নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম তাসলিমা আক্তার রোজি (৬০)। তিনি বাড়িতে একা থাকতেন। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থল যান।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাড়ির কাজের লোক তারেক (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, স্বামী ওবায়দুল হক মাদকাসক্ত হওয়ায় তাসলিমা আক্তার রোজি ছেলে জিয়াউল হক ইনুকে নিয়ে ৩৬ বছর আগে বাবার বাড়ি জালিয়াল গ্রামে বসবাস করেন। ছেলে ইনু জেলাশহর মাইজদীতে ব্যবসা ও বসবাস করেন। একটি আধা পাকা ঘরের এক কক্ষে রোজি ও আরেকটি কক্ষে তাঁর ছোট ভাইয়ের বউ মুন্নি বসবাস করতেন। মুন্নির বরাত দিয়ে বাড়ির লোকজন জানান, সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রোজি ও মুন্নি কথা বলছিলেন। এশার নামাজ পড়ার জন্য রোজি ও মুন্নি তাঁদের নিজ নিজ কক্ষে যান। ওই ঘটনার পর কে বা কারা ঘরে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে রোজিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে মুন্নি ঘরে গিয়ে রোজিকে রক্তাক্ত  অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন এগিয়ে তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক রাত সোয়া ১০টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে জিয়াউল হক ইনু বলেন, আমি মাইজদীতে ব্যবসাও বসবাস করি। আমার মা’র সাথে কারও শত্রুতা ছিল না। কারা কি কারণে মাকে হত্যা করেছেন জানি না।তবে আমার মায়ের হত্যাকারীকে শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ইসতিয়াক হোসেন বলেন, সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ব্যান্ডেজ মোড়ানো অবস্থা তাসলিমা আক্তার রোজি নামের এক নারীকে মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাঁর মাথায় ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে।

সুধারাস মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ঘরে চুরি করতে ঢুকেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে চোর। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স মব র র ত স ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি বুধবার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ঘটনায় করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে—ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট শুনানির জন্য আগামী বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

শুনানির জন্য বিষয়টি উত্থাপন করা হলে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই দিন ধার্য করেন।

৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এই আদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। আজ সকালে আদালতে রিটের বিষয়টি উত্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রিট আবেদনকারী মো. জসিম উদ্দিন।

আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট২২ ঘণ্টা আগে

পরে আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিটের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে আদালত ২৩ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।’

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ৯ এপ্রিলের অফিস আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানসহ সাতজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে১২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ