সালমান এফ রহমান, তাঁর স্ত্রী, ছেলে আর ভাইয়ের ১৬ ব্যাংক হিসাবে যত টাকার লেনদেন
Published: 24th, February 2025 GMT
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছয়টি ব্যাংক হিসাবের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ব্যাংক হিসাবে ৪৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানায় দুদক।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সালমান এফ রহমানের ছয়টি ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে ২৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আর উত্তোলন করা হয়েছে ১৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। বর্তমানে তাঁর ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
এর বাইরে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের নামে তিনটি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পেয়েছে দুদক। এসব ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা জমা এবং ৮৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই তিনটি ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সালমান এফ রহমানের স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমানের নামে তিনটি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পেয়েছে দুদক। এসব ব্যাংক হিসাবে ১০৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। জমা হয় ৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। উত্তোলন করা হয়েছে ৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। বর্তমানে জমা রয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা।
এর বাইরে সালমান এফ রহমানের ভাই এ এস এফ রহমানের নামে চারটি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পেয়েছে দুদক। এসব ব্যাংক হিসাবে ২২৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ১১৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আর উত্তোলন করা হয় ১০৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। বর্তমানে এসব ব্যাংক হিসাবে জমা রয়েছে ১১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সালমান এফ রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের নামে থাকা ৩৭২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান। এখন পর্যন্ত সালমান এফ রহমানের ১১ মামলায় মোট ৬০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তিনি কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুনসালমান পরিবারের ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক২৩ জানুয়ারি ২০২৫দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, সালমান এফ রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদক জানতে পেরেছে, সালমান এফ রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠরা এসব ব্যাংক হিসাবের অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি সালমান এফ রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের নামে থাকা ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ক্রোক করা এসব সম্পদের বেশির ভাগই রয়েছে ঢাকার দোহারে।
আরও পড়ুনসালমান এফ রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৩৭২ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ৭ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর ব র র সদস য এসব ব য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী সকল প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা
কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াতপন্থী সকল প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে সকলের মানোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। সোমবার ছিল চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময়। তাই ১৫টি পদে একক প্রার্থী থাকায় তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বিজয়ীরা হলেন, সভাপতি পদে মো. শহিদুল্লাহ, সহ-সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, মো. এরশাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক, ট্রেজারার মো. মুজিবুল ইসলাম, লাইব্রেরি মোশাররফ হোসেন পাখি, এনরোলমেন্ট মো. শফিউল্লাহ, রিক্রিয়েশন মো. জহিরুল ইসলাম, আই.টি মো. সাইফুল ইসলাম এবং সদস্য পদে মো. ওবায়েদ উল্লাহ সরকার, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. কামরুল হাসান সুমন, মু. সলিমুল্লাহ খান ও মো. মাসুদ।
১৭ ফেব্রুয়ারি এ নির্বাচনের তফসিল ঘোঘণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুসারে ৬ মার্চ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢালাওভাবে মামলার কারণে এ বছর আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন সমকালকে বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে তাঁকে এবং সেক্রেটারিসহ এক সঙ্গে আওয়ামী লীগপন্থী ৩২ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। তাই মনোনয়নপত্র কিনতে আমরা আদালত চত্বরে যাওয়ার পরিবেশ পাইনি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় ছিল। তাই আমাদের কেউ ফরম আনতে যায়নি।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম বলেন, যারা টাকা জমা দিয়েছেন ও বৈধ ভোটার তারাই মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) আদালতে আসলে মনোনয়ন ফরম নিতে পারতেন।