মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ায় চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ। ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে র্যাব গলিতে অবস্থিত ঝিনাইদহ ক্যাডেট একাডেমি চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিশু-কিশোরেরা রংতুলিতে আঁকার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে একুশের অনুষঙ্গ। তাদের ভাবনায় চিত্রিত হয় নান্দনিক সব কর্ম।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে একাডেমি চত্বর। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা জানান, সুহৃদ সমাবেশের এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমরা আনন্দিত। শিশুরা এতে যেমন আঁকতে পারছে তেমনি এখানে এসে নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাদের ভাবনা প্রকাশ করতে পেরে।
সুহৃদ সমাবেশ কুষ্টিয়ার সাবেক সভাপতি ঝিনাইদহ ক্যাডেট একাডেমির কর্ণধার ড.
আলোচনা পর্বে অতিথিরা বলেন, ‘বাংলা ভাষার আন্দোলন বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় ও গৌরবের এক অনন্য অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। আমাদের ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জাতিসত্তার পরিচয়ও বহন করে। ভাষার মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে শিশুদের সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে শিশুরা নিজেদের মেধা বিকাশের সঙ্গে ইতিহাস ও ভাষার তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে পারছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই আয়োজন প্রাসঙ্গিক ও যুগোপযোগী।’
কর্মসূচি শেষে সুহৃদ সদস্যরা এক সংক্ষিপ্ত
সাংগঠনিক সভায় মিলিত হন। কর্মসূচির বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন ও পরবর্তী কার্যক্রমের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।
সাংগঠনিক সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, কুষ্টিয়া
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা
নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম তাসলিমা আক্তার রোজি (৬০)। তিনি বাড়িতে একা থাকতেন। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থল যান।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাড়ির কাজের লোক তারেক (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, স্বামী ওবায়দুল হক মাদকাসক্ত হওয়ায় তাসলিমা আক্তার রোজি ছেলে জিয়াউল হক ইনুকে নিয়ে ৩৬ বছর আগে বাবার বাড়ি জালিয়াল গ্রামে বসবাস করেন। ছেলে ইনু জেলাশহর মাইজদীতে ব্যবসা ও বসবাস করেন। একটি আধা পাকা ঘরের এক কক্ষে রোজি ও আরেকটি কক্ষে তাঁর ছোট ভাইয়ের বউ মুন্নি বসবাস করতেন। মুন্নির বরাত দিয়ে বাড়ির লোকজন জানান, সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রোজি ও মুন্নি কথা বলছিলেন। এশার নামাজ পড়ার জন্য রোজি ও মুন্নি তাঁদের নিজ নিজ কক্ষে যান। ওই ঘটনার পর কে বা কারা ঘরে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে রোজিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে মুন্নি ঘরে গিয়ে রোজিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন এগিয়ে তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক রাত সোয়া ১০টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে জিয়াউল হক ইনু বলেন, আমি মাইজদীতে ব্যবসাও বসবাস করি। আমার মা’র সাথে কারও শত্রুতা ছিল না। কারা কি কারণে মাকে হত্যা করেছেন জানি না।তবে আমার মায়ের হত্যাকারীকে শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ইসতিয়াক হোসেন বলেন, সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ব্যান্ডেজ মোড়ানো অবস্থা তাসলিমা আক্তার রোজি নামের এক নারীকে মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাঁর মাথায় ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে।
সুধারাস মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ঘরে চুরি করতে ঢুকেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে চোর। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।