Samakal:
2025-04-24@16:58:37 GMT

ছিনতাই খুন লুটে ভয়ার্ত মানুষ

Published: 25th, February 2025 GMT

ছিনতাই খুন লুটে ভয়ার্ত মানুষ

মহাসড়কে বাসের ভেতরে অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ। মধ্যরাতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে সোনাদানা ছিনতাই। দিনদুপুরে খোদ রাজধানীতে চলন্ত বাসে অস্ত্র ঠেকিয়ে লুটতরাজ। প্রান্তিক জনপদে ট্রিপল মার্ডার। বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর গ্যাং। ‘ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযানের মধ্যেও খুনোখুনি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, মব ভায়োলেন্স– এমন কোনো অপরাধ নেই, যা ঘটছে না। অপরাধের নানা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে ভীতি। অভিযানের মধ্যেও অপরাধীরা যখন এমন বেপরোয়া, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়ে উঠেছে নানামুখী প্রশ্ন।  

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলেছেন, ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেশি পরিচালিত হচ্ছে বলে দৃশ্যমান। অভিযানে এরই মধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল যারা, অধরা তাদের ধরা। সংঘবদ্ধ অপরাধে যারা জড়িত, তাদের মধ্যে ধারণা জন্মেছে– তারা অভিযানের ফোকাসে নেই। এ কারণে অভিযানের পূর্ণ ফল আসেনি। প্রতিদিন ঘর থেকে বেরিয়ে আবার নিরাপদে ফিরতে পারবে কিনা, অনেকের মধ্যে এমন শঙ্কা ভর করেছে। আবার ঘরে ফিরে সেখানেও ডাকাত-চোর আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে। 

ভুক্তভোগীরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবি করেছেন ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে আন্দোলনকারীরা। তারা বলেছেন, পদত্যাগ না করলে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে মশাল মিছিল হবে। রোববার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেন। রোববার রাত ৩টায় বারিধারার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে.

জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ধর্ষণ, খুন, চুরি ডাকাতির প্রতিরোধে প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগে কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় একই ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে বিশেষ অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন যে আমাদের আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। তবে আমাদের চেষ্টা আছে এবং আত্মজিজ্ঞাসা আছে। ব্যর্থতা থেকে উত্তরণে আমাদের ব্যাপক চেষ্টা আছে, তাড়না আছে। প্রতিটি ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ব্যাপক চেষ্টা আছে। তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে। টাকা থাকলে এবং বদ মতলব থাকলে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করা সম্ভব। সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।

ছিনতাই, ডাকাতি নিয়ে দেশবাসী যখন উদ্বিগ্ন, তখন ছিনতাই রোধে পুলিশের তিনটি বিশেষায়িত ইউনিট শিগগিরই মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। গতকাল রাজশাহীর প্রাইমারি ট্রেনিং সেন্টারে এক কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান। পুলিশপ্রধান বলেন, ছিনতাই রাতেও বেড়েছে, দিনেও বেড়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ, র‍্যাব ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট যৌথ টহল দেবে। এতেও উন্নতি না হলে আমাদের অন্য পরিকল্পনায় যেতে হবে।

পুলিশের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত জানুয়ারিতে সারাদেশে ২৯৪ জন খুন হন। একই মাসে ১৭১টি চুরি, ৭১ ডাকাতি, ১০৫টি অপহরণ এবং ১ হাজার ৪৪০ নারী ও শিশু নিপীড়নের ঘটনা ঘটে।
রাজধানীসহ সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযানের মধ্যেও বেপরোয়া অপরাধীরা। ডেভিল হান্টে গত ১৬ দিনে ৯ হাজার ২৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা যা বলছেন 
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা সমকালকে বলেন, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো যথেষ্ট নয়। অপরাধীর বিষয়ে যে তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে থাকা দরকার, তারা তা পাচ্ছে না। আগে থেকেই অপরাধীর সম্পর্কে তথ্য থাকলে বেশির ভাগ অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমি যতদূর জানি, ঢাকায় যেসব পুলিশ সদস্য কাজ করছে, তারা সবাই নতুন। এ কারণে ঢাকায় তাদের নেটওয়ার্ক ঠিকমতো গড়ে ওঠেনি। 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উমর ফারুক সমকালকে বলেন, মানুষ এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে আছে, তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাইছে। এর কারণ দুর্বল প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণহীন সমাজ ব্যবস্থা। এতে মানুষের মধ্যে এক ধরনের সোচ্চার ও উত্তেজনা মনোভাব তৈরি হয়েছে। যে কারণে সে মনে করে যেটা করছে, সেটাই সঠিক। সরকারও তা শক্তভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও বেশি কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তবে শুধু গ্রেপ্তার কিংবা বল প্রয়োগ করে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে, বিষয়টি এমন নয়। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যা বললেন
আতঙ্কজনক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাত ৩টার দিকে বারিধারা ডিওএইচএসে নিজ বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন নিয়ে হাজির হন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা দেশ অস্থিতিশীল করতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। আজ থেকে যেন কোথাও কোনো অপরাধ না ঘটে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি এই নির্দেশনা কার্যকর করতে না পারে, তাদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও উন্নত হবে। 
গতকাল সোমবারও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে অপারেশন আরও জোরদার করা হবে। অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল বাড়ানো হবে, চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হবে।

ঘটনার পরম্পরা
গতকাল ভোরে সায়েদাবাদের স্বামীবাগে মো. শামীম নামে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। শামীম জানান, তিনি সায়েদাবাদ টার্মিনালে কাজ করেন এবং সেখানেই থাকেন। ভোরে কয়েকজন তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। গত রোববার রাতে আশুলিয়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক নারী পোশাককর্মী নিহত হন। নিখোঁজের এক দিন পর রোববার দুপুরে উদ্ধার করা হয়েছে আতিয়ার নামে এক ভ্যানচালকের লাশ। রোববার গভীর রাতে দক্ষিণখানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় রোববার রাতে অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদের ঘরে হানা দেয় ডাকাতরা। এ সময় আজাদসহ তিনজনকে গুলি করা হয়।  

গত শনিবার রাতে পটুয়াখালীর বাউফলের চরমিয়াজান গ্রামে ঘরে ঢুকে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তার মা-বাবার সামনে থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বরিশালের গৌরনদীর সুন্দরদী গ্রাম থেকে গত বৃহস্পতিবার দুই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। এই অভিযোগে রোববার রাতে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পরে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে আদাবরের শেখেরটেকে প্রকাশ্যে চাপাতি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। চারজনের একটি দল রাসেল নামে এক যুবককে কুপিয়ে চলে যায়। মাদক কারবার ঘিরে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ। রোববার আদাবর এলাকায় হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, একটি রিকশায় তিন যাত্রী ছিলেন। রিকশা থামিয়ে চাপাতি দিয়ে যাত্রীদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।

গত শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর মাঠে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা হানিফ আলীসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার দায় স্বীকার করে চরমপন্থি সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠান।

সম্প্রতি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও দুই নারীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আবু রায়হান ইভান নামে এক শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় তাঁর কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ও একটি দামি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে উত্তরায় ভিক্টর পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে যাত্রীবেশী ৫-৬ যুবক অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই করে। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে এক নারী ও পুরুষকে রামদা দিয়ে কোপানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রামপুরার বনশ্রী এলাকায় কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শ্রমিক দলের নেতা জুয়েলকে গুলি করে তারই দলের আরেক গ্রুপ। ১৩ ফেব্রুয়ারি ইস্কাটনের দিলু রোড এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন দুই রিকশার যাত্রী। শনিবার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আগে থেকেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অনুসরণ
বনশ্রীতে কুপিয়ে ও গুলি করে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের ২০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গতকাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ সময় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের আইনের আওতায় না আনলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

বনশ্রীর সি ব্লকের ৫ নম্বর সড়কের ‘অলংকার জুয়েলার্স’-এর মালিক আনোয়ার ডি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির নিচতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন। রোববার রাত পৌনে ১০টায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় দোকানে থাকা ২০০ ভরি স্বর্ণের গহনা ব্যাগে নিয়ে যান। ব্যাগে ১ লাখ টাকাও ছিল। ১০টা ৫০ মিনিটে বাসার সামনে পৌঁছামাত্র তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘিরে ধরে। তিনজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাঁর ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা পেয়ে আনোয়ারকে কুপিয়ে ও গুলি করে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। পাশের ভবন থেকে ছিনতাই ও গুলির দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন বাসিন্দারা। রাতেই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

আনোয়ারের ওপর হামলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম জানান, চিৎকার শুনে তিনিসহ পরিবারের সবাই ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন, আনোয়ারকে গুলি করছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় বাড়ির প্রধান ফটক বন্ধ ছিল। বাড়ির দারোয়ান মো. পিয়ারু নিচতলার একটি কক্ষে শুয়ে ছিল। চিৎকার শুনে এগিয়ে আসেনি। গেটও খুলে দেয়নি। হোসনে আরা বলেন, দারোয়ান আমাকে জানায়, গেটের চাবি খুঁজে পাচ্ছে না। ছিনতাইকারীরা চলে যাওয়ার অনেক পরে গেট খুলে দেয়। আমাদের ধারণা, এই ঘটনার সঙ্গে দারোয়ান এবং বাড়ির ম্যানেজার জড়িত থাকতে পারে। 

৭ নম্বর রোডের মারিয়া ইলেকট্রনিক্সের মালিক মাহাবুব আলম টিটো বলেন, রাত পৌনে ১১টায় আনোয়ার আমার দোকানে আসেন। দু’জন কথা বলছিলাম। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে সাতজন আনোয়ারের বাসার দিকে চলে যায়। মিনিটখানেক পর আনোয়ারও বাসার উদ্দেশে চলে যান। তিনি যাওয়ার পরপরই শব্দ ও চিৎকার শুনি। দোকান থেকে বের হয়ে দেখি, ওই তিন মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্বৃত্তরা একই পথ ধরে চলে যাচ্ছে। আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আনোয়ারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তিনি জানান, আনোয়ার তাঁর কাছে আসার আগে ৭ নম্বর রোডের মুখে মোটরসাইকেল নিয়ে একজনকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। মাথায় হেলমেট ছিল। আনোয়ার আসার পর ওই ব্যক্তি চলে যায়। এর পরই তিনটি মোটরসাইকেলে সাতজন রোডে প্রবেশ করে। আহত আনোয়ার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ বলেন, গুলি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় গতকাল মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল ও এর আশপাশে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কালীগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি
গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদীপ কর্মকারের (৬৫) বাড়িতে সোমবার ভোরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নেয়। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলে এলাকাবাসী ডাকাতদের ধাওয়া করে। ভুক্তভোগী প্রদীপ রায় কর্মকার জানান, রাত ৩টার দিকে বাঁশ দিয়ে মই তৈরি করে মুখোশ পরিহিত একদল ডাকাত দোতলার বারান্দায় ওঠে। তারা সাত ভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, গোপাল মূর্তি, ২০ হাজার টাকাসহ মূল্যবান মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা)

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই গ র প ত র কর র ঘটন য় ব যবস থ ব যবস য় অপর ধ র স বর ণ আম দ র এল ক য় ঘটন র এ সময় র একট গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

পাহাড়ে অপহরণের আলোচিত যত ঘটনা

পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত ও অপহরণ নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে এই অঞ্চলে বিদেশি নাগরিক, রাজনৈতিক নেতাসহ নানাজনকে অপহরণের ঘটনা দেশ ছাড়িয়ে আলোচিত হয়েছে বহির্বিশ্বেও। সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে অপহরণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে, যা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ১৯৮৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সংঘটিত চাঞ্চল্যকর কিছু অপহরণের ঘটনা জানা যাক।

তিন বিদেশি অপহরণ (২০০১)

২০০১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির নানিয়ারচরে অপহৃত হন ডেনমার্কের উন্নয়ন সংস্থা ড্যানিডার তিন কর্মকর্তা। ড্যানিডা নিযুক্ত সড়ক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কেমসেক্স ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে রাঙামাটি-মহালছড়ি সড়কের প্রশস্ততা বাড়ানোর কাজে তথ্যানুসন্ধানের জন্য ওই ব্যক্তিরা সেখানে গিয়েছিলেন। তিনজনই ছিলেন ইউরোপীয়। এই ঘটনা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও আলোড়ন তোলে।

অপহৃত তিনজন বিদেশির মধ্যে টারবেন মিকেলসন (৩৮) ও নিলস হুলগার্ড (৬৩) ছিলেন ডেনমার্কের অধিবাসী। অপরজন টিম সেলবি (২৮) ছিলেন ইংল্যান্ডের নাগরিক। অপহরণের পর দেশ দুটির রাষ্ট্রদূত তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে দেখা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে। আলোচনাও চলতে থাকে। অপহরণকারীরা ৯ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন।

দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে ফলাও করে এই সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। ১৯ ফেব্রুয়ারি সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার রাঙামাটিতে এক ব্রিফিংয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান গণমাধ্যমকর্মীদের। একই সময়ে তিনি অপহরণের জন্য পার্বত্য চুক্তির বিরুদ্ধে থাকা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেন। পার্বত্য চুক্তির পরের বছর দলটির জন্ম হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও দলটিকে অপহরণের দায় দেয়।

১৯ ফেব্রুয়ারি অপহৃত মিকেলসনের লেখা একটা চিরকুটও প্রদর্শন করেন দীপংকর তালুকদার। ওই চিরকুট তিনি স্ত্রীর উদ্দেশে লিখেছিলেন। তাতে তাঁরা অপহরণকারীদের জিম্মায় ভালো আছেন বলে বার্তা দিয়েছিলেন। অবশ্য মিকেলসনের উৎকণ্ঠিত স্ত্রী ডিভিনা টরবেন পরে ইংল্যান্ড থেকে সন্তানদের নিয়ে রাঙামাটি চলে আসেন। রাঙামাটির কাউখালীর এক দুর্গম এলাকা থেকে ১৭ মার্চ এই তিন বিদেশির মুক্তি মিলেছিল।

মুক্তির পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাবি করে, তাদের সঙ্গে অপহরণকারীদের ব্যাপক (১০০টির বেশি) গোলাগুলি হয়। কিন্তু অপহৃত তিন বিদেশি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উদ্ধারের সময় অপহরণকারীদের সঙ্গে কোনো গোলাগুলি হয়নি। তাঁরা কেবল দু-একটি গুলির শব্দ শুনেছেন।

শেল অয়েলের ৬ জন অপহরণ (১৯৮৪)

১৯৮৪ সালে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি সিজকমুখ এলাকা থেকে অপহৃত হন তেল অনুসন্ধানকারী শেল অয়েলের ছয় কর্মকর্তা। প্রথমে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। বাকি তিনজনকে প্রায় এক মাস পর এক কোটি টাকা ও সোনার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয় বলে ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল প্রথম আলো পত্রিকার খবরে প্রকাশ হয়েছিল। পার্বত্য চুক্তির আগে সংঘটিত আলোচিত এ ঘটনার জন্য জেএসএসের সামরিক সংগঠন শান্তিবাহিনীকে দায়ী করা হয়।

টেলিটকের পাঁচ কর্মী অপহরণ (২০১৩)

২০১৩ সালের ৮ জুলাই রাঙামাটির বাঘাইছড়ি থেকে অপহরণ করা হয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের পাঁচ কর্মীকে। তাঁদের কাছ থেকে মুক্তিপণও দাবি করা হয়। এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অপহরণের ১৭ দিন পর ২৬ জুলাই খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় তাঁরা জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান।

মুক্তির পর টেলিটকের কর্মী মো. আখতারুজ্জামান বলেছিলেন, অপহরণের পর তাঁদের তিন দিন একটি মাটির ঘরে রাখা হয়েছিল সশস্ত্র পাহারায়। এরপর বিভিন্ন পাহাড়ে ঘোরানো হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন জানায়, অপহৃতদের মুক্তির জন্য কোনো মুক্তিপণ দিতে হয়নি।

জেএসএসের ৭০ নেতা-কর্মী অপহরণ (২০১৩)

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার কাট্টলীবিল থেকে জেএসএসের ৭০ নেতা-কর্মীকে অপহরণ করা হয় ২০১৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। লংগদু ও বাঘাইছড়ি থেকে নৌকাযোগে রাঙামাটি সদরে জেএসএসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। একটি সশস্ত্র দল কাট্টলীবিল এলাকায় নৌকাটিকে জিম্মি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনার জন্য জেএসএস ইউপিডিএফকে দায়ী করে। তবে ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
অপহরণের এই ঘটনা অপহৃত ব্যক্তিদের সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বড়। অপহৃত ব্যক্তিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দিতে এক বছরের মতো সময় পার হয়। মুক্তিপণও দিতে হয়েছিল বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।

কল্পনা চাকমা অপহরণ (১৯৯৬)

১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নিজ বাড়ি থেকে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ১২ জুন ছিল ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই বছরের ১৩ জুন এ ঘটনায় বাঘাইছড়ি থানায় মামলা করেন কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা। তবে ৩৯ জন কর্মকর্তা তদন্ত করেও বারবার মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। গত বছরের ২৩ এপ্রিল কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলাটি রাঙামাটির আদালতে খারিজ করে দেওয়া হয়।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অপহরণ (২০২৪)

বম জনগোষ্ঠীর কিছু তরুণ ও যুবকের উদ্যোগে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সংগঠন ২০২২ সালে প্রকাশ্যে আসে। সংগঠনটির কার্যক্রম মূলত বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ি এলাকায় দেখা যায়। গত বছরের ২ এপ্রিল কেএনএফ রুমা বাজারে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে।

রাত ৯টার দিকে কেএনএফের সশস্ত্র দল ব্যাংকে হামলা চালায়। তারা ব্যাংকের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্য এবং অন্য লোকজনকে জিম্মি করে। এরপর পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে দুটি সাব-মেশিনগানসহ (এসএমজি) ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করেন কেএনএফ সদস্যরা। তাঁর মুক্তির জন্য ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ৪৮ ঘণ্টা পর মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে।

দুই নেত্রী অপহরণ (২০১৮)

২০১৮ সালের ১৮ মার্চ হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দয়া সোনা চাকমাকে অস্ত্রের মুখে কুতুকছড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়৷ এ ঘটনার প্রতিবাদে ২১ মার্চ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় ইউপিডিএফ। এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে দায়ী করা হয়। এর আগের বছর ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর মূল ইউপিডিএফ ভেঙে তপনজ্যোতি চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ইউপিডিএফ শুরু থেকে ছিল প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন। অপহরণের ৩১ দিন পর ১৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির মধুপুর এলাকায় অপহৃত ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

পাঁচ পিসিপি নেতা অপহরণ (২০২৫)

১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ির কুকিছড়া থেকে অটোরিকশায় সদরে যাওয়ার পথে গিরিফুল নামক জায়গায় অপহৃত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। তাঁরা সবাই জেএসএস সমর্থিত ছাত্রসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) নেতা। অপহৃতরা হলেন রিশন চাকমা, মৈত্রীময় চাকমা, দিব্যি চাকমা, লংঙি ম্রো ও অলড্রিন ত্রিপুরা।
পিসিপির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি চাইছি। অপহৃতরা সবাই পিসিপির নেতা-নেত্রী’। অপহরণের ঘটনায় জেএসএসের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্যা মারমা।

যেসব কারণে অপহরণ

সমতলে বেশির ভাগ অপহরণের ঘটনা থাকে মূলত মুক্তিপণ আদায়কেন্দ্রিক। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক অপহরণের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর বিবাদ। জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, অপহরণ সমতলেও হচ্ছে। পাহাড়ে বিভিন্ন বিবদমান দল রয়েছে, সেটি এ ধরনের ঘটনার একটি কারণ। এ ছাড়া এর পেছনে পাহাড়ের প্রশাসনের ভূমিকাও কিছুটা দায়ী। পার্বত্য চুক্তির আগে-পরে আন্দোলন, চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি কম থাকা কিংবা আরোপিত অনেক বিষয় এসব ঘটনার পেছনে কাজ করে। আসল রোগ না সারানোর কারণে অপহরণ কিংবা সংঘাতের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বনানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত পারভেজের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে: ছাত্রদল সভাপতি
  • পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৫ এপ্রিল
  • আট দিন পর চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী উদ্ধার
  • ক্রাচ হাতে, হুইলচেয়ারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মানববন্ধন
  • কলেজ কর্তৃপক্ষের কি কোনো দায় নেই
  • আরাকান আর্মির উপস্থিতি ভিডিওতে যেভাবে এসেছে তা সঠিক নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • পাহাড়ে অপহরণের আলোচিত যত ঘটনা
  • বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারের মতো ছড়াচ্ছে সাইবার অপরাধ
  • জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরে রাখার নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • বরিশালে র‌্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে হামলা, গুলিতে তরুণ নিহত