রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ব্যবসায়িক ও পেশাদার ব্যক্তিদের একটি সংগঠন। বৈশ্বিক সেবামূলক সংগঠনটির যাত্রা শুরু ১৯০৫ সালে। প্রত্যেক ব্যবসায়িক ও পেশাদার ক্লাব থেকে একজন ব্যক্তি রোটারি ক্লাবের সদস্য হয়ে থাকেন। প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি, ব্যবসায় ও পেশাদারি পর্যায়ে মূল্যবোধ গঠন এবং বিশ্বব্যাপী ফেলোশিপ প্রদানের ব্রত নিয়েই সংগঠনটি গঠন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের এভানস্টোনে রোটারির সদর দপ্তর। জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন সেবামূলক প্রকল্প গ্রহণের জন্য ১৯২৮ সালে রোটারি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বিদেশে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি, মানবধর্মী প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ এবং রোটারিয়ানদের বিদেশ সফরে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেই রোটারি ফাউন্ডেশন দেবে ফেলোশিপ। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর ও প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য মিলবে ফেলোশিপ/বৃত্তি। এ ফেলোশিপের আওতায় বিনা মূল্যে ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন এ স্কলারশিপের জন্য। নানা সুযোগ–সুবিধার মধ্যে ইন্টার্নশিপেরও সুযোগ রয়েছে এ ফেলোশিপে।

১৩০টি স্কলারশিপ পাবেন আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে স্নাতকোত্তরে ৫০টি এবং একটি প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য ৮০টি স্কলারশিপ। এ স্কলারশিপে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনার সুযোগ এবং তুরস্ক ও উগান্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের একটি প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে।

সুযোগ-সুবিধা—

১৫ থেকে ২৪ মাস মেয়াদি স্নাতকোত্তরের জন্য এবং ১ বছর একটি প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের রোটারি ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল অর্থায়ন করবে

টিউশন ফি মওকুফ

আবাসন সুবিধা

বিমানে যাতায়াতের অর্থ

ইন্টার্নশিপ ও ফিল্ড স্টাডিজে মিলবে অর্থ

স্বাস্থ্যবিমা

নেই আবেদন ফি

ইন্টার্নশিপেরও সুযোগ আছে।

আরও পড়ুনশিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদন অনলাইনে২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা—

স্নাতকে ভালো ফল থাকতে হবে

নেতৃত্বের দক্ষতা থাকতে হবে

শান্তি বা উন্নয়নমূলক কাজের ওপরে স্নাতকোত্তরের জন্য তিন বছর ও ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে

ইংরেজি দক্ষতার সনদ।

ছবি: রোটারির ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ইন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

৩৭ বছর পর নির্বাচন ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনে, নতুন সভাপতি সাঈদ আহমেদ

বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) ২০২৫-২৬ মেয়াদের নির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ। এ ছাড়া সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্সের পরিচালক আদিবা রহমান আর সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অগ্রণী ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন। গতকাল রোববার ঢাকার নয়াপল্টনে বিআইএর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাঁরা নির্বাচিত হন।

১৯৮৮ সালে সংগঠনটি গঠন হওয়ার পর এবারই প্রথম সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। বিআইএর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিআইএ জানিয়েছে, নির্বাচিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালের ইনস্যুরেন্সের পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ, সিটি ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেইন আখতার, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী এ কে এম সরোয়ার জাহান জামিল, গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ফারজানা চৌধুরী, সন্ধানী লাইফের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম, ফারইস্ট ইসলামি লাইফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বেঙ্গল ইসলামি লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, বেস্ট লাইফের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম, এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক আরিফ সিকদার, পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী বি এম ইউসুফ আলী, প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী জালালুল আজিম, জেনিথ ইসলামি লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান এবং ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. কাজীম উদ্দিন।

বিমা খাতে এমডি তথা মুখ্য নির্বাহীদের বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরাম নামে একটি সংগঠন রয়েছে, যার সদস্য মুখ্য নির্বাহীরাই। কিন্তু চেয়ারম্যানদের সংগঠন হিসেবে পরিচিতি থাকলেও বিআইএর কমিটিতেও মুখ্য নির্বাহী বা সাধারণ পরিচালকেরাও এবার নির্বাচিত হয়েছেন।

জানতে চাইলে বিআইএর নতুন সহসভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীরা বিআইএর কমিটিতে এখন পর্যন্ত থাকতে পারছেন। আশা করছি, ভবিষ্যতে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে এর একটি সুরাহা করা হবে।’

১৯৮৮ সালে বিআইএ গঠিত হয়। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্যসংখ্যা ৮০, তবে ভোটার ৭৬ জন। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৫৩ জন সদস্য। ২০১১ সাল থেকে টানা সংগঠনটির সভাপতি ছিলেন শেখ কবির হোসেন, যিনি বিমা খাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা হিসেবে পরিচিত। তাঁর এমন পরিচিতির কারণে বিআইএতে স্বাভাবিক নির্বাচন হতো না বলে জানা গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২০ আগস্ট বিআইএ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ কবির হোসেন।

শেখ কবির হোসেনের পদত্যাগের পর গত বছরের অক্টোবরে সভাপতির দায়িত্ব পান মেঘনা লাইফ ও কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ। এর আগে তিনি সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি ছিলেন। আগামী ৮ এপ্রিল ২০২৩-২৪ মেয়াদের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

মেয়াদ শেষের আগে কেন নির্বাচন, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সামনে রোজা চলে আসায় আমিই অনুরোধ করেছিলাম নির্বাচনটা যাতে আগে শেষ করা যায়। ১ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্বে আছি। তবে ৩৭ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাদা দল
  • চালু হলো সাশ্রয়ী মূল্যের ‘রমজানের বাজার’
  • ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতিকে ফ্যাসিবাদী আচরণ বলছে শিবির
  • ৩৭ বছর পর নির্বাচন ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনে, নতুন সভাপতি সাঈদ আহমেদ
  • ধর্ষণ ও বাসে নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ
  • জিম্মি শিরির মরদেহ কোথায় ছিল, কেন ভুল হয়েছিল, জানাল হামাস
  • জিম্মিদের একসঙ্গে মুক্তি দিতে ‘রাজি’ হামাস
  • বিআইএ’র নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন যারা
  • ‘বই অতীতের সঙ্গে বর্তমান ও ভবিষ্যতের যোগসূত্র তৈরি করে’