কালিয়াকৈরে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তনের দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার এ কর্মসূচিতে জয়দেবপুর-রাজশাহী রুটে ছয় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। ইউএনও কাউছার আহামেদের চেষ্টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের দাবিতে কালিয়াকৈর হাইটেক সিটি রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। সকাল ৯টার দিকে কর্মসূচি শুরু করেন তারা। ছয় ঘণ্টা পর বেলা ৩টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের কথা জানায় সরকার। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের দাবিতে তারা কর্মসূচি পালন করছেন। কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিলেও নাম পরিবর্তন করা হয়নি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি না মানলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে। মাসুরা জাহান, রায়হান আলী, তানজিম আলমসহ কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষকে দাবি জানালেও তারা ব্যবস্থা নেননি। অবরোধের এক পর্যায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে ইউএনও যোগাযোগ করেন। 
হাইটেক সিটি রেলস্টেশনের মাস্টার খাইরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা চলে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাবাভিক হয়। উভয় পাশে ছয়টি ট্রেন শত শত যাত্রী নিয়ে আটকে ছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড জ ট ল ইউন ভ র স ট অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

তালায় প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে সাংবাদিককে দণ্ড, প্রতিবাদ

সাতক্ষীরার তালায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে মারধর করার অভিযোগে এক সাংবাদিককে ১০ দিনের বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল এ সাজা দেন। ওই সাংবাদিকের নাম কামরুজ্জামান ওরফে টিপু সুলতান।

তালা উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলম জানান, তিনি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের কাজ তদারকির সময় সাংবাদিক কামরুজ্জামান সেখানে আসেন। কথা বলার একপর্যায়ে তাঁর (এম এম মামুন আলম) মুখে ঘুষি মারেন কামরুজ্জামান। বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত শ্রমিক, আনসার সদস্য ও অন্যদের সাক্ষ্য গ্রাহণ শেষে সাংবাদিক কামরুজ্জামানকে ১০ দিনের দণ্ডাদেশ দেন।

ইউএনও শেখ মো. রাসেল বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলমকে একজন সাংবাদিক মারধর করেছেন, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত শ্রমিকদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই সাংবাদিককে ১০ দিনের বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডাদেশের পর সাংবাদিক কামরুজ্জামান দাবি করেন, কাজের মান খারাপ হচ্ছে—এমন সংবাদ পেয়ে তিনি সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যান। তথ্য জানতে চাইলে উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম মামুন আলম তথ্য না দিয়ে হাতে থাকা ছাতা দিয়ে তিনি মারতে শুরু করেন। এ সময় প্রতিরোধ করতে গেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

দণ্ডাদেশের পর সাংবাদিক কামরুজ্জামানকে বিকেল চারটার দিকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর রহমান।

তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এম হাকিম, সাধারণ সম্পাদক জোয়াদ্দার ফারুক হোসেনসহ প্রেসক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ, কামরুজ্জামানকে সাজা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়। তথ্য না দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ওই সাংবাদিককে মারধর করার পর সাজা দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তালায় প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে সাংবাদিককে দণ্ড, প্রতিবাদ
  • খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির চেষ্টা, কৃষক দল নেতা বহিষ্কার
  • পটিয়ার যে সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম রাখেন রবীন্দ্রনাথ
  • খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুই হাজার কেজি চাল জব্দ
  • এসএসসি পরীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে কারাদণ্ড
  • শহীদ নুরুল ইসলামের নামে বিজিবির সুইমিং কমপ্লেক্স নামকরণ