কুখ্যাত রাশিয়ান গ্যাংস্টারের ছেলে এক স্ট্রিপ ড্যান্সারের প্রেমে পড়ে। দুজন বিয়ে করে; কিন্তু সেই গ্যাংস্টার বিয়ে মেনে নেয় না। এমন গল্প নিয়ে শন বেকারের সিনেমা ‘আনোরা’। গত বছর কান উৎসবে স্বর্ণপাম জেতা সিনেমাটি আদতে নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনের বাস্তবতা আর তাদের স্বপ্নের টানাপোড়েনের গল্প। গত বছর যখন কানে সিনেমাটি স্বর্ণপাম জেতে, অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। কারণ সেবারের উৎসবে হেভিওয়েট নির্মাতাদের হারিয়ে সেরার পুরস্কার জেতা সহজ ছিল না। কান ঘুরে এখন অস্কারের সামনে দাঁড়িয়েছে ‘আনোরা’। শেষ পর্যন্ত কী পুরস্কার জিতবে শন বেকারের সিনেমাটি?  

একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে ছয় মনোনয়ন পেয়েছে ‘আনোরা’। এর মধ্যে আছে সেরা সিনেমার মনোনয়নও। মাস দুয়েক আগে হলেও হয়তো বেশির ভাগ দর্শকই বলতেন, ‘আনোরা’ হয়তো সেরা সিনেমা হবে না। কিন্তু গত এক মাসে দৃশ্যপট বদলে গেছে। দুই মাসে অস্কারে ফেবারিট ছিল ‘এমিলিয়া পেরেজ’। কিন্তু নানা বিতর্কে পিছিয়ে পড়েছে জ্যাক অঁদিয়ারর সিনেমাটি।

‘আনোরা’র দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সন্ধান মেলেনি চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর

খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণের একদিন পেরিয়ে গেলেও তারা উদ্ধার হয়নি। তবে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার সকালে পাহাড়ের বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চবি ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। অপহৃতরা হলেন, চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও পিসিপির চবি শাখার সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। এ ঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে ইউপিডিএফকে দায়ী করলেও সংগঠনটি অস্বীকার করেছে।

চবির ৫ শিক্ষার্থী অপহরণের পর সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে পারেনি। একটি সূত্র জানিয়েছে, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের বৃহস্পতিবার দুপুরে অপহরণকারীরা সাক্ষাতের জন্য ডেকেছে। তবে কোন স্থানে অভিভাবকদের সাক্ষাত করা হবে, তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি সূত্রটি।

এদিকে, পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও অপহৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত ১৮৩ জন আদিবাসী শিক্ষার্থীরা যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভুবন চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হলেও তাদের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন অপহরণ ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সারা বাংলাদেশে মানবাধিকারবিরোধী ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার পরিপন্থী। অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের বিষয়ে  দ্রুত পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে আসলে ঘটনাটি কী, কাদের হেফাজতে তারা রয়েছেন। এসব দেখে আমরা যৌথ অভিযানে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজারে রাখাইন সম্প্রদায়ের তিন দিনের সাংগ্রাইং উৎসব শুরু
  • ‘সাংগ্রাইমা ঞি ঞি ঞা ঞা রি ক্যাজাইকে পা-মে্’ সাংগ্রাইয়ের প্রাণ
  • সন্ধান মেলেনি চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর
  • শাকিবের জন্য এলাহি আয়োজন
  • হবিগঞ্জে বোরো ধান কাটা উৎসব উদযাপন
  • হাওরে ধান কাটার উৎসব
  • সাংগ্রাই জলোৎসবে মৈত্রী বর্ষণে পরিশুদ্ধ হৃদয়
  • মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল
  • ‌‌‌‘সন্তানের উসিলায় আজীবন পহেলা বৈশাখ ভিন্নভাবে পালন করতে পারব’
  • রাঙামাটিতে গুর্খা সম্মেলন ও গুণীজন সম্মাননা