সাজেকে অগ্নিকাণ্ড: তদন্ত কমিটি গঠন
Published: 25th, February 2025 GMT
দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। তাদের আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক দুপুর ১:১৫ টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার ঘটনায় নিম্নরুপ তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
আরো পড়ুন:
সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করল প্রশাসন
সাজেকে আগুনে পুড়ছে রিসোর্ট
তদন্ত কমিটিতে রাঙামাটি স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালককে আহ্বায়ক এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন, বাঘাইছড়ি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার, রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক, খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী।
এই তদন্ত অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদঘাটন এবং এ জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে সুপারিশ প্রেরণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
ঢাকা/শংকর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জীবনের নিরাপত্তা চাইছেন দিতি-সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি লামিয়া চৌধুরীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিতির বসতবাড়ি নিয়ে ভাই-বোনের দ্বন্দ্বের ফলে তার মেয়ের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে লামিয়া প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সাহায্য চেয়েছেন।
লামিয়া তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, কিছু ব্যক্তি এই ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং আমাকে রাজনীতির সাথে জড়ানোর অপচেষ্টা করছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার বাবা, প্রয়াত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী এবং মা, প্রয়াত চিত্রনায়িকা পারভিন সুলতানা দিতি, কেউই কখনো রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। তারা ছিলেন সংস্কৃতির মানুষ, আমিও তাদের আদর্শেই চলেছি এবং চলব।’
প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে লামিয়া বলেন, ‘এই হামলাটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে জমি দখল ও আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে। আমি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি এবং দাঁড়িয়ে থাকব। আমি অনুরোধ করছি, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আমি এবং আমার পরিবার বর্গের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চাই।’
জমি দখল করার উদ্দেশ্যে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমার উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। লাঠি, দেশীয় অস্ত্র এবং ইট-পাথর নিয়ে তারা আমার উপর নির্মম আঘাত হানে, যার ফলে আমি গুরুতর আহত হয়েছি এবং ইমিডিয়েট (দ্রুত) সার্জারি করা লাগবে।’অন্যদিকে ২২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে নয়টার দিয়ে লামিয়া তার ফেসবুকে আরও স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ‘এক্সরে রিপোর্ট দেখলাম। আমার পায়ের হাড্ডি ভেঙে ফেলেছে। পিঠেও ইনজুরি আছে।’
জানা গেছে, সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকায় অভিনেত্রী দিতিদের বসতবাড়ি। সেখানে তার ভাই ও বোনরা বসবাস করেন। তাদের বসতবাড়ি ও আশপাশের সম্পত্তি নিয়ে দিতির সঙ্গে তার ভাই টিপুর বেশ কয়েক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। দিতির ভাই টিপুর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী প্রীতি কয়েক দফা জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।