ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মাটি খুঁড়ে শত বছরের এক সিন্দুকের সন্ধান মিলেছে। সিন্দুকটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। গতকাল সোমবার উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পুরনো টিনশেডের একটি ঘরে মাটি খুঁড়তে গিয়ে সিন্দুকটির সন্ধান মিলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পশ্চিম দাপুনিয়া এলাকায় ১৯১২ সালে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে বেশ কয়েকটি টিনের ঘর পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

সাব-রেজিস্ট্রিার মো.

রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, পরিত্যক্ত টিনের ঘরগুলো তার মূল ভবনের পাশে রয়েছে। সেখানে বসে দলিল লেখকরা তাদের কাজকর্ম করতেন। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে কোনো কাজকর্ম হয় না। গতকাল সোমবার সকালে সেখানে নতুন ভবনের কাজ করার জন্য এক শ্রমিক কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে গেলে প্রচণ্ড শব্দ হয়। এ অবস্থায় ঘটনাটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে জানালে তারা মাটি খুঁড়ে দেখতে পান সিন্দুক।  শাবল দিয়ে সিন্দুকের দরজা খুলে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি চাবি, পুরনো দলিল ও একটি এফিডেভিটের কাগজ রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সিন্দুক দেখতে লোকজন ভিড় জমায়।

তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, সিন্দুকটি নষ্ট হয়ে গেলে তা মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তবে সিন্দুকটির বয়স যে শত বছরের ওপর, তা এক রকম নিশ্চিত।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ

এছাড়াও পড়ুন:

‘পেডে দুই মুঠ ভাতই জোডে না, ঈদের সওদা করুম ক্যামনে’

‘প্রায় এক মাস ধইরা মেঘনায় মাছ ধরতে পারতাছি না। সরকার থেইকা সাহায্য-সহযোগিতাও পাই নাই। রোজগার নাই। পরিবার লইয়া খাইয়া না খাইয়া আছি। পেডে দুই মুঠ ভাতই জোডে না। ঈদের কেনাকাটা ও সওদা করুম ক্যামনে। খুব বিপাকে আছি।’

কথাগুলো বলছিলেন মর্তুজা মিয়া। তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নন্দলালপুর এলাকার জেলেপল্লিতে। ১ মার্চ থেকে মেঘনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ সময় সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় ঈদ সামনে রেখে পরিবার নিয়ে কষ্টের কথা জানান তিনি। তাঁর মতো মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১২ শতাধিক জেলে পরিবারেও একই অবস্থা বিরাজ করছেন।

মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস মেঘনার চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। দুই উপজেলায় মোট নিবন্ধিত জেলে ১৪ হাজার ৮৪০ জন। মাসে ৪০ কেজি করে ভিজিএফের খাদ্যসহায়তা (চাল) পাচ্ছেন ১২ হাজার ২৯৬ জন জেলে। খাদ্যসহায়তা পাচ্ছেন না ২ হাজার ৫৪৪ জন জেলে। এর মধ্যে সহায়তাবঞ্চিত ইসলাম ধর্মাবলম্বী জেলে ১ হাজার ২৭২ জন।

শুক্রবার সকালে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর, আমিরাবাদ, নন্দলালপুর ও ষাটনল এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাইশপুর ও কাজিরবাজার এলাকার জেলেপাড়ায় দেখা যায়, অনেক জেলে পরিবারে ঈদের আমেজ নেই। মনমরা হয়ে আছেন পরিবারের সদস্যরা। মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এবং রোজগার না থাকায় অধিকাংশ জেলের পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। ঘরে চুলা জ্বলছে না তাঁদের। আর্থিক সমস্যায় ঈদের কেনাকাটা ও সওদা করাও বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

মেঘনায় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জাল মেরামত করে সময় কাটাচ্ছেন এক জেলে। শুক্রবার সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ