এই মা প্রতিদিন ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন যে কারণে
Published: 25th, February 2025 GMT
ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে সংসার গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন র্যাচেল কৌর, বিমানবন্দরে গিয়ে বিমানে ওঠেন অফিসের জন্য। অতঃপর কর্মদিবস শেষে সন্ধ্যা নাগাদ ফ্লাইটে করে ফিরে আসেন দুই সন্তানের কাছে, এটিই তাঁর প্রতিদিনের রুটিন। কর্মজীবন ও পরিবার—দুটোই সামলানোর অসাধারণ ক্ষমতার জন্য তিনি ‘সুপার কমিউটার’ নামেও পরিচিতি পেয়েছেন। তবে এর চেয়ে বড় পরিচয়, তিনি একজন ‘সুপারমম’।
র্যাচেল কৌর মালয়েশিয়ার বিমান কোম্পানি এয়ার এশিয়ার সহকারী অর্থ ব্যবস্থাপক, থাকেন পেনাংয়ে, কিন্তু কাজ করেন রাজধানী কুয়ালালামপুরে। শুরুর দিকে তিনি কাজের সুবিধার্থে কুয়ালালামপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে সপ্তাহান্তে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু সন্তানদের থেকে দূরে থাকার কারণে কাজে ঠিকঠাক মন বসাতে পারছিলেন না। সন্তানদের প্রতিদিনের জীবন, স্কুলের কার্যক্রম এবং ছোট ছোট মুহূর্ত মনে করে র্যাচেল বেশ কষ্ট পেতেন। সন্তানদের বেড়ে ওঠার সুন্দর মুহূর্তগুলো হারাতে চাননি। তাই একটা সাহসী পদক্ষেপ নেন। সিদ্ধান্ত নেন, পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য প্রতিদিন বিমানে করে অফিসে যাতায়াত করবেন। সপ্তাহে পাঁচ দিন বিমানে যাতায়াতের খরচ নিশ্চয়ই আকাশছোঁয়া। আদতে তা নয়। র্যাচেল বলেন, আগের তুলনায় তাঁর খরচ বরং অনেকটাই কমে গেছে। কুয়ালালামপুরে বাসা ভাড়া ও থাকা-খাওয়া বাবদ প্রতি মাসে ব্যয় করতেন ৪৭৪ ডলার বা ২ হাজার ১০৬ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত। আর এখন তাঁর মাসিক খরচ কমে হয়েছে ৩১৬ ডলার বা ১ হাজার ৩৯৬ রিঙ্গিত।
আরও পড়ুনমা–বাবার বিষণ্নতা যেভাবে সন্তানের জন্য ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে২৭ নভেম্বর ২০২৪যেখানে বেশির ভাগ মানুষ কর্মক্ষেত্রে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ যানজট নিয়ে অভিযোগ করেন, সেখানে র্যাচেল দৈনিক ৭০০ কিলোমিটার আকাশপথ পাড়ি দেন এবং তিনি মনে করেন, সন্তানদের হাসিমুখের কাছে এটি কোনো কষ্টই নয়। এই রুটিন বজায় রাখতে শুধু শারীরিক সক্ষমতাই নয়, দরকার অসীম মানসিক শক্তির। র্যাচেলের জন্য এই যাত্রা ক্লান্তিকর হলেও মূল্যবান।
র্যাচেল দৈনিক ৭০০ কিলোমিটার আকাশপথ পাড়ি দেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি নিয়ে স্নাতকদের দোরগোড়ায় ৪৫ প্রতিষ্ঠান
কথায় আছে, যোগ্যতা থাকলে চাকরি আপনাকে খুঁজে নেবে। যোগ্যদের খুঁজতে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) ক্যাম্পাসে আয়োজিত চাকরি মেলায় অংশ নিয়েছিল ৪৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করেছেন কিংবা দু-এক মাস পরেই স্নাতক শেষ হবে, এমন শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানে পছন্দের চাকরির জন্য আবেদন করতে পেরেছেন।
রাজধানীর মিরপুরে বিইউবিটির ক্যাম্পাসে ‘বিইউবিটি ক্যারিয়ার ফেয়ার ২০২৫’ নামের এই চাকরি মেলার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যারিয়ার গাইডেন্স, কাউন্সেলিং ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিস। সহযোগিতায় ছিল অনলাইনে চাকরি খোঁজার প্রতিষ্ঠান বিডিজবস ডটকম লিমিটেড।
বিইউবিটি এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো চাকরি মেলার আয়োজন করল। এবারের এক দিনের এই আয়োজনে অংশ নেয় ব্যাংক, তথ্যপ্রযুক্তি, বিপণন, উৎপাদন ও সেবা খাতসহ বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠান।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চাকরি পেতে শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্যই এই উদ্যোগ। বিগত বছরগুলোতে চাকরির মেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০০ স্নাতক চাকরি পেয়েছেন।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বিইউবিটির উপাচার্য এ বি এম শওকত আলী