কারখানায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে নতুন লেজার প্রিন্টার বসাবে বিএটি
Published: 25th, February 2025 GMT
ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি তাদের কারখানায় নতুন বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছে, গতকাল কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিএটির ঢাকা ও সাভার কারখানায় ২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে লেজার জেট প্রিন্টার স্থাপন করা হবে। এই দুই কোম্পানির ৩৬টি এসএমডি প্যাকিং লাইনে এসব প্রিন্টার স্থাপন করা হবে। আরও বলা হয়েছে, প্রিন্টারের দাম পড়বে ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে প্রিন্টার স্থাপনে ব্যয় হবে ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ব্যয় হবে ২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
কোম্পানির এই ঘোষণা থেকে বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিএটি নিজেদের কারখানায় উৎপাদনপ্রক্রিয়া আরও দক্ষ করতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে তারা বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখতে চায়। নতুন লেজার প্রিন্টার স্থাপন করা হলে বিএটির উৎপাদিত সিগারেটের প্যাকেটের মান আরও উন্নত হবে। একই সঙ্গে তা কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকো বা বিএটি বাংলাদেশ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি ওই সময়ের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। এর আগে গত ডিসেম্বরে কোম্পানিটি আরও ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
বড় অঙ্কের লভ্যাংশ দিলেও গত বছর কোম্পানিটির মুনাফা কিছুটা কমেছে। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ টাকা ৪২ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩৩ টাকা ১১ পয়সা ছিল।
এর আগে বিএটি ২০২৩ সালে ১০০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০০ শতাংশ, ২০২১ সালে ২৭৫ শতাংশ, ২০২০ সালে ৬০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫১৮ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৫৯ টাকা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিবিসির সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের পর ফেরত পাঠাল তুরস্ক
যুক্তরাজ্যের সরকারি সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) সাংবাদিক মার্ক লোয়েনকে গ্রেপ্তারের পর ফেরত পাঠিয়েছে তুরস্ক। তিনি দেশটিতে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করছিলেন। লোয়েনকে ফেরত পাঠানোর ঘটনাকে বিবিসি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে।
বিবিসি বলেছে, লোয়েনকে বুধবার ইস্তাম্বুলে গ্রেপ্তার করা হয়। চলমান বিক্ষোভের খবর সংগ্রহে কয়েক দিন তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন। গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এক বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘আজ (বুধবার) সকালে বিবিসি নিউজের প্রতিবেদক মার্ক লোয়েনকে ইস্তাম্বুল থেকে ফেরত পাঠিয়েছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। যে হোটেলে তিনি অবস্থান করছিলেন, সেখান থেকে আগের দিন তুলে এনে তাঁকে ১৭ ঘণ্টা আটক রাখা হয়। সাম্প্রতিক বিক্ষোভের খবর সংগ্রহে মার্ক লোয়েন তুরস্কে অবস্থান করছিলেন। আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হওয়ায় তাঁকে তুরস্ক ছাড়তে বলা হয়।’
দেশজুড়ে চলা সাম্প্রতিক বিক্ষোভে ১ হাজার ৮৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তুরস্কের ১১ জন সাংবাদিকও রয়েছেন।
আরও পড়ুনতুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী কে এই একরেম ইমামোগলু২৬ মার্চ ২০২৫রোববার রাতে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ব্যাপকতা বাড়ে। এ সময় কিছু বিক্ষোভকারীকে লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এর আগে ২০ মার্চ বিক্ষোভ দমনে পিপার স্প্রে ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।
ইমামোগলুকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয়। তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। গ্রেপ্তারের পর ইমামোগলুকে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)।