Samakal:
2025-03-29@09:19:01 GMT

রংতুলিতে শহীদ মিনার

Published: 24th, February 2025 GMT

রংতুলিতে শহীদ মিনার

মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ায় চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে র‍্যাব গলিতে অবস্থিত ঝিনাইদহ ক্যাডেট একাডেমি চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিশু-কিশোরেরা রংতুলিতে আঁকার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে একুশের অনুষঙ্গ। তাদের ভাবনায় চিত্রিত হয় নান্দনিক সব কর্ম।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে একাডেমি চত্বর। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা জানান, সুহৃদ সমাবেশের এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমরা আনন্দিত। শিশুরা এতে যেমন আঁকতে পারছে তেমনি এখানে এসে নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাদের ভাবনা প্রকাশ করতে পেরে। 
সুহৃদ সমাবেশ কুষ্টিয়ার সাবেক সভাপতি ঝিনাইদহ ক্যাডেট একাডেমির কর্ণধার ড.

জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থপ্রতিম শীল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আন্দোলনের বাজার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক, চ্যানেল আই প্রতিনিধি এবং টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনিসুজ্জামান ডাবলু, কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম। এ সময় আরও বক্তব্য দেন ঝিনাইদহ ক্যাডেট একাডেমির সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম, শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, আব্দুল মঈন, পরিচালক উম্মে সালমা প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমকাল ও ডিবিসির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি এবং স্কুল শাখার পরিচালক সাজ্জাদ রানা। অনুষ্ঠানে স্কুল শাখার শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান ছাড়াও মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় সেরাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার।
আলোচনা পর্বে অতিথিরা বলেন, ‘বাংলা ভাষার আন্দোলন বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় ও গৌরবের এক অনন্য অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। আমাদের ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জাতিসত্তার পরিচয়ও বহন করে। ভাষার মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে শিশুদের সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে শিশুরা নিজেদের মেধা বিকাশের সঙ্গে ইতিহাস ও ভাষার তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে পারছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই আয়োজন প্রাসঙ্গিক ও যুগোপযোগী।’
কর্মসূচি শেষে সুহৃদ সদস্যরা এক সংক্ষিপ্ত 
সাংগঠনিক সভায় মিলিত হন। কর্মসূচির বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন ও পরবর্তী কার্যক্রমের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন। 
সাংগঠনিক সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, কুষ্টিয়া

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন এক ড ম

এছাড়াও পড়ুন:

নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ইমরান খান

পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রচারে তার প্রচেষ্টার জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। 

২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ইমরান খানের নাম প্রস্তাব করেছে পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স (পিডব্লিউএ) এবং নরওয়ে ভিত্তিক সংগঠন পার্টিয়েট সেন্ট্রাম। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে পার্টিয়েট সেন্ট্রাম বলেছে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, মনোনয়নের অধিকারী এমন একজনের সঙ্গে (পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স) জোটবদ্ধ হয়ে, আমরা পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তার কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করেছি।” 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করে সিরিজ জিতল নিউ জিল্যান্ড

পাকিস্তানে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের ভাড়া কমল ২০ শতাংশ

বিবৃতিতে গণতন্ত্রের সংগ্রামে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের নেতৃত্ব, মানবাধিকারের প্রতি তার অবস্থান ও পাকিস্তানিদের সমস্যা সমাধানে তার নিষ্ঠার প্রশংসা করা হয়েছে। 

এর আগে, ২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্য ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। সেবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ইমরান খানের নাম মনোনীত করেছিল মার্কিন পত্রিকা ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর।

প্রতি বছর, নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শত শত মনোনীতদের নাম পায়, যার পরে তারা দীর্ঘ আট মাসের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করে।

 

পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলায় তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এটি চতুর্থ বড় মামলা যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস এবং বেআইনি বিবাহ সম্পর্কিত তিনটি দোষ উচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিল বা স্থগিত হয়েছে।

২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের পর ইমরান খান ক্ষমতা হারান। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন, এগুলোকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ