মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মারিয়ালয়-শিমুলিয়া সংযোগ খালের ওপর সেতুর এক প্রান্তে ধীপুর ইউনিয়নের মারিয়ালয় গ্রাম। আরেক প্রান্তে কাঠাদিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রাম ও রহিমগঞ্জ বাজার। প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু ১৭ বছরেও এটি সংস্কার করা হয়নি, ভেঙে গেছে রেলিং। দুই প্রান্তের অ্যাপ্রোচ সড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এ অবস্থায়ই স্থানীয় বাসিন্দা ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। খালের ওপর জীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। আলদীবাজার-রহিমগঞ্জ বাজার সড়কের ওপর এটি নির্মাণ করা হয় ১৭ বছর আগে। এরপর সংস্কারের অভাবে সড়কটিও পুরোপুরি যানবাহন চলাচলের উপযোগী হয়নি। রেলিং ভেঙে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে।
শিমুলিয়া গ্রামের মো.

নুরুল ইসলাম বলেন, গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ছোট ছোট শিশুরা। রেলিং না থাকায় কিছুদিন পর পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে মানুষ। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনা ঘটছে বেশি।
উপজেলা সদর বাজার থেকে শিমুলিয়া হয়ে রহিমগঞ্জ ও আলদি বাজার, লাখারণ, কাঠাদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতে সহজ পথ মারিয়ালয়-শিমুলিয়া-ধামারণ সড়কটি। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন বলছেন, এক সময় খালের ওপর কাঠের পুল ছিল। সেটি ভেঙে সেতু নির্মিত হলেও পরে সংস্কার করা হয়নি। ফলে ভেঙে গেছে দুই পাশের রেলিং। দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়কও বেহাল।
সেতুটি সংস্কারের পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে বলে জানান ধামারণ গ্রামের কাজী আকরাম। তিনি বলেন, উপজেলা সদরে যাওয়ার সহজ পথ মারিয়ালয়-শিমুলিয়া-ধামারণ সড়ক। খালের ওপর নির্মিত সেতুটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। উভয় প্রান্তের অ্যাপ্রোচ সড়কও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনায় আহত হন গ্রামের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, সেতুটি দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রেলিং নষ্ট হয়েছে আগেই। পাশাপাশি জরাজীর্ণ অ্যাপ্রোচ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে ছোট ছোট যানবাহন। সেতুর অদূরে শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এ সেতু দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। তাদের দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সহসভাপতি আলমগীর শেখের ভাষ্য, স্কুলের প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। তাদের পারাপারের সময় আতঙ্কে থাকতে হয়। কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, ‘নিজের চোখেই সেতুর করুণ চিত্র দেখছি। শিগগির সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব।’
উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, রেলিং ও অ্যাপ্রোচ সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই কাজ করবেন ঠিকাদার।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অ য প র চ সড়ক য ত য় ত কর খ ল র ওপর দ র ঘটন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘সাধুমেলা’

মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।

পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।   
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ