অনাদিকালের প্রতীক্ষা
রকিবুল ইসলাম
একমুঠো রোদ্দুর এনেছি
তোমার মলিন মুখটা অমলিন করব বলে,
কিছু স্বপ্ন এনেছি তোমায় রাঙাব বলে,
কিছু জ্যোৎস্না এনেছি
তোমায় ঘিরে থাকা অমানিশার
ঘোর আঁধার দূরীভূত করব বলে,
সবুজ দূর্বাঘাসের গালিচা বিছিয়ে রেখেছি
তুমি তার ওপর দিয়ে হেঁটে আসবে বলে,
আমার নেত্র বিসর্জিত অজস্র-অসংখ্য মুক্ত
বিন্দুর মতো অশ্রু জমিয়ে ঝরনাধারা তৈরি করে রেখেছি,
তুমি স্নান করবে বলে।
ঘন সবুজ রেখেছি তোমাকে পাখপাখালির
শ্রুতিমধুর সংগীত শোনাব বলে।
পাহাড় কেটে দেয়াল বানিয়ে রেখেছি
তোমাকে আড়ালে রাখব বলে।
এতসব আয়োজন যে তোমাকে ঘিরে সেই তুমিই তো এলে না।
তবুও, আশার পাখিরা নিরাশার বালুচরে ডুবে যেতে
থাকলেও আমার নয়ন চেয়ে থাকবে
তোমার পথপানে অনাদি-অনন্তকাল.
প্রেমো-নন্দিনী
আসাদুজ্জামান খান মুকুল
ভালোবেসে প্রিয়া বিষাদ অনলে
পুড়ছে আমার হিয়া!
আসিলে হাসিয়া প্রেমো-নন্দিনী
খেলেছ হৃদয় নিয়া!
তোমারি প্রেমেতে উন্মাদ সেজে
হয়েছি মার্গভোলা,
রেখেছি আমার তোমারি স্মরণে
সকল দুয়ার খোলা!
অদেখা রূপসী খুঁজিয়া চলেছি
পাইনি আজও দেখা,
বিরহ সাগরে চলেছি ভাসিয়া
তোমাকে বিহীন একা!
উথাল প্রেমের জোয়ারে এখনও
তরীখানি ভেসে চলে,
শ্রাবণের ধারা তারি সাথে ঝরে
তুমি যে আসনি বলে।
সহসা জাগিয়া পাইনি তোমাকে
জেগে উঠে ক্ষ্যাপা সুর!
সহিতে না পারি মরম বেদনা
আছ তুমি কত দূর?
নিভৃত আলোয়
এমএ রহমান
নিভৃত আলোয় দোদুল্যমান সন্ধ্যাতরঙ্গ,
শব্দহীন বেদনায় অকণ্ঠ সংগীত
নীরবতার ছায়ায় ভাসে চেতনার ছায়াপথ,
অস্পষ্ট প্রতিচ্ছবির মতো স্মৃতির দিগন্তজোড়া।
কাচঘেরা বাস্তবতা আমি অদেখা ছায়াপাত,
নিঃশব্দ ভাষায় বলি অভিপ্রকাশের নিস্তব্ধতা।
কেউ কি শুনবে? কেউ কি ছোঁবে?
নাকি রয়ে যাব শুধু অস্বীকৃত প্রতিধ্বনি?
মুখোশ আড়ালে লুকে থাকা অনুভবের-নকশা,
যেখানে সংযোগ মানে শুধু আলো-আঁধারের রং।
আমি কি রঙিন? নাকি শুধু অসংগত বিমূর্ততা?
অথবা নিঃসঙ্গ এক আত্মার নক্ষত্রগঙ্গা?
হয়তো বা একদিন কেউ দেখবে আমায়,
সত্যিকার চোখে, অলেখার ব্যঞ্জনায়।
সেদিন হয়তো মিলবে অধর–
কাব্যেরই গান,
ততক্ষণ থাকি, দীপজ্বালা নিভৃত সন্ধ্যায়।
ছায়ার প্রার্থনা
এসডি সুব্রত
অবচেতনে খোঁজে বেড়াই
রোদমাখা পথে ষোড়শীর পদচিহ্ন
হেঁটে যাওয়া ছন্দের অপূর্ব চিত্রকলা,
ঘুমভাঙা রাতে ভোরের প্রতীক্ষা
খুলে না দিবারাত্রির গোপন দরজা
আনমনে খুঁজি বিকেলে ভোরের গোলাপ,
সম্মুখে কেবলি ধু-ধু মরুভূমি
তৃষ্ণা কাতর হৃদয়ে জলের আকাঙ্ক্ষা
বৃক্ষের কাছে ছায়ার প্রার্থনা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী সকল প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী সকল প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে সকলের মানোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। সোমবার ছিল চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময়। তাই ১৫টি পদে একক প্রার্থী থাকায় তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ীরা হলেন, সভাপতি পদে মো. শহিদুল্লাহ, সহ-সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, মো. এরশাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক, ট্রেজারার মো. মুজিবুল ইসলাম, লাইব্রেরি মোশাররফ হোসেন পাখি, এনরোলমেন্ট মো. শফিউল্লাহ, রিক্রিয়েশন মো. জহিরুল ইসলাম, আই.টি মো. সাইফুল ইসলাম এবং সদস্য পদে মো. ওবায়েদ উল্লাহ সরকার, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. কামরুল হাসান সুমন, মু. সলিমুল্লাহ খান ও মো. মাসুদ।
১৭ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোঘণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুসারে ৬ মার্চ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢালাওভাবে মামলার কারণে এ বছর আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন সমকালকে বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে তাঁকে এবং সেক্রেটারিসহ এক সঙ্গে আওয়ামী লীগপন্থী ৩২ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। তাই মনোনয়নপত্র কিনতে আমরা আদালত চত্বরে যাওয়ার পরিবেশ পাইনি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় ছিল। তাই আমাদের কেউ ফরম আনতে যায়নি।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম বলেন, যারা টাকা জমা দিয়েছেন ও বৈধ ভোটার তারাই মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) আদালতে আসলে মনোনয়ন ফরম নিতে পারতেন।