Samakal:
2025-02-25@06:36:56 GMT

এই নাকি অভিজ্ঞতা!

Published: 25th, February 2025 GMT

এই নাকি অভিজ্ঞতা!

স্লগ-সুইপে যে তিনিই দলের সেরা, সে দাবি নিয়ে কোনো তর্ক থাকতে পারে না। এই শট খেলেই যে তিনি অনেকবার সফল হয়েছেন, সেটাও অনস্বীকার্য। কিন্তু গতকাল ম্যাচ পরিস্থিতিতে তিনি যখন এই শটটি খেললেন, আর যেভাবে উইকেট দিয়ে এলেন; তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কুড়ি বছরের মতো তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা। ওয়ানডে আর টি২০ মিলিয়ে প্রায় ১৪টি আইসিসির আসর খেলা মুশফিকুর রহিমের কাছে অন্তত এমন শট আশা করেননি কেউ। ধারাভাষ্যকার ইয়ান স্মিথ তো বলেই দিলেন, ‘এত অভিজ্ঞতা নিয়ে এমন শট.

..’। 

হয়তো তা শুনতে পাননি মুশফিক, কিন্তু যেভাবে মাথা নিচু করে বাইশ গজ ছাড়লেন তিনি, তাতে লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশি সমর্থকরা। শুধু মুশফিকুর রহিমই নন, দলের আরেক অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই বা কী করলেন এদিন। কিউই স্পিনার ব্রেসওয়েলকে ডাউন দ্য উইকেটে চালাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসলেন। শুধু বাংলাদেশ দলেরই নয়, এই আসরে মোহাম্মদ নবিকে বাদ দিলে এরা দু’জনই সবচেয়ে বেশি বয়সী ক্রিকেটার। দু’জনে মিলে পাঁচশর বেশি ওডিআই খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অথচ তাদের একজন এদিন করলেন ২ আরেকজনের রান ৪।

ভারতের বিপক্ষে শূন্য করার পর মুশফিকুর রহিমের কাছে এদিন দলের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। বাংলাদেশ দলের শুরুটাও নেহাত মন্দ ছিল না। ৪৫ রানের ওপেনিং জুটি এসেছিল। মিরাজ আউট হওয়ার পর দলের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৬৪। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তাওহিদ হৃদয় এসে কিছুটা যেন অস্বস্তিতে ছিলেন এদিন। তিনি ব্রেসওয়েলের বলে আউট হয়ে যাওয়ার পর শান্তকে নিয়ে যেখানে ইনিংস গড়ে তোলার দায়িত্ব ছিল মুশফিকের ওপর, সেখানে কিনা হৃদয় আউট হওয়ার ১৪টি বল পরই মুশফিকের আত্মঘাতী শট। যেখানে কিউই অধিনায়ক একপাশ থেকে টানা ব্রেসওয়েলকে বোলিং করিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর টার্ন দেখে। সেখানে কিনা তাঁর ওপরই চড়াও হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মুশফিক। 

পিচ কন্ডিশন ও ম্যাচ পরিস্থিতিতে যে কৌশল বদলে নিতে হয়, সে কথা কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর বলেছিলেন ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিল। বলেছিলেন প্রথমে পেসারদের খেলেছিলেন তিনি ফ্রন্টফুটে গিয়ে এবং স্পিনারদের খেলেছিলেন ব্যাকফুটে। বিরাট কোহলিও পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর বলেছিলেন কন্ডিশনের কারণে মাঝে তাঁকে শ্লথ খেলতে হয়েছিল। ৩৬ বছর বয়সে তাঁর এই সেঞ্চুরি ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ঠিকই আছে। মুশফিক নিশ্চিত এসব সবার চেয়েও ভালো জানেন, কিন্তু তার পরও ভুল হয় তাঁর। তাহলে কি আটত্রিশ ছুঁইছুঁই বয়সই তাঁর দুর্বলতার কারণ। কেননা, যে শটটি তিনি এই বয়সে খেলেছিলেন, তা হয়তো বছর দশেক আগে হলে ছক্কা হয়ে যেত!

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাপারটাও কি ঠিক তাই। তিনিও সদ্য চল্লিশে পা দিয়েছেন। রিফ্লেক্স তাঁরও কি কমে যায়নি। এদিন সাত নম্বরে নেমে যেভাবে আউট হলেন, তা নিশ্চয় কোনো একাডেমিতে ক্রিকেট শিখতে যাওয়া কিশোরের কাছে উদাহরণ হতে পারে না। টানা বোলিং করে যাওয়া ব্রেসওয়েলের সেটাই ছিল কোটার শেষ ওভার। আর সেই ওভারের প্রথম বলেই কিনা চড়াও হলেন তিনি। যেখানে ১০৬ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছে, একদিক আগলে রেখেছেন শান্ত, সেখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঠিক কী চাইছিলেন তখন? ক্যামেরার সামনে কখনও এই প্রশ্ন করলে হয়তো সৌজন্যমাখা উত্তর দেবেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিনি কিংবা মুশফিকুর রহিম; তারা দু’জনই তাদের স্বর্ণসময় পার করে এসেছেন বহু বছর আগেই।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র সওয় ল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

এবারের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকীর দিনটি ব্যতিক্রম: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে প্রথমবারের মতো জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালন করায় এবারের দিনটি ব্যতিক্রম বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকীতে বনানী সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পরেই তিন বাহিনী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

১৬ বছর আগে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর ঢাকার পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এতে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে তখন পিলখানায় নিহত হন ৭৪ জন। সেদিন পিলখানায় থাকা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও নৃশংসতার শিকার হন।

জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে বনানী সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিন বাহিনীর প্রধানরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ