ছাত্রলীগের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমির কারাগারের কনডেম সেল থেকে পলায়নের ঘটনায় গভীর রাতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। হত্যাকারী জেমির গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করেন।

মিছিলটি পলাশী মোড়, ভিসি চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফাঁসির দড়ি ঝুলাই দে, সব খুনিদের গর্দানে’; ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’; ‘আবরার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পলাতক জেমি বুয়েটের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। 

সূত্র জানায়, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেমি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালান। মামলার এই ৩ নম্বর আসামি গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক দিন পর পালান। কিন্তু বিষয়টি এত দিন গোপন ছিল। জেমির বাড়ি ময়মনসিংহ। 

এ প্রসঙ্গে কারা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.

জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, এ ঘটনায় ৬ আগস্ট কারা অধিদপ্তর কোনাবাড়ী থানায় মামলা করেছে।

সোমবার সন্ধ্যায় জেমির জেল পালানোর ঘটনাটি নিজের ফেসবুক আইডিতে জানান আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ। বিষয়টি আদালত ও বাদীপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেন। 

আবরার ফাইয়াজ লেখেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছে ৫ আগস্টের পর। অথচ আমাদের জানানো হচ্ছে আজ, যখন ওর আইনজীবী কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেননি তখন।’ তিনি লিখেছেন, ‘ফাঁসির আসামির তো কনডেম সেলে থাকার কথা ছিল, সে পালায় কীভাবে! পালানোর পরও এ তথ্য বাইরে না আসা তো এটাই প্রমাণ করে যে, তাকে ধরতেও কোনো চেষ্টা করা হয়নি। পূর্ব থেকেই আরও তিনজন পলাতক।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আবর র ফ হ দ আবর র ফ

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় হাউজফুল, দাগি এবার মুক্তি পাচ্ছে আমেরিকার ১৫ শহরে

শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেয়েছে ১২ এপ্রিল। মুক্তির পর থেকেই সিডনির প্রতিটি শো হাউসফুল যাচ্ছে বলে খবর এসেছে।  সিনেমাটির  আবেগঘন মুহূর্তগুলো মন ছুঁয়ে গেছে প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকদের। সিনেমা শেষে চোখের পানি গড়িয়ে পড়েছে দর্শকের।

দাগির বিদেশ যাত্রায় এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়।  আগামী ২৫শে এপ্রিল শিহাব শাহিন পরিচালিত সিনেমাটি একযোগে মুক্তি পাচ্ছে নিউ ইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার মোট ১৫টি শহরে। বায়োস্কোপ ফিল্মস-এর ব্যানারে এটি পরিবেশিত হতে যাচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ৪৯তম পরিবেশনা।

নিউ ইয়র্কের কেউ গার্ডেন সিনেমাসে  দাগির  জন্য সাতদিনব্যাপী ২১টি শোয়ের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তির দিন থেকে যে শহরগুলোতে ‘দাগি’ দেখা যাবে সেগুলো হলো— নিউ ইয়র্ক, বোস্টন , ডেট্রয়েট , সান ফ্রান্সিস্কো , আটল্যান্টা , ড্যালাস , কানেকটিকাট , ফিনিক্স , শিকাগো, পিনিয়াপলিস, লস অ্যাঞ্জেল,ওকলাহোমা সিটিসহ বেশ কয়েকটি সিটিতে। 

এরপর ২ মে থেকে যুক্ত হচ্ছে আরও ১৩টি শহর, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে —ওয়েস্ট পাম বিচ, পোর্টল্যান্ড, সিয়াটেল, অস্টিন, স্যাক্রামেন্টো, নিউ জার্সি, ভার্জিনিয়া, শার্লট, মিয়ামি, সান দিয়েগো এবং আরও কিছু শহরে। 

সিনেমাটি আন্তর্জাতিক পরিবেশনা সংস্থা  বায়োস্কোপ ফিল্মস ৪৯তম পরিবেশনা। সিনেমাটি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রাজ হামিদ ও নওশাবা রশিদ জানান, “দাগি আমাদের ৪৯তম পরিবেশনা। এই সাড়ে ছয় বছরের পথচলায় আমাদের যতটুকু অর্জন, তার কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবেই উত্তর আমেরিকার বাংলা সিনেমার দর্শকদের। তাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের ঋণে আমরা আবদ্ধ। দাগি নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। বাংলাদেশের দর্শকদের মত এই ছবি এখনকার দর্শকদের মনে সত্যিই দাগ কাটবে বলে আমার বিশ্বাস।

দাগি নিয়ে সিনেমাটির পরিচালক শিহাব শাহীন বলেন,  দাগি সম্পূর্ণ একটি বাংলাদেশের ছবি। দেশের বাইরেও শুটিংয়ের প্রস্তাব ছিল, কিন্তু আমি সম্পূর্ণ দেশের লোকেশনেই শুট করেছি। পুরো ছবিটিই বাংলাদেশের গন্ধে ভরপুর।। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মত উত্তর আমেরিকার দর্শকদের কাছেও সিনেমাটি দারুণভাবে সাড়া ফেলবে।

চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের আলফা আই ও ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা । বিভিন্ন  চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, তর্মা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিমসহ অনেকেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ