাইরে ছিলেন, তাঁদের পক্ষে শ্রমবাজারে ফিরে আসা সময়সাপেক্ষ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের বেকারত্বের মেয়াদ বেড়েছে।
ফেডারেল রিজার্ভ সান ফ্রান্সিসকো গবেষণায় আরও দেখা গেছে, অতীতে বেশ কয়েকবার মন্দার আগে মানুষের মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এর অর্থ হলো, এসব লক্ষণ মন্দার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়।
তথ্যে দেখা যায়, কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার ধীরে ধীরে বেড়েছে; ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যেখানে বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ; গত মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ফেডের অনেক নীতিপ্রণেতা মনে করছেন, বেকারত্বের হার তুলনামূলকভাবে এখনো কম থাকার অর্থ হলো, শ্রমবাজার শক্তিশালী।
গুরুতর বিষয় হলো, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে বেকার মানুষের পক্ষে চাকরি পাওয়ার হার কমছে। এই প্রবণতা অতীতে বিভিন্ন মন্দার সময় দেখা গেছে।
একই সময় দেখা গেছে, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এই বেকারদের বেকারত্বের গড় সময় ৮ সপ্তাহ থেকে বেড়ে ১০ সপ্তাহে উন্নীত হয়েছে। ২০০৭-০৯ সালের আর্থিক সংকটের সময় বেকারত্বের মেয়াদও ছিল এর সমপরিমাণ। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি বেকারত্ব বৃদ্ধির হার অতীতের তুলনায় কম; এই তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কে এখনই সচেতন হওয়া দরকার। এই প্রবণতা মন্দার সম্ভাব্য লক্ষণ বলেই তারা মনে করছে।
এদিকে ৫ এপ্রিল মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছে জে পি মরগান। পূর্বাভাস দিতে যেমন বেশি সময় লাগেনি তাদের, তেমনি মন্দা আসতেও বেশি সময় না-ও লাগতে পারে বলে তাদের পূর্বাভাস। চলতি বছরেই মার্কিন অর্থনীতি মন্দার মুখোমুখি হতে পারে বলে তাদের অনুমান।
মন্দা হলে তার সঙ্গে বেকারত্বও বাড়বে বা উল্টোভাবে বললে, বেকারত্ব বাড়বে বলেই মন্দা আসবে। জে পি মরগান সেটাই বলেছে। কোম্পানির প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল ফেরোলি বলেছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টস বা জিডিপি) সংকুচিত হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা হলে তার প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতেও পড়বে। সারা বিশ্বে মন্দার আশঙ্কা ৬০ শতাংশ, জানিয়েছে জে পি মরগান। এর আগে তাদের পূর্বাভাস ছিল, মন্দার আশঙ্কা ৪০ শতাংশ। অবশ্য ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিতের ঘোষণার পর আগের অবস্থানে ফিরে গেছে জে পি মরগান। অর্থাৎ তখন তারা বলেছে, মন্দার আশঙ্কা ৪০ শতাংশ।