নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 25th, February 2025 GMT
নোয়াখালী সদর উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. তারেক (৩৫) নামে এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামের আলী আহমেদ চাপরাশির বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নারীর নাম তাছলিমা বেগম রোজি (৬০)। তিনি ওই বাড়ির আমিন আলীর মেয়ে।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় মামলা
পঞ্চম বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রীর হাতে প্রাণ গেল স্বামীর
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোজি তার বাবার বাড়ির একটি ঘরে একাই থাকতেন। রাতে তার ঘর থেকে শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। তারা ঘরটিতে গিয়ে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় রোজি মেঝেতে পড়ে আছেন। পাশে একটি রক্তমাখা চাপাতি পড়ে আছে। পরে স্থানীয়রা রোজিকে নোয়াখালী জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোজিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আবদু্ল্লাহ আল ফারুক বলেন, “হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের তারেক নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/সুজন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা
জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে জাতির পক্ষ থেকে সব শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সব শহীদের স্মরণে এখন থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এই দিনে জাতির সূর্যসন্তান শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি তাঁদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানান।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রিয়জন হারানোর এত বছর পরও স্বজন হত্যার বিচার পেতে অপেক্ষা করে আছেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পিলখানায় বীর সেনাসদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর অনেক বছর ধরে জাতি হিসেবে আমাদের নানা বিভ্রান্তিতে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই নির্মমতার সুবিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সমব্যথী হয়ে দেশ ও জনগণ শহীদ পরিবার ও সব নিপীড়িতের পাশে দাঁড়াবে সেই আশাবাদ রাখছি একই সঙ্গে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এখন থেকে এই দিনটি আমাদের চেতনা ও অনুভূতির একটি নিয়ামক হয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করার ব্রত নিয়ে পথচলা একদল সাহসী মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত নির্মম মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেবে। তাঁদের এই আত্মত্যাগের স্মরণে আমরা জাতি হিসেবে যেন নিজেদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে সংকল্পবদ্ধ হই। দুঃশাসন, ষড়যন্ত্র ও আত্মঅহংকারে আর যেন কোনো প্রাণ না হারায়। মানুষ যেন আত্মসম্মান ও মানবিক অধিকার নিয়ে নিজের যোগ্যতা ও মেধায় তাঁর প্রাপ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারে এই প্রত্যাশা করি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত পৃথিবী গড়ার পথে বাংলাদেশই যেন হয় আদর্শিক মাপকাঠি। জাতির শহীদ সেনাদের স্মরণে এই দিনে আমরা একটি স্বনির্ভর ও সুসভ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারবদ্ধ হই।’